নোরাকে ‘ধুয়ে দিচ্ছেন’ নেটিজেনরা, ভাইরাল সেই সাক্ষাৎকারে কী বলেছেন তিনি
মা–বাবা দুজনই মরক্কোর। জন্ম আর বেড়ে ওঠা কানাডায়। ক্যারিয়ার গড়েছেন ভারতে। যদিও নিজেকে মরোক্কান হিসেবে পরিচয় দিতেই ভালোবাসেন এই অভিনেত্রী, নৃত্যশিল্পী। সম্প্রতি ‘ব্রুট ইন্ডিয়া’ ইউটিউব চ্যানেলে গিয়ে তিনি এমন কিছু কথা বলেছেন, যা নিয়ে চলছে আলোচনা–সমালোচনার ঝড়। নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন, কার কথা বলা হচ্ছে। তিনি আর কেউ নন, বলিউডের ‘ড্যান্স কুইন’ ও অভিনেত্রী নোরা ফাতেহি।
সাক্ষাৎকারের সেই ভিডিওর নিচে মন্তব্যে নোরাকে ‘ধুয়ে দিচ্ছেন’ ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা। একজন লিখেছেন, ‘এত ফালতু কথা আমি জীবনে শুনিনি। বুঝেছি, উনি কাদের খুশি করতে এসব কথা বলছেন! ওনার ভক্তরা তো সাধারণত পুরুষ। উনি আসলে ওনার পুরুষ ভক্তদের খুশি করতে চান।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘নারীবাদ কখনো বলে না যে পুরুষ খারাপ বা তুমি একা থাকো। আপনি তো নারীবাদের মানেই জানেন না। উদ্দেশ্যই বোঝেন না। আপনি জেনেশুনে এসব আবলতাবল বকছেন। আপনি আসলে একজন সুবিধাবাদী ভন্ড।’
আরেকটি মন্তব্য এ রকম—‘উনি কেন এখনো বিয়ে করে বাচ্চা লালনপালন না করে “বেপর্দা হয়ে” নাচানাচি করে বেড়াচ্ছেন? সিনেমায় যতই নায়িকা হন না কেন, ব্যক্তিগত জীবনে আপনি আসলে একটা খলচরিত্র।’
রণবীর আল্লাবাদিয়ার সেই পডকাস্টে আসলে কী বলেছেন নোরা ফাতেহি?
‘কুসু কুসু’, ‘সাকি সাকি’খ্যাত এই আইটেম ড্যান্সার বলেছেন, ‘নারীবাদ আসলে সমাজটাকে ধ্বংস করে ফেলেছে। আমি বলছি না যে মেয়েরা পড়াশুনা করবে না বা চাকরি করবে না; অবশ্যই করবে। তবে এর একটা মেয়াদ বা সময়কাল আছে। পুরুষ চাকরি করবে, টাকা উপার্জন করবে, খাবার আনবে, পরিবারকে রক্ষা করবে। অন্যদিকে নারী মা হবে, সন্তানের দেখাশোনা করবে, রান্না করবে, ঘরের কাজ করবে। নারী–পুরুষের ভূমিকা এমনই হওয়া উচিত। এতে খারাপ কী! আমি এভাবেই চিন্তা করি। শুনলে মনে হবে, আমি হয়তো এখনো আদ্যিকালেই পড়ে আছি বা “ওল্ড স্কুল”। তবে এটাই আমার বিশ্বাস।’
৩২ বছর বয়সী নোরা আরও বলেন যে একটা ক্যান বা ড্রিংকের বোতল ঝাঁকানোর পর এর মুখ খোলার পর যেভাবে সব বেরিয়ে পড়ে, নারীবাদেরও নাকি এখন সেই অবস্থা। গত ১৫ থেকে ২০ বছরে নারীবাদের এমন ‘বেহাল’ হয়েছে।
নোরার বক্তব্যের সঙ্গে কিছু মানুষ সহমতও জানাচ্ছেন। যদিও তাঁদের সংখ্যা নগণ্য। সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে কুনাল খেমুর পরিচালনায় নোরা অভিনীত ‘মাদগাঁও এক্সপ্রেস’। অনেকে আবার বলছেন, সিনেমা মুক্তির সময় আলোচনায় থাকতেই এসব কথা বলে বেড়াচ্ছেন। হাতে কাজ নেই, তাই অন্যের মনোযোগ আকর্ষণের জন্যও এসব বলতে পারেন বলে মত দিচ্ছেন আরেক পক্ষ।