বালুর গাউনে বাজিমাত

বালুর গাউনে টায়লা
ছবি: রয়টার্স

মেট গালা উদ্ভট পোশাক আর স্টাইলেরও সমাহার। শুধু স্টাইল নয়, প্রতিবছর পোশাকের উপকরণেও মেলে ভিন্নতা । মাংস থেকে শুরু করে কাচ, ধাতব বস্তু, প্লাস্টিক; হাতের কাছে যা মিলেছে, তা দিয়েই বানানো হয়েছে পোশাক। এবারও ব্যতিক্রম হয়নি, মেট গালায় মিলেছে বালুর তৈরি পোশাক।

ছয় জনের সহায়তায় নিজেকে মেট গালায় মেলে ধরেন টায়লা
ছবি: রয়টার্স

এই অদ্ভুত আইডিয়ার কারিগর দক্ষিণ আফ্রিকান সঙ্গীতশিল্পী টায়লা। ২২ বছর বয়সী তরুণ এই সঙ্গীতশিল্পী এবারই প্রথমবারের মতো দাওয়াত পেয়েছেন মেট গালায়। বিগত কয়েক বছর ধরেই ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিতে উঠতি তারকা হিসেবে সুনাম কুড়িয়েছেন তিনি। বিশেষ করে গ্র্যামির মঞ্চে বেশ সাড়া জাগিয়েছিল তার পোশাক। নিজের প্রথম মেট গালাকে স্মরণীয় করে রাখতে তাই চেষ্টার কোন কমতি ছিল না। পরিশ্রম যে বৃথা যায়নি, তার প্রমাণ বালুর এই বডিকন গাউন।

২২ বছর বয়সী তরুণ সঙ্গীতশিল্পী টায়লা এবারই প্রথমবারের মতো দাওয়াত পেয়েছেন মেট গালায়
ছবি: রয়টার্স

নিজের প্রথম মেট গালা নিয়ে অনেকদিন ধরেই উত্তেজিত টায়লা। গালার প্রায় মাসখানেক আগে থেকেই ফরাসি লাক্সারি ফ্যাশন হাউজ বালমেইনের সঙ্গে পোশাকের ডিজাইন নিয়ে শুরু হয় আলোচনা। ড্রেসকোড আর থিম মাথায় রেখে ভিন্ন কিছু উপহার দেওয়াই ছিল টায়রা আর এই ফ্যাশন হাউজের লক্ষ্য।

বালমেইনের ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর অলিভিয়ার রসটেইং ভোগকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘প্রতিনিয়ত ফ্যাশনের সীমানা ছাড়িয়ে যাওয়া আমাদের লক্ষ্য। বালুর মতো ক্ষণস্থায়ী একটা বস্তু দিয়ে পোশাক তৈরি করা এবং মেট গালায় তা উপস্থাপন করতে পারাটা আমাদের জন্য দারুণ ব্যাপার। এর থেকে আনন্দের খুশির কিছু হতে পারে না।’

এই সেই বালুর তৈরি বডিকন মারমেইড গাউন
ছবি: রয়টার্স

টায়লাও গলা মেলালেন একই সুরে। বরলেন, ‘নিজের প্রথম মেট গালার জন্য আমি শুরু থেকেই অনেক উত্তেজিত ছিলাম। বালমেইনের ডিজাইনারদের স্কেচ দেখে এক বাক্যে রাজি হয়ে গিয়েছিলাম। যদিও মনের মধ্যে ভয় ছিল, বালুর মতো বস্তু দিয়ে বানানো পোশাক টিকে থাকবে তো? কিন্তু এখনও পর্যন্ত সবটা ঠিকঠাকই আছে।’

এই বালুর পোশাক তৈরি করতে পোড়াতে হয়েছে অনেক কাঠখড়
ছবি: রয়টার্স

এই বালুর পোশাক তৈরি করতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। পোশাক তৈরির জন্য প্রথমে টায়লার শরীরের নিখুঁত মাপ নেয় তারা। সেই মাপ অনুযায়ী তৈরি হয় ছাঁচ। সেই ছাঁচে বসানো হয় তিন রংয়ের বালু ও মাইক্রো ক্রিস্টাল। কাঁধখোলা গাউনের সঙ্গে ছিল মৎস্যকন্যার মতো ট্রেইন। তাই মেট গালার সিঁড়ি বেয়ে উঠতে চারজনের সাহায্য নিতে হয়েছে টায়রাকে।

শুধু বালুর তৈরি পোশাকই না, টায়লার হাতে ছিল হ্যান্ডব্যাগের মতো করে ঝোলানো বালমেইনের তৈরি একটি বালুর ঘড়ি। থিমের সঙ্গে পুরোপুরি মানিয়ে গিয়েছিল তার পোশাক। হাতে ও কানে ছিল এশীয় লাক্সারি জুয়েলারি ব্র্যান্ড জন হার্ডির জুয়েলারি।


তথ্যসূত্র: ভোগ ও ভ্যানিটি ফেয়ার