শিশুর ত্বক কোমল ও সংবেদনশীল বলে তাতে সংক্রমণও বেশি হয়। কিছু সতর্কতা অবলম্বন করলে এই সমস্যা থেকে রেহাই মিলবে। শিশুরা ছোটাছুটি করে বলে ঘাম বেশি হয়। স্কুল থেকে ফিরলে পুরো শরীর ঘামে ভেজা থাকে। এ থেকে ফাঙ্গাস ও একজিমা হতে পারে। অবশ্য বংশগত ও অন্যান্য কারণেও একজিমা হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে একজিমার জন্য দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসার প্রয়োজন হয়।
আজকাল অল্প বৃষ্টিতে রাস্তায় পানি জমে। এই নোংরা পানি থেকেও শিশুদের ত্বকে ছত্রাকসহ বিভিন্ন সমস্যা হয়। ছত্রাকের সংক্রমণ একজনের থেকে অন্যজনে ছড়াতে পারে। আক্রান্ত স্থানে মলম লাগানোর জন্য বা অন্য কোনো কারণে হাত দিলে সাবান দিয়ে হাত দ্রুত ধুয়ে নিন।
শিশুদের ত্বকের আরেকটি সমস্যার নাম ঘামাচি। নবজাতক ও ছোট শিশুদের এটি বেশি হয়। ঠান্ডা লাগবে মনে করে এদের মোটা কাপড় পরানো হয়। আলো-বাতাসপূর্ণ শীতল পরিবেশে রাখলে এমন ঘামাচি থেকে মুক্তি মেলে। ট্যালকম পাউডার ব্যবহার করলেও উপকার মেলে। গরম আর আর্দ্র আবহাওয়ায় শিশুদের স্কেবিস নামের আরেক ধরনের অসুখ হয়। এতে আঙুলের ফাঁক, কুঁচকি প্রভৃতি স্থানে ঘা হয় এবং রাতে খুব চুলকায়। এটা খুবই ছোঁয়াচে। আশপাশের মানুষ বিশেষ করে বাচ্চাকে যাঁরা পরিচর্যা করেন, তাঁদের থেকে এটি ছড়ায়। তাই ত্বকের সংক্রমণ প্রতিরোধে শিশুকে যাঁরা পরিচর্যা করেন, তাদের পরিচ্ছন্নতাও জরুরি। এ বিষয়ে কয়েকটি পরামর্শ:
* শিশুকে স্পর্শ করার আগে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিন
* শিশুকে পাতলা সুতির কাপড় পরাবেন, নিয়মিত গোসল করান
* স্কুল থেকে ফেরার সঙ্গে সঙ্গে শিশুর জামা পাল্টে মুখ, হাত, বিশেষ করে পা ভালোভাবে ধুয়ে দিন
* শিশুদের জামা ও মোজা বার বার পাল্টে দিন। মোজা থেকে পায়ে সংক্রমণ হয়
* গরমে তেল ব্যবহার না করাই ভালো। চুলে যদি তেল দিতেই হয়, অল্প পরিমাণে দিন। শিশুর ত্বকের উপযোগী ক্রিম বা লোশন ব্যবহার করুন। বড়দের প্রসাধন শিশুদের দেবেন না
ডা. আবু সাঈদ
শিশু বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল