ছবিতে জাঁকালো গয়না ব্যবসায়ীর ‘সাদামাটা’ বিয়ে

মহামারির 'সাদামাটা বিয়ে' রয়েছে ট্রেন্ডে। সফল ডিজাইনার, ব্যবসায়ী আর উদ্যোক্তা হয়েও তেমনই এক ছিমছাম বিয়ে করলেন সীমার। ভারতের তরুণ নারী উদ্যোক্তাদের মধ্যে অল্প সময়ে জায়গা করে নিয়েছেন সীমার রানা। তাঁর গয়নার ব্র্যান্ডের নাম সো ফেচ। এই লেবেলের সব গয়নাই তাঁর ডিজাইন করা। অথচ নিজের বিয়ের সব আয়োজনে পরা গয়নার ডিজাইন রেখেছেন একেবারেই সাধারণ। সাজ আর গয়নায়ও ছিল হালের মিনিমালিস্টিক অ্যাপ্রোচ। সম্প্রতি তরুণ এই ভারতীয় নারী উদ্যোক্তা বিয়ে করলেন তাঁর চার বছরের প্রেমিক অভিমন্যু মালিককে। ‘ডেস্টিনেশন ওয়েডিং’-এর জন্য বেছে নিয়েছেন উদয়পুরের এক পুরোনো রাজবাড়ি। এই বাড়ির চারপাশ ঘিরে রয়েছে স্বচ্ছ পানির লেক। সেখানেই হয়েছে প্রি-ওয়েডিং আর পোস্ট ওয়েডিং ফটোশুট। একনজরে দেখে নেওয়া যাক এই বিয়ের এক ডজন ছবি। ছবির ক্যাপশনে জেনে নেওয়া যাক বিয়ের আদ্যোপান্ত। ‘ভোগ ইন্ডিয়া’ ম্যাগাজিনের হয়ে ছবিগুলো তুলেছেন গৌতম খুল্লার।
১ / ১৭
একটা পার্টিতে সীমার আর অভিমন্যুর প্রথম দেখা। এরপর এক রাতে এই দুজনের দীর্ঘ আর গভীর আলাপ হলো। ২০১৭ সালের এপ্রিলের সেই আলাপের পরেই বদলে গেল দুজনের জীবনের মোড়। এরপর সম্পর্ক গভীর হতে হতে একসময় প্রেমের সম্পর্কে মোড় নেয়
২ / ১৭
তিন বছর আগেই, তখন তাঁদের প্রেমের সম্পর্কের এক বছর চলছে, এই দুজনে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু সেই সিদ্ধান্তে বাগড়া দিল মহামারি। কিন্তু পরিবার, বন্ধু আর কাছের আত্মীয়স্বজনকে নিয়ে উড়াল দিয়ে ডেস্টিনেশন বিয়েই করতে চেয়েছিলেন এই জুটি। তাই অপেক্ষা করলেন। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, গায়ে হলুদে মা মেয়েকে
৩ / ১৭
উদয়পুর ভারতের ঐতিহ্য আর সংস্কৃতির অন্যতম ধারক আর বাহক। এ ছাড়া যে জায়গাটি তাঁরা বিয়ের জন্য বেছে নিয়েছেন, এর চারপাশেই রয়েছে সুদৃশ্য লেক। লীলা প্যালেসকে বিয়ের জন্য বেছে নেওয়ার কারণ হিসেবে ডিজাইনার সীমার ভোগ ইন্ডিয়াকে বলেন, ‘আমরা একবার এখানে ঘুরতে এসেছিলাম। এখানে পা রেখেই আমাদের দুজনেরই প্রথম যেটা মনে হয় তা হলো, আমরা এই জায়গাতেই বিয়ে করতে চাই। তা ছাড়া এই প্যালেসের চারপাশ লেকে ঘেরা।’ ছবিতে গায়ে হলুদের সাজ সজ্জার একাংশ
