গলায় মাছের কাঁটা বিঁধলে কী করবেন?

আয়েশ করে খেতে বসেছেন আর মাছের কাঁটা গলায় ফোটেনি, এমন বাঙালি খুঁজে পাওয়া ভার। হুট করে গলায় কাঁটা ফুটলে করণীয় কী? কিছু তাৎক্ষণিক উপায় আছে, যা মানলে সহজেই গলার কাঁটা নামানো যায়। দেখে নিন উপায়গুলো...

মাছের কাঁটা নামানোর সবচেয়ে প্রচলিত পদ্ধতি হলো সাদা ভাত গেলা
ছবি: প্রথম আলো

সাদা ভাত গিলুন

মাছের কাঁটা নামানোর সবচেয়ে প্রচলিত পদ্ধতি হলো সাদা ভাত গেলা। যেহেতু খেতে বসলেই গলায় কাঁটা ফোটে, তাই হাতের কাছেই সাদা ভাত থাকে। সাদা ভাত দলা করে একবারে গিলে ফেলার চেষ্টা করতে হবে। শুধু খালি ভাতে কাজ না হলে পানি দিয়ে চেষ্টা করতে পারেন। দুই-তিন দলা খাওয়ার পর ভাতের সঙ্গে গলার কাঁটা নেমে যাবে।

জোরে কাশুন

বেশির ভাগ সময়ে গলায় কাঁটা আটকায় মুখগহ্বরের টনসিলের কাছাকাছি এলাকায়। জোরে জোরে কয়েকবার কাশি দিলে গলায় আটকে থাকা কাঁটা বেরিয়ে যেতে পারে।

কলা পিচ্ছিল, ফলে গলায় ফুটে থাকা কাঁটা গিলতে এটা বেশ উপকারী
ছবি: পেক্সেলস

কলা খান

কলা পিচ্ছিল, ফলে গলায় ফুটে থাকা কাঁটা গিলতে এটা বেশ উপকারী। বড় করে কলায় একটি কামড় দিয়ে তা মুখে কিছুক্ষণ ধরে রাখুন। এরপর একেবারে গিলে ফেলার চেষ্টা করুন। এতে কলার সঙ্গে কাঁটা একসঙ্গে নেমে যাবে।

ভিনেগার গিলুন

ভিনেগার গলায় ফুটে থাকা কাঁটা নামাতে বেশ উপকারী। ভিনেগার অ্যাসিডজাতীয় বলে গলার কাঁটা নরম করে করে ফেলতে পারে। তবে সরাসরি ভিনেগার পান না করাই ভালো। তাই পানির সঙ্গে সামান্য ভিনেগার মিশিয়ে তা গিলে ফেললে সহজেই কাঁটা নেমে যেতে সহায়তা করে।

অলিভ অয়েল খান

গলার কাঁটা নেমে যেতে তেলও বেশ উপকারী। হাতের কাছে অলিভ অয়েল থাকলে তা খেয়ে নিতে পারেন।

যেভাবে আছেন, সেভাবেই থাকুন

অনেক সময় দেখা যায়, গলায় কাঁটা ফোটা নিয়ে যে অস্বস্তি, সেই কাঁটা হয়তো বাস্তবে ফোটেইনি; বরং গলার মাংস ছুঁয়ে কাঁটা নেমে গেছে অনেক আগেই। কিন্তু অস্বস্তি ও মনের ভয় আছেই। তাই প্রাথমিকভাবে কাজ না হলে ঘন ঘন ঢোক গেলার চেষ্টা করুন এবং দেখুন, এক জায়গা থেকেই ব্যথার সৃষ্টি হচ্ছে কি না। যদি হয়, তবে গলায় এখনো কাঁটা আটকে আছে।

প্রাথমিক চিকিৎসায় কাজ না হলে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে
ছবি: প্রথম আলো

দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন

এতক্ষণ যে পদ্ধতির কথা বলা হলো, তার পুরোটাই প্রাথমিক চিকিৎসা। বাড়িতে তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নিয়ে গলার কাঁটা দূর করার জন্য এসব পদ্ধতি মানতে পারেন। তবে এসবে কাজ না হলে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। নাক কান গলাবিশেষজ্ঞ অথবা কাছের যেকোনো হাসপাতালের জরুরি বিভাগে যত দ্রুত সম্ভব ভর্তি হতে হবে। বেশিক্ষণ গলায় কাঁটা আটকে থাকলে তা থেকে মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে।

বিড়ালের পা ধরে লাভ নেই

গলায় কাঁটা বিঁধলে বিড়ালের পা ধরার কুসংস্কার অনেক পুরোনো। বিড়ালের পা ধরে গলার কাঁটা নামার গল্প শুধু কল্পকাহিনিতেই সম্ভব, বাস্তবে নয়। বরং উল্টো বিড়ালের খামচি খেয়ে অন্য কোনো রোগ বাধানোর আশঙ্কা কম নয়! তাই গলায় কাঁটা বিঁধলে বিড়াল খুঁজে সময় নষ্ট না করে সঠিক নিয়ম মেনে চলুন।