২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

মাথায় দিয়ে টায়রা...

টিকলি বা টায়রা পরলে চুলের স্টাইলও হওয়া চাই নজরকাড়া। মডেল: নুসরাত ফারিয়া, ছবি: নকশা
টিকলি বা টায়রা পরলে চুলের স্টাইলও হওয়া চাই নজরকাড়া। মডেল: নুসরাত ফারিয়া, ছবি: নকশা

সাজসজ্জায় ভিন্নতা আনতে আপনার পোশাকে যেমন নতুন মাত্রা যোগ করতে পারেন, তেমনি খেলতে পারেন চুলের স্টাইল নিয়েও। আর জমকালো অনুষ্ঠানে জমকালো সাজতেও চুলের চেনা স্টাইলে ভিন্নতা আনে টিকলি, টায়রা কিংবা ঝাপটা।
ছোটবেলার ছড়াটা মনে আছে? বাকবাকুম পায়রা, মাথায় দিয়ে টায়রা, বউ সাজবে কাল কি, চড়বে সোনার পালকি। আজকাল কিন্তু শুধু বউরাই মাথায় টায়রা পরেন না। যে কেউই সাজ আর পোশাকের সঙ্গে মানানসই টায়রা ব্যবহার করতে পারেন। শুধু টায়রা কেন, ব্যবহার করতে পারেন ঝাপটা আর টিকলিও। তবে খেয়াল রাখতে হবে পোশাক, চুলের স্টাইল আর কোন কোন অনুষঙ্গ চুলে ব্যবহার করছেন, সে বিষয়ে; বললেন রূপবিশেষজ্ঞ আফরোজা পারভীন। চুলের এসব অনুষঙ্গ ব্যবহারের কিছু পরামর্শও দিলেন তিনি।
শাড়ি বা লেহেঙ্গার সঙ্গে শুধু টিকলি পরা যায় অথবা টিকলির সঙ্গে ঝাপটাও পরা যায় চুলে। আবার ঝাপটা না পরলে টিকলির সঙ্গে টায়রা পরা যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে মাঝে সিঁথি করে দুই পাশে টায়রা ও মাঝে টিকলি পরা যায় আবার এক পাশে সিঁথি করে মাঝে টিকলি ও যেকোনো এক পাশে টায়রা পরা যায়। টিকলির সঙ্গে টায়রা ব্যবহারের সময় এক পাশে সিঁথি করে মাঝে টিকলি ও এক পাশে টায়রা পরা যায়। শুধু টিকলি মাঝখানে সিঁথি করেই সাধারণত পরা হয়। কিন্তু চুল পেছন দিকে টেনে বাঁধলেও মাঝখানে টিকলি পরা যায়। পোশাক শাড়ি বা লেহেঙ্গা হলে পেছনের চুল বেঁধে নেওয়াই ভালো। এ ক্ষেত্রে বেণি অথবা খোঁপা বেশি মানানসই হবে। যাঁরা এক পাশে সিঁথি করবেন, তাঁরা চাইলে অন্য পাশে সামনের কিছু অংশ পেঁচিয়ে পেছন দিকে নিয়ে বেঁধে দিতে পারেন।
সালোয়ার-কামিজ কিংবা অন্য কোনো পোশাকের সঙ্গে শুধু টিকলি পরলেই ভালো লাগবে। মাঝে বা এক পাশে সিঁথি করেই টিকলি পরা যায়। আর পোশাকের সঙ্গে মানিয়ে চুল খোলা রাখতে পারেন। খোলা চুল কুঁকড়িয়ে বা সোজা করে কিংবা ব্লো ড্রাই করে নিতে পারেন। সবগুলো স্টাইলই মানিয়ে যাবে।

চেইনের মতো চিকন টায়রাও পরতে পারেন এটি। চুলের ফাঁকে দেখা যাবে এই টায়রার চমক। চুল থাকবে খোলা ও স্ট্রেট করা। এই ধরনের টায়রা আসলে কিনতে পাওয়া যায় না। চেইন কিংবা পায়েল দিয়েই এভাবে চুল সাজানো যায়। অথবা পায়েল পছন্দ করে দোকানিকে বললেই চুলে সহজ করে বাঁধার জন্য পায়েলটির আংটা পরিবর্তন করে দিতে পারেন। যেকোনো পোশাকের সঙ্গেই মানিয়ে যায় এই সাজ।

মাথায় টিকলি, টায়রা বা ঝাপটা—যা-ই পরা হোক না কেন, চুলের ঘনত্ব যেন বেশি থাকে, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। এ জন্য চুল পাফ করে কিছুটা ফুলিয়ে নিতে হবে। তা না হলে চুলে কোনো অনুষঙ্গই মানাবে না।

এখন চলছে

ইদানীং রাজস্থানি টিকলির কদর বেড়েছে বলে জানালেন গয়না বিক্রেতারা। এ ছাড়া আছে জয়পুরী টিকলি। কুন্দনের টিকলি, টায়রা ও ঝাপটা চলছে বেশ। বিক্রি হচ্ছে পাথর বসানোগুলোও। বিক্রেতারা বললেন, এই ধরনের গয়না সাধারণত সোনার হলে কেউ কেনেন না। বড়জোর রুপা বা গোল্ড প্লেটেড কেনেন। তবে ইমিটেশনের কদরই বেশি।

কোথায় পাবেন

যেকোনো গয়নার দোকানে পাবেন টিকলি ও এই জাতীয় গয়না। শপিং মলগুলোতে আছে গয়নার দোকান। কিছু কিছু প্রসাধনীর দোকানেও পাওয়া যায় এগুলো। নকশা পছন্দ না হলে রুপা দিয়ে গড়িয়ে নিতে পারেন নতুন করে। কিছুটা সুলভে পাবেন রাজধানীর গাউছিয়া-নিউমার্কেট এলাকায়। সেখানে কিছু কিছু দোকানে কানের দুল পছন্দ করে দিলে দোকানিরা সেই দুলের ডিজাইন অনুযায়ী ঝাপটা বা টিকলি বানিয়ে দেন। চাইলে সেই কানের দুলজোড়াও তার সঙ্গে মিলিয়ে কিনে নিতে পারেন।

দরদাম

ইমিটেশনের টিকলি পাওয়া যাবে ৩০০-৫০০ টাকার মধ্যে। রুপার কিনতে চাইলে নকশাভেদে দাম পড়বে ৫০০-১০,০০০ টাকা। ৫০০-১০০০ টাকার মধ্যে ইমিটেশনের ঝাপটা পাবেন। রুপার ঝাপটার দাম পড়বে টিকলির মতোই। টিকলিসহ এক পাশের টায়রা ৫০০-১৫০০ টাকার মধ্যে কেনা যাবে। টিকলিসহ দুই পাশের টায়রার দামও পড়বে ৫০০-১৫০০ টাকা। ঝাপটা ও টিকলিসহ এক পাশের টায়রা ১০০০-১২০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাবে।