দুজনের মধ্যে যে বয়ে গেছে ৪০টা বছর, তা যেন বোঝার উপায় নেই। ইতালির স্থানীয় সময় অনুযায়ী তখন ভোর। ভোগের ইতালি সংস্করণের জুলাই মাসের প্রচ্ছদে দেখা দিলেন মা–মেয়ে। যেন দুই পরির রূপের প্রতিযোগিতা চলছে। ম্যাগাজিনের দিকে অনেকক্ষণ তাকিয়ে থেকেও দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগছেন সবাই। কাকে রেখে কাকে দেখবেন।
অনেকেই গালে হাত দিয়ে নস্টালজিক হয়ে পড়বেন। দম আটকে এই নায়িকার দিকে তাকিয়ে থেকে আনমনে বিড়বিড় করে বলবেন বলবেন, মনিকার কী আর বয়স বাড়ে! তাঁর ওপর থেকেই তো চোখই সরে না! কিছুতেই যেন পুরোনো হবেন না বলে ঠিক করেছেন তিনি। দশকের পর দশক ধরে থাকবেন একই রকম আবেদনময়ী আর রহস্যময় তারুণ্যে ভরপুর।
যাঁর মায়ের নাম মনিকা বেলুচি, তাঁর দিকে একবার তাকিয়েই যে চোখ ফিরিয়ে নেওয়া যাবে না, সে তো ভবিতব্যই ছিল। এদিকে ১৬ বছর বয়সী ডেভা ক্যাসেলের মা ৫৬ বসন্ত পেরিয়েও যে চারপাশটা ঝলমল করে তুলছেন, তাতেও কেউ বিশেষ অবাক হননি।
মনিকা বেলুচি আর ভিনসেন্ট ক্যাসেলের বড় মেয়ে ডেভা ক্যাসেল; সম্প্রতি পা রেখেছেন মডেলিংয়ে। শুরুতেই বাজিমাত। ডলচে অ্যান্ড গ্যাবানার সঙ্গে বড় অঙ্কের চুক্তি করেছেন। হয়েছেন এই বিশ্বখ্যাত ফ্যাশন ব্র্যান্ডের নয়া মুখ। ‘ডলচে শাইন’ নামে নতুন পারফিউম বাজারে আনছে ডলচে অ্যান্ড গ্যাবানা। সেটিরই ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর বানিয়েছে এই ষোড়শীকে।
ভোগের প্রচ্ছদে মা–মেয়ে দুজনেই পরেছেন একই পোশাক। গাঢ় সবুজ রঙের স্ট্রেইন ড্রেস। পোশাকটি ডলচে অ্যান্ড গ্যাবানার নতুন কালেকশনের প্রধান আকর্ষণ। গাঢ় বাদামি চুল, মিনিমাল সাজ, নো মেকআপ লুক, ন্যুড লিপস্টিকে ঠোঁট, সব মিলিয়ে আভিজাত্যের সঙ্গে কমনীয়তা যেন একবিন্দুতে এসে মিলেছে।
কেবল মনিকা আর ডেভাই নয়, মনিকার সাবেক জীবনসঙ্গী, ডেভার বাবা, অভিনেতা ভিনসেন্ট ক্যাসেলও শেয়ার করেছেন ভোগের এই ছবি। ২০১৩ সালে বিচ্ছেদের পর এই প্রথম মনিকাকে নিয়ে পোস্ট দিলেন তিনি। সাবেক স্ত্রী আর মেয়ের ছবিটি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘ফ্যামিলি অ্যাফেয়ার’। এর সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন হার্ট ইমোজি।
ডেভা ক্যাসেল ২০২০ সালে এলের প্রচ্ছদে দেখা দিয়েছেন। এরও আগে মার্চে দেখা যায় হার্পারস বাজারের প্রচ্ছদে। ডেভা এখন অনলাইনে স্কুলের ক্লাসও করছে। আবার মডেলিংয়েও। এদিকে সাত বছর ধরে ‘রিলেশনশিপ সিঙ্গেল’ নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন মনিকা। যদিও সম্প্রতি আলোচনায় এসেছেন নতুন প্রেমিকের হাত ধরে, প্যারিসের পথে। নিকোলাস লেফেভ নামের এক ভাস্করের সঙ্গে তিন বছর হলো অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে প্রেম করছেন।
নিকোলাস বয়সে মনিকার চেয়ে ১৮ বছরের ছোট। তাঁরও আনাহি নামের আট বছর বয়সী একটা মেয়ে আছে। প্যারিসে মনিকা ও তাঁর দুই মেয়ে, প্রেমিক ও তাঁর এক মেয়ে সবাই একসঙ্গেই থাকছেন।
১৯৯৬ সালে ‘দ্য অ্যাপার্টমেন্ট’ সিনেমার সেটে অভিনয় করতে করতে এক ফাঁকে প্রেম হয় সহশিল্পী ভিনসেন্ট ক্যাসেলের সঙ্গে। তিন বছর পর হয় আংটিবদল। তারপর মালাবদল। এই জুটি এক ছাদের নিচে ছিলেন দীর্ঘ ১৪ বছর। তাঁদের সংসারে জন্ম নেওয়া দুই মেয়ে ডেভা (১৬) আর লিওনি (১০)।