ব্র্যান্ডের পেছনে দৌড়ান না আরিফিন শুভ
চোখ বন্ধ করে যেকোনো তারকার ইমেজ কল্পনা করুন। আপনার কল্পনায় কী আসে? গায়ে জারা বা র্যালফ লরেনের জামা, লুই ভুইতো আর গুচ্চির ব্যাগ, রোলেক্স, ওমেগা বা নিদেনপক্ষে ব্ল্যাঙ্কপেইনের ঘড়ি, পায়ে নাইকি বা ব্লুবেরির চকচকে জুতা, গা থেকে ভুরভুর করে ভেসে আসছে প্যারিস থেকে কেনা জয় বাই ডিওর বা শ্যানেলের সৌরভ; চোখে যদি থাকে রে ব্যানের রোদচশমা, তাহলে তো কথাই নেই! তবে সেই তারকা যদি হন আরিফিন শুভ, তাহলে আগের সবকিছু ভুলে যান।
ব্র্যান্ডের প্রতি যে গুটিকয়েক তারকার মোহ নেই, তাঁদের মধ্যে প্রথম সারিতে থাকবেন আরিফিন শুভ। সিক্স প্যাক শরীর বানানোর পর ইনস্টাগ্রামের বেশ কয়েকটি ছবিতে দেখা গেছে ‘শার্টলেস’ আরিফিন শুভকে।
তা–ও জিজ্ঞেস করলাম, কোন ব্রান্ডের পোশাকে স্বচ্ছন্দ আপনি? কোন দেশে গেলে কী কেনেন? উত্তর শুনে বুঝলাম, প্রশ্ন করে ভুল যা করার করে ফেলেছি।
‘যেটা পরে আমি কমফোর্টেবল, সেটাই পরি। খুব আঁটসাঁট পোশাক আমার পছন্দ নয়। আর ব্র্যান্ড? আমার কোন প্রিয় ব্র্যান্ড নেই। কোথাও গেলে আমি ব্র্যান্ডের জিনিস কিনতে ছুটি না। আমার কাছে এটা সময়, শ্রম আর টাকার অপচয় বলে মনে হয়।’
পোশাক নির্বাচনের ক্ষেত্রে যে ফেব্রিক, ডিজাইন, রং, প্রিন্টকে গুরুত্ব দেন। যেটা আরামদায়ক, স্বস্তিদায়ক, ফ্যাশনেবল আর তাঁর ব্যক্তিত্বের সঙ্গে যায়, সেটিকেই বেছে নেন। কোন অনুষ্ঠানের জন্য পরছেন, সেটিও গুরুত্বপূর্ণ। তবে কোনোভাবেই কোনো ব্র্যান্ডের প্রতি আলাদা টান বা প্রেম নেই শুভর।
আরিফিন শুভর আলমারিতে যে অনেক অনেক পোশাক এমনটাও নয়। ৮-১০টি পছন্দের পাঞ্জাবি আছে। এর ভেতর একটি আবার তাঁর মায়ের দেওয়া। সেটিই শুভর প্রিয় উপহার। প্রিয় রং মুডের ওপর নির্ভর করে। তবে আকাশি রংটার প্রতি এক ধরনের দুর্বলতা আছে শুভর। আর সব সময়ের প্রিয় রং সাদা–কালো।