শরীরে স্প্রে করে রানওয়েতেই তৈরি হলো পোশাক
সেপ্টেম্বরের ২৬ তারিখ থেকে শুরু হয়েছে প্যারিস ফ্যাশন উইকের দ্বিতীয় মৌসুম। চলবে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত। ‘উইমেনস ওয়্যার স্প্রিং–সামার ২০২৩’-এর নানান সংগ্রহ ফ্যাশন–বিশ্বে তুমুল আলোচনার রসদ জোগাচ্ছে। তবে সবাইকে ছাপিয়ে গেছে প্যারিসভিত্তিক ফরাসি ব্র্যান্ড কোপার্নি।
প্যারিস ফ্যাশন উইকের এবারের অন্যতম আকর্ষণ ছিল কোপার্নির শো। কোপার্নিও আয়োজনে কোনো কমতি রাখেনি। সুপারমডেল বেলা হাদিদকে অন্য রূপে হাজির করে তারা। শোয়ের শেষ আকর্ষণ হিসেবে প্রায় নগ্ন অবস্থায় রানওয়েতে আসেন বেলা। পরনে যেটুকু না থাকলেই নয়, সেটুকুই ছিল কাপড়। বেলাকে এমন অবস্থায় দেখে সবাই অবাক।
একপর্যায়ে উপস্থিত কয়েকজন বেলার শরীরে স্প্রে করতে থাকেন। স্প্রেটি আসলে বিশেষ ধরনের ফেব্রিক। শরীরের চামড়ার সংস্পর্শে এসে শুকিয়ে কাপড়ে পরিণত হয়। এভাবে ৯ মিনিটে রানওয়ের ওপরই তৈরি হয় বেলার পরনের কাঁধখোলা স্লিট স্লিপ ড্রেস। একজন স্টাইলিশ সেটি ঠিক করে দিতেই হাঁটতে শুরু করেন বেলা। কে বলবে দর্শকদের চোখের সামনে, মাত্র ৯ মিনিটে, স্প্রে থেকে তৈরি হয়েছে এই পোশাক!
এই বিশেষ স্প্রের উদ্ভাবক ফেব্রিক্যান লিমিটেডের পরিচালক ডা. ম্যানেল টোরেস। শোটি তাই তাঁকেই উৎসর্গ করেছেন ডিজাইনার আরনাড ভিল্যান্ট। বলেছেন, ‘আমরা এই বিশেষ মুহূর্তটা ড. ম্যানেলকে উৎসর্গ করতে চাই। আমাদের তিনি অনেক দিয়েছেন। তাঁর উদ্ভাবনী আমাদের প্রতিনিয়ত সামনে এগিয়ে নিয়ে যায়। জাদুকরি এই মুহূর্ত তো তাঁর জন্যই তৈরি হলো।’
খুব অল্প সময়ে কোপার্নিকে বৈশ্বিক ব্র্যান্ডে পরিণত করেছেন সেবাস্তিয়ান মেয়ের আর আরনাড ভিল্যান্ট। এই দুজন ছোটবেলার বন্ধু। একজন ডিজাইন করেন, আরেকজন সামলান ব্যবসা। গত বছর গ্রিসের এক দ্বীপে গিয়ে সেরে এসেছেন বিয়ের আনুষ্ঠানিকতাও। রানওয়েতে পোশাক তৈরি করে শো করার আইডিয়াটাও এই দুজনের মাথা থেকেই এসেছে।
সময়ের বিভিন্ন উপাদান নিয়ে খেলতে ভালোবাসেন এই দুই ডিজাইনার। নারীর পোশাকের এই সংগ্রহেরও অনুপ্রেরণা সাবেকি সংস্কৃতি, তবে সঙ্গে যুক্ত করেছেন আধুনিক উপাদান আর প্রযুক্তি। সফল শো শেষে মেয়েরও হেসে বলেছেন, সংগ্রহটি নাকি অনলাইন গেম রোবক্স–এর চরিত্রগুলো থেকে অনুপ্রাণিত।