সিল্ক নিয়ে ফ্যাশন উইক
নেই রেশম বোনার খটখট আওয়াজ। তবে রেশমের ঐতিহ্যের উপস্থিতি একেবারে জ্বলজ্বলে। প্রদর্শনীতে ঢুকতেই চোখে পড়ে আমাদের চিরায়ত বুননযন্ত্র। আর তাতে প্যাঁচানো আছে রেশম সুতা। শুধু বাকি রয়ে গেল একজন বুনন জাদুকরের। তবে গ্যালারিজুড়েই নজরে আসবে বুননশিল্পীদের নিজ হাতে বোনা রেশম বা সিল্কের কাপড়ে তৈরি নানা পদের পোশাকের ঝলক।
কেবল শাড়ি নয়, সিল্ক থেকে আরও ভিন্ন কত ধরনের পোশাক তৈরি করা যায়, তার দেখা মিলেছে এ প্রদর্শনীতে। সিল্কের সহজাত সৌন্দর্য সামনে রেখে পোশাকগুলোতে করা হয়নি খুব বেশি ভারী কাজ। নরম বা টাফোটা সিল্ক, ডুপিয়ান, এন্ডি, আরগানজা—এ রকম নানান নামের সিল্কে তৈরি হয়েছে পোশাকগুলো।
বলছিলাম ফ্যাশন ডিজাইনারদের সংগঠন ফ্যাশন ডিজাইন কাউন্সিল অব বাংলাদেশ (এফডিসিবি) আয়োজিত ‘বাংলাদেশ কুটর উইক ২০২১’—এর কথা। যাকে এক অর্থে ফ্যাশন উইকও বলা যায়। ঢাকার গুলশান নর্থ অ্যাভিনিউয়ের ওয়াটারএজ গ্যালারিতে রেশম বা সিল্ক পোশাকের প্রদর্শনী শুরু হয়েছে আজ (২ ডিসেম্বর) থেকে। চলবে আরও ২ দিন।
এফডিসিবির সভাপতি মাহিন খান বলেন, ‘এ আয়োজনে আমরা চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিল্ক শিল্প নিয়ে কাজ করেছি। ৬০০ বছরের পুরোনো এ কাপড়ে একটি বৈশ্বিক রূপ দিয়ে একে একটি ভিন্ন আঙ্গিকে উপস্থাপনের চেষ্টাই এ আয়োজনের মুখ্য লক্ষ্য।’
প্রথম দিনে পোশাকের প্রদর্শনীর পাশাপাশি ছিল একটি ফ্ল্যাশ শো।
দেশের ১৭ জন ডিজাইনারের নকশা করা পোশাকে হেঁটেছেন মডেলরা। ফ্যাশন উইকে ডিজাইনার মাহিন খান, এমদাদ হক, শৈবাল সাহা, চন্দনা দেওয়ান, লিপি খন্দকার, শাহরুখ আমিন, ফাইজা আহমেদ, আফসানা ফেরদৌসি, তাসফিয়া আহমেদ, সায়িদা রশিদ, ফারাহ আনজুম, রিফাত রহমান, সারা করিম, ফারজানা নোভা, রুপু শামস, রিমা নাজ, নওসিন খায়েরের নকশা করা পোশাক স্থান পায় প্রদর্শনীতে।
প্রধান অতিথি হিসেবে আজ উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। এ ছাড়া ছিলেন জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাউরি, অভিনয়শিল্পী শম্পা রেজাসহ আরও অনেকে। প্রদর্শনীর পাশাপাশি এফডিসিবির একটি বইও উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি। তবে উপস্থিতির একাংশের মতে, এ আয়োজন আরেকটু গোছালো আর জমকালো হতে পারত।