ঘামাচি দূর করার ঘরোয়া উপায়

প্রতীকী ছবি

‘আকাশের ঘামাচি কি ঘন কালো মেঘ?
বিদ্যুৎ বলে, আগে কোবরেজি শেখ!’
কালো মেঘকে আকাশের ঘামাচি বলেছেন কবি সৈয়দ শামসুল হক। কবি তা বলতেই পারেন। কিন্তু এদিকে যে সত্যিই ঘামাচির মৌসুম শুরু হয়ে গেছে, তা নিশ্চয়ই টের পাচ্ছেন আপনারা। বিশেষত, শিশু এবং যাঁদের শরীর বেশি ঘামে, তাঁদের এ সময় বেশ যন্ত্রণা পোহাতে হয়। ঘামাচি রোগটি আকারে ও প্রকারে ছোট, কিন্তু খুব অস্বস্তিকর। ঘামাচি দূর করার কিছু ঘরোয়া উপায় রইল এ লেখায়।  

কেন হয় ঘামাচি
গরমকালে শরীর ঘেমে গিয়ে ঘামগ্রন্থির নালি বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ঘামের বিভিন্ন উপাদান ঠিকমতো বের হতে পারে না। ত্বকের বিভিন্ন স্তরে জমা হয়ে তৈরি করে ঘামাচি। আঁটসাঁট পোশাক পরলেও অনেক সময় ঘামাচি হতে পারে। কিছু কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ঘামাচি হিসেবেও হয়ে থাকে।

ঘামাচি দূর করার ঘরোয়া সমাধান
• আইসব্যাগ বা গামলায় ঠান্ডা পানি বা বরফ নিয়ে ঘামাচি আক্রান্ত স্থানগুলোতে সেঁক দিন। অন্তত ৫ থেকে ১০ মিনিট ধরে সেঁক দেবেন।
• ঘামাচির ওপর ঘৃতকুমারীর (অ্যালোভেরা) নির্যাস বা হলুদের সঙ্গে ঘৃতকুমারীর রস মিশিয়ে লাগিয়ে রেখে কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন। বেশ উপকার পাবেন।
• ঘামাচি তাড়াতে নিমপাতা এক দারুণ প্রাকৃতিক দাওয়াই। গোলাপজলমিশ্রিত নিমপাতার রস ঘামাচির ওপর লাগালে ঘামাচি মরে যায়।

• ত্বক ও চুলের যত্নে মুলতানি মাটি ব্যবহৃত হয়ে আসছে যুগ যুগ ধরে। তবে এটি চর্মরোগের প্রাকৃতিক ওষুধ হিসেবেও কার্যকর। এই মাটি গোলাপজল দিয়ে পেস্ট করে ঘামাচির ওপর লাগিয়ে রাখুন। কিছুক্ষণ রাখার পর শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলবেন।
• ঘামাচি দূর করায় বেকিং সোডাও বেশ উপকারী। ঠান্ডা পানিতে বেকিং সোডা মিশিয়ে নিন। তাতে পরিষ্কার কাপড় ভিজিয়ে ত্বকে কিছুক্ষণ রেখে দিন। এরপর হাত দিয়ে ধীরে ধীরে মুছে নিন।
• বৃষ্টির পানিও ঘামাচি দূর করতে সহায়ক ভূমিকা রাখে। বৃষ্টি হলে ভিজতে পারেন।
• সম্ভব হলে শীতাতপনিয়ন্ত্রিত ঠান্ডা ঘরে থাকুন। না হলে ঘরে বৈদ্যুতিক পাখা চালু রাখুন। দরজা-জানালা খোলা রাখুন, যেন বাতাস চলাচল করতে পারে। গরম আবহাওয়া এড়িয়ে চলুন।