কারোনাকালের অনুষ্ঠান যেমন হওয়া উচিত, সেটা হয়েছে বোধ করি। তাই তো এবার নিউইয়র্কে ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠিত হয়েছে এমটিভি ভিডিও মিউজিক অ্যাওয়ার্ড। এর ফলে সম্মাননা অনুষ্ঠানের রেড কার্পেট ছিল অন্য সময়ের চেয়ে আলাদা। তবুও চোখে পড়েছে সীমিতসংখ্যক সেলিব্রেটির ফ্যাশনেবল উপস্থিতি। তাই কোভিডকালের ম্লানতাকে দূর করে দিয়েছে তারকাদের জমকালো পোশাকে উপস্থিতি। প্রত্যেকেই পরেছেন একাধিক ডিজাইনার আউটফিট।
এরিয়ার পোশাকে ফ্যাশন আইকন কেকে পামার ছিলেন এবারের আসরে সঞ্চালক। ভারসাচির ফোরাল রোমান্টিক মিনি ড্রেসে উপস্থিত ছিলেন জয় কিং। জিয়ামবাতিসতা ভাল্লির কোমরে রাফলস দেওয়া লাল গাউনে আলো ছড়ান সোফিয়া কারসন। দোয়্যা ক্যাটের লাল গালিচায় উপস্থিতি পিঠখোলা লাল সিকুইন বসানো ভারসাচি ড্রেসে।
তবে চোখ ধাঁধিয়েছে মাইলি সাইরাসের সি থ্রু শের ড্রেস আর মেশিনগান কেলির শকিং পিঙ্ক আউটফিট। তাঁর স্বচ্ছ পোশাক ছিল ফ্যাশন হাউস থিয়েরি মাগলারের। ফ্যাশন পুলিশদের মতে, এবারের আয়োজনের বেস্ট ড্রেসড ব্যক্তি নাকি জাডেন স্মিথ। মাল্টি প্যাস্টেল কালার ব্লেজার আর হট পিঙ্ক স্লিম সানগ্লাসের সাধারণ সাজেও উজ্জ্বল অভিনেতা উইল স্মিথের ছেলে জাডেন।
তবে সবচেয়ে বেশি নজর কেড়েছে লেডি গাগার সামাজিক দূরত্বের কত্যুর ফ্যাশন। বরাবরই বিভিন্ন মহা আয়োজনে কিম্ভূতকিমাকার সাজের জন্য আলোচনায় থাকেন। শিরোনামও হন। আবার সমালোচনার মুখেও পড়েন। অবশ্য গাগার এবারের অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানের সাজ বেশ প্রশংসিত হয়েছে।
তাঁকে দেখা গেছে মোট ৯টি বিখ্যাত ব্র্যান্ডের দৃষ্টিনন্দন কত্যুর কালেকশনে। ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে আইরিস ভন হারপেন, ক্রিস্টোফার জন রজারস, ভ্যালেন্টিনো, এরিয়া ছিল উল্লেখযোগ্য। প্রতিটি পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে পরেছেন অদ্ভুত সব মাস্ক। এমনকি মঞ্চে পরিবেশনার সময়ও এর ব্যতিক্রম হয়নি। গানের মাঝেই সবাইকে বলেন, ‘নিজেকে উদযাপন করুন, সদয় হন, মাস্ক পরুন।’ এভাবেই তিনি দর্শকদের নিজেদের সুরক্ষার খাতিরে সব সময় মাস্ক পরে থাকতে উৎসাহিত করেছেন।