পোশাকে লেইসের ব্যবহার করা হচ্ছে যে কারণে
লেইসের ব্যবহার পুরো পোশাকেই নিয়ে আসে ভিন্নতা। লেইসের জনপ্রিয়তা শুরু হয়েছে সেই ভিক্টোরিয়ান যুগ থেকে। আবেদন শেষ হয়নি আজও। বরং নিত্যনতুন রূপে প্রকাশ পাচ্ছে এর ব্যবহার ও স্টাইলিং।
গরমের সময় সাদা লেইসের ব্যবহার বেশি দেখা যাচ্ছে পোশাকে। গলায়, হাতে, পোশাকের নিচে লেইস লাগানোর চল ছিল, আছে, থাকবে। ডিজাইনাররা এর বাইরেও নানাভাবে লেইস লাগাচ্ছেন এখন পোশাকে।
পোশাকের শেষ প্রান্তে লাগানো নানা নকশার লেইসগুলো কাব্যিকভাবে নতুন চাহনি তৈরি করে। ফ্রেঞ্চ লেইস, টরশন লেইস, নেট লেইস, অ্যাপ্লিক লেইস, টুল লেইস, ফিলে লেইস, আইলেট লেইস, চ্যানটিলি লেইস ইত্যাদি বাহারি নামে খুঁজে পাওয়া যায় এদের। কখনো নকশা, কখনো উপকরণ আবার কখনো উদ্ভাবকের নামে নামকরণ হচ্ছে এই লেইসগুলোর।
গরমের এ সময় আইলেট লেইস, ক্রুশকাঁটা লেইস, সুতির সুতায় বানানো লেইসগুলো পছন্দের তালিকায় একটু এগিয়ে আছে। সাদা লেইসে ভিন্নতা আনতে ডাইও করা হচ্ছে। চিকন ও মোটা দুই আকারের লেইসই ব্যবহার করা হচ্ছে। একদম শুরু থেকে যদি ধরা হয়, কখনো কলার ভরাট করে লেইস লাগানো হচ্ছে, আবার কখনো লেইসের ব্যবহার করেই গলার নকশা বানানো হচ্ছে। হাতার নিচে লেইস লাগানোর চল তো পুরোনো।
ভিন্নতা আনতে এখন হাতার মাঝেও লেইস লাগানো হচ্ছে। শাড়ির চারপাশ দিয়ে যেমন লেইসের ব্যবহার আছে, তেমনি শাড়ির ভেতরেও লেইসের ব্যবহার নতুনত্ব নিয়ে আসছে। পায়জামার নিচেও চওড়া লেইস পছন্দ করেন অনেকেই। সেটাও আছে চলতি ধারায়।
পোশাকে লেইসের মূল কাজ কী? যেকোনো ধরনের পোশাকের মাধুর্য বাড়ায়, সৌন্দর্য ও আভিজাত্য তুলে ধরে লেইস। লেইসের ব্যবহারে নরম একটা আমেজ চলে আসে সাজে। একই পোশাকে নানা নকশার লেইসও লাগানো যায়। শুধু চাই জায়গা বুঝে ব্যবহার।
ছিমছাম লুক তৈরি করতে পারে সহজেই। সাধারণ সুতি পোশাকেও যে স্টাইলিশ লুক আনা যায়, সেটা ছবির পোশাকগুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে। গরমের সময় দুপুরের দাওয়াতে বা কর্মক্ষেত্রেও মানিয়ে যাবে এই পোশাকগুলো। সহজাত, সৌন্দর্য ও স্নিগ্ধতা তুলে ধরবে এসব লেইসের পোশাক।