নারীর সাজসজ্জায় লিপস্টিক গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। বিভিন্ন রঙের লিপস্টিক ব্যবহার করা হয় ঠোঁট রাঙাতে। কিন্তু ঋতুভেদে এর ব্যবহারের ধারায় রয়েছে ভিন্নতা। গরমে যে ধরনের লিপস্টিক ব্যবহার করা যায়, শীতে সে ধরনের ব্যবহার করা যায় না। আবার শীতে আবহাওয়ার কারণেও প্রসাধনী ব্যবহারের কিছু ভিন্নতা তৈরি হয়। কারণ, এ সময় প্রাকৃতিকভাবে শরীর আর্দ্রতা হারিয়ে শুষ্ক হয়ে যায়। এই শুষ্ক ত্বকে প্রসাধনী ব্যবহারের ক্ষেত্রে যত্নবান হতে হয়।
ঠোঁট বেশ নাজুক জায়গা। ফলে এর উজ্জ্বলতা ঠিক রাখতে, এর সতেজতা ধরে রাখতে বাড়তি যত্ন নিতেই হয়। ঠোঁটকে মনকাড়া করে সাজাতে যুগে যুগে লিপস্টিকের ব্যবহারের ধরনে পরিবর্তন হয়েছে ব্যাপক। খেয়াল করলে দেখা যাবে, আজ থেকে বছর দশেক আগে, আর এই ২০২০ সালের লিপস্টিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে বেশ পার্থক্য তৈরি হয়েছে বিভিন্ন কারণে।
এখনকার লিপস্টিক ব্যবহারের ট্রেন্ড সম্পর্কে পারসোনার পরিচালক নুজহাত খান জানালেন, কিছুদিন ধরে শকিং বা খুব চড়া রঙের লিপস্টিকগুলো বেশ চলেছে, ইদানীং একটু কালচে শেডের রংগুলোই বেশি চলছে। গাঢ় বেগুনি, জাম রং, ইট লাল, কফি, বেরি রং এখন খুব চলছে। এ ছাড়া ওমব্রে ঢঙে লিপস্টিক দেওয়ার চলও এখন জনপ্রিয়। ঠোঁটের চারদিকে গাঢ় রং লাগিয়ে মাঝখানের অংশে একই রঙের অপেক্ষাকৃত হালকা শেডের লিপস্টিক দেওয়াটা ওমব্রে স্টাইল। নুজহাত জানালেন, দুটি রং সুন্দরমতো মিশিয়ে দিতে পারলে এটি দেখতে খুব ভালো লাগে।
গরমকালে ম্যাট লিপস্টিক ব্যবহারের চল থাকলেও রূপবিশেষজ্ঞরা শীতকালে সেটা ব্যবহার করতে নিষেধ করেন। তাঁদের মতে, এই ঋতুতে ম্যাট লিপস্টিকে ঠোঁট আরও বেশি শুষ্ক বোধ হতে পারে। তাতে ঠোঁটের তরতাজা ভাব থাকবে না। তাই লিপস্টিক লাগানোর আগে পেট্রোলিয়াম জেলি দিয়ে ঠোঁট আর্দ্র ও কোমল করে নিতে পারেন। তবে এমন আবহাওয়ায় গ্লসি বা ক্রিমি লিপস্টিক লাগানোই ভালো।
বাইরে থেকে এসে তুলায় অলিভ অয়েল লাগিয়ে লিপস্টিক সম্পূর্ণ তুলে ফেলতে যেন ভুলবেন না। ঠোঁটের চামড়া অনেক নাজুক থাকে, তাই জোরে ঘষা উচিত নয়, আস্তে আস্তে ঘষেই ভালোমতো তুলে ফেলুন।
মনে রাখবেন, মনের মতো করে ঠোঁট রাঙাতে ঠোঁটকে প্রাকৃতিকভাবেই সতেজ থাকতে দিতে হবে। লিপস্টিক ব্যবহারের নির্দিষ্ট সময় পর তাই সঠিকভাবে সেটা তুলে ফেলাটা খুবই জরুরি।