৪ / ১৭
তিনদিনে হয়েছে বিয়ে। প্রথমদিন গায়ে হলুদ, রাতে মেহেদি আর সঙ্গীত। পরদিন বিয়ে। তৃতীয়দিন বিয়ের পার্টি
৫ / ১৭
গায়েহলুদে সীমার পরেছিলেন সাদা তাজা ফুলের গয়না। আর মেকআপ করেছেন নাকি করেননি, সেটাই বুঝে ওঠা দায়
৬ / ১৭
বিয়ের প্রতিটি আয়োজনের সীমারের সাজ ছিল যথাসম্ভব সিম্পল, পরিপাটি, ছবিতে বিয়ের জন্য তৈরি সীমার
৭ / ১৭
ডেস্টিনেশন ওয়েডিংয়ে ব্যবহৃত ফার্নিচারগুলো দিল্লি থেকে টেনে আনা। তাই অল্প কয়েকটা আসবাব আর সাজানোর জিনিস দিয়েই হয়েছে তিন দিনের সব আয়োজন, ছবিতে ভাইয়েরা নিয়ে যাচ্ছে কনেকে
৮ / ১৭
বিয়েতে অভ্যাগতের সংখ্যাও ছিল হাতেগোনা। পরিবার, কাছের বন্ধুবান্ধব আর আত্মীয়রাই শুধু অংশ নিয়েছেন। বিয়েতে অতিথিদের পাতে দেওয়া হয়েছিল রাজস্থানি ঐতিহ্যবাহী খাবার। ছিল বেশ কয়েক পদের মাছ ছবিতে সাত পাক ঘুরছে বর বউ
৯ / ১৭
বিয়ের সাজ নিয়ে এই ডিজাইনার বলেন, ‘ভারী গয়না, মেকআপ করে বউ সাজার পাত্রী আমি নই। বিয়েটাকে আমি “স্ট্রেসফুল” করতে চাইনি। যাতে কোনো টেনশন নিতে হয়। আমি আমার মেকআপ আর্টিস্ট আর ছোটবেলার বান্ধবী জাসনিত চৌধুরীকে বলে দিয়েছি, যেটুকু না হলেই নয়, কেবল সেটুকু করতে। আমি এমনভাবে সেজেছি, যাতে কারও দেখে দমবন্ধ অনুভূতি না হয়। আমার সব সময় এ রকম সিম্পল, সাদামাটা বউ সাজারই শখ ছিল।’
১০ / ১৭
মেহেদীর রাতে পরেছিলেন গোলাপী লেহেঙ্গা
১১ / ১৭
পোস্ট ওয়েডিং পার্টি আর ফটোশুটে সীমারের পরনে ছিল মনীষ মালহোত্রার ডিজাইনে সিকুইনের কাজ করা লেহেঙ্গা
১২ / ১৭
এই লেহেঙ্গার পুরোটা জুড়ে সিকুইন, এমব্রইয়েডারি আর জরির কাজ
১৩ / ১৭
চলছে পোস্ট ওয়েডিং পার্টি
১৪ / ১৭
হলুদে সীমার যে লেহেঙ্গাটি পরেছিলেন, অনেক আগেই সেটি কিনে রেখেছিলেন তিনি। কিন্তু কয়েকবার ট্রায়াল দিলেও কখনো কোনো অনুষ্ঠানে পরা হয়নি। তাই হলুদে নতুন কোনো পোশাক না কিনে সেটিই পরেছিলেন, ছবিতে গায়ে হলুদের সকালে তৈরি বর বউ
১৫ / ১৭
গায়েহলুদে সীমার পরেছিলেন অনামিকা খান্নার ডিজাইন করা লেহেঙ্গা। লেহেঙ্গার পুরোটাই হাতে কাজ করা, ছবিতে বরকে হলুদ মাখিয়ে দিচ্ছেন বউ
১৬ / ১৭
বিয়েতে সীমার পরেছিলেন সব্যসাচীর নকশা করা হালকা গোলাপী লেহেঙ্গা
১৭ / ১৭
গয়না বলতে কেবল টিকলি, নথ, কানের দুল আর গলায় ছোট হার