দূষণ যখন ঘরের ভেতর
দূষণ যে শুধু ঘরের বাইরেই হয়, তা নয়। ঘরের ভেতরের বাতাসও হতে পারে বাইরের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি দূষিত। ঘরের পরিসর যদি হয় ছোট এবং বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা কম থাকে, তবে এই দূষণ হতে পারে আপনার কপালের ভাঁজের কারণ! সে ক্ষেত্রে জমে থাকা ধুলা বা মাইক্রো-অর্গানিজম বের হওয়ার সুযোগ থাকে কম। নিশ্বাসের সঙ্গে এই ক্ষতিকর উপাদানগুলো মানবদেহের ভেতরে প্রবেশ করে সৃষ্টি করতে পারে নানা রোগ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে, বিশ্বব্যাপী প্রতিবছর মূলত স্ট্রোক, হৃদ্রোগ, দীর্ঘস্থায়ী পালমোনারি রোগ, ফুসফুসের ক্যানসার ও তীব্র শ্বাসকষ্ট সংক্রমণের ফলে আনুমানিক ৭০ হাজার মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। আর এই রোগগুলো হয় বায়ুদূষণে।
বায়ুদূষণে সবার চেয়ে এগিয়ে থাকা শহরগুলোর একটি রাজধানী ঢাকা। বাতাসের মান সূচক অনুযায়ী ঢাকার বাতাস ২০১ এবং ৩০০ একিউআই-এর মধ্যে, যা রীতিমতো ‘খারাপ’ বলে বিবেচিত। বাইরের এই দূষণ প্রভাবিত করে ঘরের বাতাসকেও। ঘরের ভেতর ধুলা, দূষণ বা মাইক্রো-অর্গানিজমের উপস্থিতির কারণ অনেক। বাইরের বাতাসের পাশাপাশি অনেক দূষণই ঘরে থাকা বিভিন্ন বস্তুর কারণেও হয়ে থাকে।
ময়লার ঝুড়ি, কার্পেট, বাইরে পরার জুতা ইত্যাদি বস্তু থেকে উৎপন্ন হয় বিভিন্ন রকম দূষণ। কার্পেটে দীর্ঘদিন ধরে জমতে থাকা ধুলাবালু ও বিভিন্ন জীবাণু আমাদের দৃষ্টিগোচর না হলেও, এর ক্ষতি থেকে আমরা মুক্ত নই। যেহেতু এটি মেঝের সঙ্গে লেগে থাকে, তাই বাইরে থেকে উড়ে আসা ধুলা এসে আটকে থাকে। ফলে তা ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে ঘরের বাতাসে। ময়লার ঝুড়ি ঘরের এক কোনায় পড়ে থাকলেও এই বস্তু থেকে জীবাণু ছড়িয়ে পড়ে ঘরের বিভিন্ন স্থানে। এ ছাড়া বাইরে পরার জুতা, ঘরে প্রবেশ করা বাইরের বাতাস, সিগারেটের ধোঁয়া ইত্যাদি থেকেও আপনার ঘর হতে পারে দূষিত।
ঘরের ভেতরের বাতাস মানুষের সুস্থতার জন্য ব্যাপকভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কেননা বেশির ভাগ মানুষ তাদের জীবনের প্রায় ৯০ শতাংশ সময় কোনো স্থাপনার ভেতরে, প্রধানত বাড়ি বা কর্ম ক্ষেত্রে ব্যয় করে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, অভ্যন্তরীণ বায়ুদূষণ (আইএপি) বছরে ৩ দশমিক ৮ মিলিয়ন মানুষের মৃত্যুর জন্য দায়ী। শ্বসনতন্ত্রই অভ্যন্তরীণ বায়ুদূষণে প্রাথমিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, কারণ দূষণ প্রধাণত শ্বাসপ্রশ্বাসের মাধ্যমে মানবদেহে প্রবেশ করে। বিভিন্ন উপসর্গ যেমন কাশি, সাইনোসাইটিস থেকে শুরু করে অ্যালার্জিজনিত এবং ফুসফুসের রোগ, যেমন হাঁপানি, অ্যাটোপিক ডার্মাটাইটিস এবং অ্যালার্জিক রাইনাইটিসের কারণ হিসেবে অভ্যন্তরীণ বায়ুদূষণকে চিহ্নিত করা হয়েছে। দেখা গেছে, অভ্যন্তরীণ বায়ুদূষণ শৈশবকালীন নিম্ন শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের ঝুঁকি ৭৮ শতাংশ বাড়িয়ে দেয়। যা প্রতিবছর পাঁচ বছরের কম বয়সী প্রায় ১০ লাখ শিশুকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়।
গ্রীষ্মকালীন প্রচণ্ড দাবদাহে এমনিতেই জনজীবন নাজেহাল, তার ওপর ধুলাদূষণ জীবনকে আরও বিপর্যস্ত করে ফেলেছে। গরম থেকে নিস্তার পেতে, ঘর জীবাণুমুক্ত রাখতে গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হতে পারে প্লাসমাস্টার আয়োনাইজার ফিচার সংযুক্ত এয়ার কন্ডিশনার। শীতল ও জীবাণুমুক্ত ঘরের কথা মাথায় রেখেই বিশ্বখ্যাত ইলেকট্রনিক সামগ্রী প্রস্তুতকারী সংস্থা এলজি তাদের এয়ার কন্ডিশনারের সঙ্গে যুক্ত করেছে নতুন এই ফিচার। এই প্রযুক্তিতে ঘরের বাতাসের ৯৯ শতাংশ পর্যন্ত ব্যাকটেরিয়া দূর হয় মাত্র ৬০ মিনিটে।
প্লাসমাস্টার আয়োনাইজার টেকনোলজির পাশাপাশি ডুয়াল ইনভার্টার থাকার কারণে এই এসিতে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ও হয় অনেক বেশি। গরমে এখন স্বস্তির সঙ্গে নিরাপদ থাকতে ঘরে আনতে পারেন প্লাসমাস্টার আয়োনাইজার ফিচারযুক্ত এলজি এয়ার কন্ডিশনার।