তুলসীপাতা বেশি খেলে কী কী ক্ষতি হতে পারে
তুলসীগাছের সুমিষ্ট গন্ধের পাশাপাশি রয়েছে বিভিন্ন ঔষধি গুণ। এই গাছের নানাবিধ ব্যবহার রয়েছে কিন্তু অতিরিক্ত ব্যবহার মারাত্মক জীবননাশের কারণ হতে পারে। তাই তুলসীগাছের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করাই এর লক্ষ্য হওয়া উচিত।
অতিরিক্ত ব্যবহারে কী অসুবিধা
তুলসীপাতা বেশি পরিমাণ সেবনের ফলে শ্বাসকষ্ট, মূত্র ও কাশির সঙ্গে রক্ত যেতে পারে।
যাঁদের ডায়াবেটিস আছে, তাঁদের গ্লুকোজের মাত্রা অতিরিক্ত কমে গিয়ে হাইপোগ্লাইসেমিয়া হতে পারে।
গর্ভাবস্থায় এটি সেবনের ফলে গর্ভপাত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়।
যাঁরা হার্ট ও হার্টের ভালভের সমস্যায় রক্ত পাতলা করার ওষুধ খান, তাঁরা তুলসীপাতা সেবনের ব্যাপারে সচেতন থাকবেন।
কাঁচা তুলসীপাতা খেলে দাঁতে কালচে দাগ পড়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।
অজানা পুষ্টিগুণ
তুলসীপাতার রস ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিভাইরাল, অ্যান্টিফাঙ্গাল গুণাবলি থাকায় ইনফেকশন কমায়।
অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট গুণাবলি থাকায় কোষের অবাঞ্ছিত বৃদ্ধি রোধ করে।
লিভার, ত্বক ও কিডনির ক্যানসার রোধে এর বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।
তুলসীপাতার রস মন উৎফুল্ল রাখার হরমোনের পরিমাণ বৃদ্ধি করে।
সারা দিনের ক্লান্তি ও দুশ্চিন্তা দূর করতে পারে তুলসীপাতার এক কাপ চা।
প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও জিংক থাকায় রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ে।
শরীরে যে কোষগুলো রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়, সেগুলোর মৃত্যু রোধ করে।
চর্বি দহন ও শরীরে পরিপাকপ্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে, ওজন কমাতে সাহায্য করে।
অগ্ন্যাশয় থেকে ইনসুলিন নিঃসরণে সাহায্য করে। ফলে যাঁদের পরিবারে ডায়াবেটিস আছে, তুলসীপাতার রস সেবনের ফলে ভবিষ্যতে তাঁদের ডায়াবেটিস হওয়ার প্রবণতা অনেকাংশে কমে।
অন্ত্র থেকে বিভিন্ন ক্ষতিকর পদার্থ বের করে দিয়ে হজমে সাহায্য করে।
বুক জ্বালাপোড়া রোধ করে।
পাকস্থলীর অম্লত্ব নিয়ন্ত্রণ করে।
এ পাতার রস শরীরে ঘামের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়, ফলে অতিরিক্ত তাপ শরীর থেকে বের হয়ে যায়, জ্বরের তাপমাত্রা কমায়, দেহ থেকে ক্ষতিকর পদার্থ বের হতে সাহায্য করে।
তুলসীপাতার সুগন্ধ মশা প্রতিহত করে।
কিডনিতে পাথর হওয়া প্রতিরোধ করে।
ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ কমিয়ে গেঁটেবাত নিরাময়ে সাহায্য করে।
মুখের ব্রণ, কালো দাগ দূর করে।
নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।
চুল পড়া রোধ করে।
খুশকি দূর করে।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়।
প্রাচীনকাল থেকে এখন পর্যন্ত তুলসীপাতার সর্বাধিক ব্যবহার ঠান্ডা, কাশি ও গলাব্যথা নিরাময়ে। এ ছাড়া নানাবিধ ব্যবহার থাকায় এটি সব ঔষধি গাছের মধ্যে ‘জাদুকরি’ গাছ নামে পরিচিত। তবে এর অতিরিক্ত ব্যবহার স্বাস্থ্যকে ঝুঁকির সম্মুখীন করতে পারে, ফলে এ ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে।