কী করে হবেন আকর্ষণীয়, বিজ্ঞান যা বলে

প্রতীকী ছবি

মানুষ কী করে হবে আকর্ষণীয়? কেবল চোখের দেখন নয়, আছে বিজ্ঞানের সত্য এর পেছনে। তেমন ১০ গুণের কথা জানা যাক।

১. সঠিক বিএমআই

বডি মাস ইনডেক্স বা বিএমআই নির্ণয় করা হয় দীর্ঘ কতটুকু আর ওজনের অনুপাত দিয়ে। গবেষণায় দেখা গেছে, ২০ দশমিক ৮৫ অনুপাত সবচেয়ে আকর্ষণীয় নারীদের জন্য। সুস্বাস্থ্যের লক্ষণ আর আছে প্রজননের দারুণ ক্ষমতা।
আরেক দেহ অনুপাত হলো কোমর আর হিপের অনুপাত। দেখা গেছে, ০ দশমিক ৬৭ থেকে ১ দশমিক ১৮ নারীদের করে দারুণ আকর্ষণীয়। দেহের বাক আরেক আকর্ষণ। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার এক গবেষণায় দেখা গেছে, গুরু নিতম্ব নারীরা ইন্টেলিজেন্স টেস্টে করেছেন ভালো। এমনকি তাঁদের সন্তানেরাও।

২. নারীদের দীর্ঘ পদ আর পুরুষের হ্রস্ব

পায়ের দৈর্ঘ্যে দুই জেন্ডারে দুই রকম উপলব্ধি। মেয়েদের দীর্ঘ পায়ের আকর্ষণ বেশি আর পুরুষের পা একটু খাটো হলে এদের লাগে পেশল দেহ। আর প্রশস্ত কাঁধ।

৩. মুখের গড়ন

শক্তিশালী চোয়াল নারীদের আকর্ষণীয় করে। কেন? এর কারণ অজ্ঞাত। হরমোন এস্ট্রোজেন আর টেস্টস্টেরন নারী ও পুরুষের মুখের হাড়ের বৃদ্ধি আর গড়নের ওপর প্রভাব ফেলে। নারীদের ছোট ভ্রু আর চিবুক আর সুপ্রত্যক্ষ চোখ আকর্ষণীয়। পুরুষের এমন বিশিষ্ট চোয়াল আর ভ্রু হলে।

৪. মুখে কাটা দাগ থাকা না থাকা

পুরুষের মুখে কাটা দাগ আকর্ষণীয় হতে পারে যদি তা যথাযথ হয় মনে হয়, যেন রাগে আঘাত হয়েছে। তবে তা স্বল্পস্থায়ী সম্পর্কের জন্য। দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্কের জন্য দাগহীন মসৃণ মুখের পুরুষকে মনে হয় বেশি কেয়ারিং।

৫. আবেদনময় স্বর

এখানেও হরমোনের খেলা। পুরুষের নিচু গম্ভীর স্বর টেস্টস্টেরনের জন্য আর নারীর উচ্চস্বর হলো ফেমিনিন স্বর। নারীর পছন্দ পুরুষের এক সুরে কথা বা মনোটোন। অনেক সময় না দেখেও কেবল গলার স্বর আকৃষ্ট করতে পারে। দেখা গেছে, কারও কণ্ঠস্বর শুনে পরে তার সঙ্গে সাক্ষাতে সে–ও স্বরের প্রভাব আরও প্রগাঢ়ভাবে পড়ে।

৬. জিনগত মিল (জেনেটিকস ম্যাচ)

অতীতে মানুষ একই বংশে বিয়ে করত প্রায়ই। এর একটি দীর্ঘ প্রতিক্রিয়া ছিল। আমাদের মধ্যে যা একরকম, সেদিকে আকর্ষণ বাড়ে মনে করে নিলে বেশি স্বস্তি; আর তা ভালো হবে সন্তানদের জন্যও।

৭. পরার্থপর আচরণ

কেবল দর্শনদারি কেন? আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব বিরাট প্রভাব ফেলে। নিঃস্বার্থ মনোভাব। গবেষণায় দেখা গেছে, ইতিহাসে পরার্থপর আচরণ ছিল আকর্ষণের বস্তু আর এমন আচরণের ব্যক্তিদের সঙ্গী হিসেবে পাওয়ার ইচ্ছা হতো। ইচ্ছুক আর দীর্ঘকাল সন্তানবৎসল আর প্রেমময় সঙ্গী ছিল কাম্য।

৮. সুসাম্য

আমরা একজনের চেহারা বর্ণনায় কেমন সামঞ্জস্য আর সুসাম্য আছে, তা বলি না। তবে অনেক গবেষণায় দেখা গেছে, মুখ আর শরীরের মধ্যে সুসাম্য আকর্ষণের বিষয়। বিজ্ঞানের ভাষায় যাদের বেশি হয় অক্সিডেটিভ স্ট্রেস, উৎসারিত হয় ফ্রি রেডিক্যালস, তাদের জরা আসে বেশি, আর তাই সুসাম্য আর থাকে না।

৯. মজাদার বা কৌতূহলোদ্দীপক

কিছু মানুষ বিরক্তিকর, দেখলে আসে বিরক্তি। আমাদের মগজের নজর বড় স্বল্পক্ষণের। তাই বিরক্তি লাগলে আমরা এড়িয়ে যাই। আবার ভিড়ের মধ্যে কোনো একটি মুখ দেখে আকৃষ্ট হই আমরা।

১০. বিশ্বস্ততা

একজন সঙ্গীর সব চেয়ে কাঙ্ক্ষিত হলো বিশ্বস্ততা। দুজনের মধ্যে বিশ্বাস, আস্থা খুব দরকারি। আন্তরিকতা আর সন্তান পালনে আগ্রহ, ভালো প্যারেন্টিং।