হঠাৎ মাথা ঘুরে অস্বস্তি?

হঠাৎ মাথা ঘুরতে শুরু করলে কারও মনে হতে পারে, তিনি নিজেই যেন ঘুরছেন। আবার কেউ ভাবেন, চারপাশটা ঘুরছে বা দুলছে। কিন্তু অনুভূতি যেমনই হোক না কেন, মাথা ঘোরার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে হবে। মূলত কানের ভেতরে ভেস্টিবুলোককলিয়ার নামের স্নায়ুতে সমস্যার কারণেই মাথা ঘোরে।
অনিয়ন্ত্রিত উচ্চরক্তচাপ; মাথার পেছন দিকে ও ঘাড়ের রক্তনালিতে বাধা বা রক্ত সরবরাহে ত্রুটি; মস্তিষ্কের নিচের দিকে টিউমার, পানি জমাট বা মাল্টিপল স্লেরসিস নামের রোগ; ভাইরাসজনিত ভেস্টিবুলার নিউরাইটিস; মধ্যবয়সীদের মিনিয়ার্স রোগ; স্ট্রেপটোমাইসিন, কুইনাইন ইত্যাদি ওষুধ সেবন; আঘাতজনিত কারণে পেট্রাস হাড়ের ক্ষতি ইত্যাদি কারণেও মাথা ঘুরতে পারে। এ সমস্যার পাশাপাশি কানের ভেতর শোঁ-শোঁ বা দপ দপ শব্দ হতে পারে।
কখনো মাথার অবস্থান পরিবর্তন করলে সমস্যাটা বাড়ে-কমে। আনুষঙ্গিক সমস্ত তথ্য চিকিৎসককে জানাতে হবে। জেনে নিন এ রকম আচমকা মাথা ঘুরতে থাকলে কী করবেন:
* মাথা ঘুরলে শরীরের ভারসাম্য থাকে না। এ রকম অবস্থায় পড়ে গিয়ে আঘাত পাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই একটা অবলম্বন আঁকড়ে ধরে বসে পড়াই ভালো।
* যাঁদের ‘বিনাইন পজিশনাল ভারটিগো’ নামের সমস্যাটি আছে, হঠাৎ ঘাড় বা মাথার অবস্থান পরিবর্তন করলেই তাঁদের মাথা ঘোরা শুরু হয়। এ জন্য রাতে পাশ ফিরে না শুয়ে তাঁরা চিত হয়ে একটু উঁচু বালিশে মাথা দিয়ে শোবেন। হঠাৎ করে মাথা বা ঘাড় উঁচুতে টানটান করবেন না, হঠাৎ মাথা ঝোঁকাবেন না।
* অতিরিক্ত লবণযুক্ত খাবার ও অতিরিক্ত কফি মাথা ঘোরার রোগীদের জন্য খারাপ। ধূমপান একেবারেই নিষেধ।
ডা. সুদীপ্ত কুমার মুখার্জী
নিউরোসার্জারি বিভাগ, জাতীয় নিউরোসায়েন্স ইনস্টিটিউট

>

স্বাস্থ্যবটিকা ® ব্রোন স্মিথ
ব্যাকটেরিয়ারোধী সাবান কি স্বাস্থ্যকর?
ব্যাকটেরিয়ারোধী বেশির ভাগ সাবানে ট্রাইক্লোজান নামের জীবাণুনাশক থাকে। এটি যকৃতে ও প্রশ্বাসে বিষক্রিয়া এবং গলার থাইরয়েড গ্রন্থির কাজে বিঘ্ন ঘটাতে পারে। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা যায়, ব্যাকটেরিয়ার মতো জীবাণু দূর করতে সাধারণ সাবানই যথেষ্ট।

মাড়ির
প্রদাহ রোধে কার্যকর উপাদান হিসেবে টুথপেস্টে ট্রাইক্লোজান ব্যবহার করা হয়
‘স্বাস্থ্যবটিকা’র লক্ষ্য রোগনির্ণয় গোছের কিছু নয়