হাতিল কিচেন কেবিনে নাদিয়া–নাঈম দম্পতি
‘কিচেন সুন্দর হলে রান্না করতে ভালো লাগে’
ওটিটিতে ঠিক যেভাবে চাইছেন, সেভাবেই কাজ করতে পারছেন নাঈম। অন্যদিকে ঠিকঠাক চাওয়ামতো না পাওয়ায় নাদিয়া এখনো শুরুই করতে পারেননি। তাঁর আশা, ভালো কোনো প্রজেক্ট দিয়েই ওটিটিতে যাত্রা শুরু করবেন। নিজেদের সাম্প্রতিক কাজ প্রসঙ্গে ‘হাতিল কিচেন কেবিন’-এ এমনটাই জানান জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী দম্পতি এফ এস নাঈম ও নাদিয়া আহমেদ।
আড্ডা দিতে দিতে পছন্দের রেসিপি রাঁধতেই মূলত ‘হাতিল কিচেন কেবিন’–এ হাজির হয়েছিলেন নাঈম–নাদিয়া। প্রিয় তারকার পছন্দের রেসিপি নিয়ে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে একসঙ্গে চলে রান্না আর গল্প।
হাতিলের কিচেনটা কেমন, অতিথিদের কাছে জানতে চান উপস্থাপক নীল হুরেজাহান। উত্তরে নাদিয়া জানান, ‘অনুষ্ঠান শুরুর আগে খুব খেয়াল করে দেখছিলাম কিচেনটা। দারুণ সুন্দর! খুব, খুব ভালো লেগেছে।’
কিচেনের সৌন্দর্যের গুরুত্বের কথা বলতে গিয়ে নাদিয়া আহমেদ বলেন, ‘যে ঘরটিতে রান্না করব, সেটি সুন্দর হলে রান্নার স্বাদই হয়ে যায় অন্য রকম। যাঁরা রান্না করতে ভালোবাসেন, তাঁদের জন্য বাড়ির মধ্যে প্রিয় স্থান হচ্ছে রান্নাঘর। সেই রান্নাঘর যদি হয় হাতিল কিচেন কেবিনের মতো সুন্দর, দৃষ্টিনন্দন এবং সাজানো–গোছানো, তাহলে রাঁধুনির রান্না করার আগ্রহ অনেক বেড়ে যায়।’ পাশে থাকা নাঈমের দিকে তাকিয়ে নাদিয়া যোগ করেন, যাঁরা খাবারের জন্য অপেক্ষা করেন, তাঁরাও তখন সুস্বাদু একটি রান্না খেতে পারে।
আলাপের মধ্যেই নীল জানতে চান, নাঈম কি শুধু খেতেই ভালোবাসেন, নাকি মাঝেমধ্যে রান্না করতেও পছন্দ করেন?
উত্তরটা নিজেই দিলেন নাঈম, ‘রান্নাও করি মাঝেমধ্যে। তবে সেটা এতটাই কম যে বলা উচিত হবে না।’
তখন নাঈমকে উদ্দেশ করে নাদিয়া বলেন, ‘নাঈম খেতে খুব পছন্দ করে। আমার পছন্দ বিফ আর নাঈমের সালাদ।’
নীলের কথায় এবার দুষ্টুমির সুর, স্বাস্থ্যসচেতনতার কারণেই কি নাঈমের সালাদ প্রিয়?
নাঈম হাসেন, ‘সিক্স প্যাক যেটা বানানো হয়েছে, সেটা তো ধরে রাখতে হবে। চরিত্র অনুযায়ী যখন যেটা দরকার সেটাই করি।’
নাঈমের কথার রেশ ধরেই নীল হুরেজাহান হাতিল কিচেন কেবিনে থাই বেসিল বিফ কারি ও ফ্রুট সালাদ বানানোর বন্দোবস্ত করেন। শুরু হয় হাতিলের ড্রাই কিচেন ক্যাবিনেটে তিনজনের রান্নাবান্না। নীল–নাদিয়া মিলে উপকরণগুলো পরিমাণমতো হাঁড়িতে দেন। নাঈম চামচ দিয়ে নাড়তে থাকেন। একই সঙ্গে চলতে থাকে আড্ডা।
থাই ফুড এত পছন্দ কেন? নীলের এমন প্রশ্নের উত্তরে নাদিয়া আহমেদ রহস্য উন্মোচন করেন, ‘থাইল্যান্ডে কমপক্ষে ৫২ বা ৫৩ বার গেছে নাঈম। তাই থাইল্যান্ডের সব খাবার ওর পছন্দ। শুধু থাইল্যান্ডের খাবারই নয়, দেশটির প্রাকৃতিক সৌন্দর্যও নাঈমকে মুগ্ধ করে।’
রান্না করতে করতেই নীল জানতে চান, হাতিলের কিচেন ক্যাবিনেট ব্যবহার করতে কেমন লাগছে?
নাঈমের এককথায় উত্তর, ‘ফ্যান্টাস্টিক।’
অল্প সময়ের মধ্যেই তৈরি হয়ে যায় মজাদার থাই বেসিল বিফ কারি। এরপর খাবার রাখার সার্ভিং ডিসটি ক্যাবিনেট থেকে আনতে আনতে নীল বলেন, হাতিলের কিচেন ক্যাবিনেট রান্নাঘরে থাকলে একসঙ্গে অনেক কিছু রাখা যায়। এ ছাড়া ক্যাবিনেটগুলো রান্নাঘরের নান্দনিকতা বাড়াতেও গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, রান্নাঘরের প্রয়োজনীয় উপকরণগুলো ক্যাবিনেটে সুন্দরভাবে সাজিয়ে রাখা যায়। ক্যাবিনেটগুলো ইচ্ছেমতো সরানো এবং প্রয়োজনমতো ওপরে বা নিচে স্থাপন করা যায়।
কিচেনটা সুন্দর হলে যেমন রান্না করতে ভালো লাগে, তেমনই রান্না করা খাবার দেখতে সুন্দর হলে খেতে মজা লাগে, তৈরি হওয়া খাবারটি দেখে বলেন নাদিয়া।
এবার ‘সিক্স প্যাক’ নাঈমের জন্য একটি ফ্রুটস সালাদ তৈরি করেন নীল।
তারপর শুরু হয় তিনজনের খাবারের স্বাদ গ্রহণ পর্ব।
প্রথম আলো ডটকম, প্রথম আলো ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেজে একযোগে প্রচারিত হয় ‘হাতিল কিচেন কেবিন’।