ঢাকা-রাজশাহী-ঢাকা, টুর্নামেন্টের মাঝপথে পরীক্ষা পেছাতেও ছুটতে হয়েছে
প্রথম পর্বে জেতার পর জানলাম, ঢাকার দলগুলোতে প্রিমিয়ার লিগ, জাতীয় দলের খেলোয়াড়েরা খেলেন। একটু চিন্তিত ছিলাম, কিন্তু নিজেদের ছোট করে দেখিনি। ভেবেছি, চেষ্টা করলে অবশ্যই পারব। নিজেদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করে গেছি। ক্যাম্প করতে পারলে, পর্যাপ্ত সময় নিয়ে ভালো অনুশীলন করলে, সামনে আমরা আরও ভালো করতে পারব। তবে ঢাকায় গিয়ে সেমিফাইনাল খেলা আমাদের কাছে স্বপ্নের মতো ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার জন্য অনেকে খেলায় অংশ নিতে পারেন না। এমনও হয়েছে, আমাদের খেলোয়াড় ঢাকায় একটা ম্যাচ খেলে রাজশাহীতে ফিরে পরীক্ষা পেছানোর আবেদন করেছেন। পরে আবারও ঢাকায় এসে ম্যাচ খেলেছেন৷ এমনকি আমরা অনেকেই সেমিফাইনাল খেলে এসেই পরীক্ষায় বসেছি৷ এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আরেকটু সহযোগিতা আশা করি।শোভন ত্রিপুরা, অধিনায়ক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
গতবার আমরা ফাইনাল খেলেছি। এবার সেমিফাইনাল পর্যন্ত এসেছি। হয়তো ভাগ্য সহায় ছিল না। নিজেদের দক্ষতার সবটুকু ঢেলে দিতে পারিনি। কিন্তু এই প্রতিযোগিতার সার্বিক ব্যবস্থাপনা আমার অনেক ভালো লেগেছে। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত স্বচ্ছন্দে এগিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ভালো টুর্নামেন্ট আমরা খুব বেশি পাই না। আমাদের চাওয়া, এ ধরনের প্রতিযোগিতা আরও বেশি হোক। কয়েকটা দলে জাতীয় পর্যায়ের কিছু খেলোয়াড় খেলেন। এটা আসরের মান বাড়ায়। দল ও আয়োজকদের কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে। বাকি দলগুলোও যদি তাদের দলে এই মানের খেলোয়াড়দের সুযোগ করে দেন, তাহলে সবার জন্যই খুব ভালো হয়। এআইইউবির উদাহরণই ধরুন। গতবারের চেয়ে এবারের দলটা অনেক শক্তিশালী। এর কারণ, ওরা জাতীয় পর্যায়ের অনেক খেলোয়াড়কে এআইইউবিতে পড়ার সুযোগ করে দিয়েছে। ফলে দল গঠনও অনেক ভালো হয়েছে।মো. তুহিন, অধিনায়ক, ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি