চুলের যত্ন
চুলের যত্ন এখন থেকেই
চুল কিংবা ত্বকের যত্ন নেওয়া ধৈর্য আর সময়ের বিষয়। তাই যতটা সম্ভব আগে থেকেই প্রস্তুতি নেওয়া দরকার।
অনেকেই ঈদের ঠিক ২-৩ দিন আগে থেকে চুলের যত্ন নেওয়া শুরু করেন, কিন্তু উৎসবের দিন এতে ফল পাওয়া যায় না। চুল কিংবা ত্বকের যত্ন নেওয়া ধৈর্য আর সময়ের বিষয়। তাই যতটা সম্ভব আগে থেকেই প্রস্তুতি নেওয়া দরকার। তাহলেই ঈদের দিন আপনার চুল থাকবে ঝলমলে, স্বাস্থ্যোজ্জ্বল।
চুলের যত্ন কেমন হতে পারে, এই বিষয়ে রূপবিশেষজ্ঞ ও আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞ রাহিমা সুলতানা জানালেন, আবহাওয়া অনুযায়ী দৈনন্দিন রুটিন তৈরি করে নিতে পারেন। সারা দিন পানি না খাওয়ার কারণে ত্বকের সঙ্গে চুলও শুষ্ক হয়ে পড়ে। তাই ইফতারিতে শরবত রাখা জরুরি। শরবত একসঙ্গে না খেয়ে বরং ইফতার থেকে সাহ্রি পর্যন্ত অল্প অল্প করে পান করুন। খাদ্যতালিকায় রসাল-জাতীয় ফল রাখুন। এ ছাড়া দৈনিক অন্তত দুটি আমলকী খাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
তেল মালিশ
প্রাকৃতিক চুলের প্যাক
মেথির পাউডার, টকদই, ডিম এবং অ্যালোভেরা পরিমাণমতো মিশিয়ে মাথার ত্বকে ভালোভাবে লাগাতে হবে। ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। তবে যাঁদের খুশকি আছে, তাঁরা অবশ্যই এই মিশ্রণের সঙ্গে ২ চা-চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নেবেন। সপ্তাহে দুই দিন এই মিশ্রণ ব্যবহার করা যেতে পারে।
৩ টেবিল চামচ মধুর সঙ্গে ৫ টেবিল চামচ জলপাই তেল মিশিয়ে মাথায় ভালোভাবে লাগিয়ে নিন। এভাবে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করে চুল স্বাভাবিক উপায়ে ধুয়ে নিন। যাদের চুল শুষ্ক, উপকার পাবেন।
আরও যা করবেন
ইফতার ও সাহ্রিতে পানি, দেশি ফল ও শাকসবজি খান। এর সঙ্গে স্বাস্থ্যকর খাবার, যেমন খেজুর, চিনাবাদাম, কাজুবাদাম, স্ট্রবেরি খাবেন। খেজুরে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন-এ, আয়রন, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম আছে। বাদামে স্বাস্থ্যকর ফাইবার ও ফ্যাটি অ্যাসিড আছে। স্ট্রবেরি ও জামে আছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট।
তৈলাক্ত, মসলাযুক্ত, ভাজা ও শুকনা খাবার বর্জন করুন। অতিরিক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। অকারণে রোদে বের হওয়া উচিত নয়। অতিরিক্ত সোডা, চা ও কফি খাবেন না।
নিয়মিত চুল আঁচড়াতে হবে। চুল আঁচড়ালে ত্বকের রক্তসঞ্চালন বৃদ্ধি পায়, ফলে চুল পড়াও কমে যাবে।