নতুন শহরে বসবাস শুরুর আগে নিজেকে ৬টি প্রশ্ন করুন

নতুন কোনো শহরে বসবাসের জন্য নিজের পরিচিত এলাকা ছেড়ে চলে যেতে চান? যাওয়ার আগে নিজের কাছে কিছু প্রশ্নের উত্তর থাকা জরুরি। তাহলে যাওয়ার পর নতুন পরিবেশে মানিয়ে নেওয়া সহজ হবে।

বাসা বদলের সময় নানা রকম ঝামেলা দেখা দিতে পারেফাইল ছবি: প্রথম আলো

১. আপনি কেন অন্য ঠিকানায় চলে যেতে চান?

আসলে আপনি কী পেতে চাইছেন? আপনি কি পরিবারের আরেকটু কাছে যাওয়ার পথ খুঁজছেন? নাকি আরও ভালো আবহাওয়া ও পরিবেশের আকাঙ্ক্ষায় এই পরিবর্তন আনছেন। কোনটা আপনার জীবনে অগ্রাধিকার পাবে, সেটি সম্পর্কে পরিষ্কার হোন।

২. বর্তমানে যেখানে আছেন, সেখানকার কোন জিনিসগুলো আপনি ছেড়ে থাকতে পারেন না?

দীর্ঘদিনের অভ্যস্ততায় অনেক কিছুর ওপর মায়া পড়ে যায়। অনেক সময় কিছু জিনিস বা অনুভূতির ওপর এমন মায়া জন্মে যায় যে সেটা ছেড়ে থাকা যায় না। মনে হয়, এগুলো ছাড়া বেঁচে থাকা কঠিন। আপনি যখন একটি নতুন এলাকায় পাকাপাকি চলে যাওয়ার কথা ভাববেন, সেই সময় থেকেই আপনার পছন্দের বিষয়গুলোর মায়াও ত্যাগ করার জন্য মানসিক শক্তি দরকার হবে। আপনার নতুন থাকার জায়গা এই শূন্যতা পূরণে সক্ষম কি না, নিশ্চিত হতে চেষ্টা করুন।

আপনার বর্তমান জীবনযাপনের সঙ্গে নতুন জায়গার একটা তুলনা জরুরি।
ছবি: প্রথম আলো

৩. আপনি কেমন ধরনের জীবন যাপন করতে চাইছেন?

প্রাত্যহিক জীবনে এখন যে কাজগুলো আপনাকে আনন্দ দেয়, নতুন বাসায়ও তা একইভাবে করতে পারবেন তো? ভেবে দেখুন। আপনার বর্তমান জীবনযাপনের সঙ্গে নতুন জায়গার একটা তুলনা জরুরি। অনেক সময় নতুন জায়গাটিতে যাওয়ার পর আফসোসে পুড়তে থাকেন কেউ কেউ। এটা নাই, সেটা নাই বলে মন খারাপ হয়।

৪. আপনার স্বাস্থ্যসেবার চাহিদাগুলো কি নতুন বাসস্থানেও ঠিকঠাকভাবে পূরণ হওয়া সম্ভব?

এমন হতে পারে যে আপনার রুটিনমাফিক মেডিকেল চেকআপ ও যত্নের দরকার হয়। সে ক্ষেত্রে সেখানকার চিকিৎসাসেবার গুণগত মান, খরচ ও দ্রুত সেবা পাওয়ার বিষয়গুলো বিবেচনা করতে হবে। যদি নতুন জায়গায় এই সুবিধা না থাকে তাহলে আরেকবার ভেবে দেখতে পারেন। বিকল্প ভেবে রাখাই ভালো।

আরও পড়ুন
নতুন ঠিকানা দীর্ঘ মেয়াদে টেকসই ও সাশ্রয়ী হবে কি না, দেখে নিন
ছবি: পেক্সেলস ডটকম

৫. নতুন বাসার জীবনযাত্রার ব্যয় বহন করা কি আপনার সামর্থ্যের মধ্যে?

আপনার টাকাপয়সার অবস্থা আপনিই ভালো বুঝবেন। পারলে ভবিষ্যতের অঙ্ক মিলিয়ে নিন। অনেক সময় নতুন জায়গায় থাকা–খাওয়ার পেছনে যে খরচ হবে সেটা না ভেবেই শিফট করা বোকামি হতে পারে। তাই নিজের হিসাব মিলিয়ে তারপর সিদ্ধান্ত নিন। অনেক সময় বাড়ি বিক্রি করে টাকা জমানো এবং সাশ্রয়ী এলাকার অল্প খরচের বাসস্থানে স্থানান্তরিত হওয়ার মাধ্যমে অবসরকালীন সঞ্চয় বাড়ানোর একটা ভালো উপায়ও হতে পারে নতুন জায়গা।

৬. এই নতুন জায়গায় বসবাস করা কি দীর্ঘ মেয়াদে কম ব্যয়বহুল হবে?

বর্তমানে বসবাসের খরচ কম বলে ভবিষ্যতেও কম থাকবে, এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই। তাই আপনাকে বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে দেখতে হবে, নতুন ঠিকানা দীর্ঘ মেয়াদে টেকসই ও সাশ্রয়ী হবে কি না। যেখানে থাকার কথা ভাবছেন, সেই জায়গা সম্পর্কে খুঁটিনাটি জানুন, নিজে খোঁজখবর নিন। কোন বিষয়গুলো আপনার দৈনন্দিন খরচ বাড়াতে পারে, সেটা অনুমান করার চেষ্টা করুন।

গার্ডিয়ান অবলম্বনে