বলিউডের প্রিয় নাম কৃতি খারবন্দা। মডেল হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করলেও অভিনয় জগতে বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন তিনি। খুব অল্প সময়ের ব্যবধানেই প্রতিভাবান এই অভিনেত্রী সবার মন জয় করে নিয়েছেন। মিষ্টি হাসি আর কাজের প্রতি অনুরাগ তাঁকে সফল হতে সাহায্য করেছে। বলিউডে পা রাখতেই অসাধারণ অভিনয়ের কারণে তিনি ভারতীয় আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র পুরস্কারে সমালোচক সেরা অভিনেত্রী এবং সেরা অভিনেত্রী হিসেবে প্রথম ফিল্মফেয়ার পুরস্কার জিতে নিয়েছেন। এর জন্য প্রচুর সময় ও শ্রম দিয়েছেন তিনি। তবে হাজারো ব্যস্ততার মাঝেও তিনি নিজেকে ফিট রাখার ব্যাপারে বেশ সচেতন।
কৃতি মনে করেন, প্রত্যেকেরই উচিত নিজেকে ভালোবাসা। আর এর জন্য প্রয়োজন নির্দিষ্ট ডায়েট চার্ট মেনে নিজের শরীর ও মনকে সুস্থ ও সবল রাখা। আর একজন অভিনয়শিল্পী হিসেবে তাঁর কাছে নিজের সৌন্দর্য ধরে রাখা ও নিজেকে ফিট রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সারা দিনের কর্মব্যস্ততার ফলে শরীরে যেন কোনো প্রকার ঘাটতি না হয়, সেদিকে তাঁকে লক্ষ রাখতে হয়। তাই তিনি নিয়মমাফিক খাওয়া, ঘুম, ব্যায়াম ও পরিশ্রমের মাধ্যমে নিজেকে ফিট রাখেন। সৌন্দর্য-সচেতন এ অভিনেত্রী নিজের জন্য উপযুক্ত ডায়েট প্ল্যান নির্ধারণ করে তা নিয়মিত মেনে চলেন।
ত্বকের সৌন্দর্য রক্ষায় কৃতি প্রচুর পানি পান করে থাকেন। নিয়ম করে প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই তিনি ধনে-জিরা পানি পান করে থাকেন। এটি একদিকে যেমন শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধি করে, পাশাপাশি তাঁকে সারা দিন কর্মক্ষম এবং সুন্দর থাকতে সাহায্য করে। তিনি চিনি যতটা সম্ভব কম খাওয়া কিংবা পরিহার করার চেষ্টা করেন ও নিয়মিত ব্ল্যাক কফি পান করেন। আর যথাসম্ভব স্বাস্থ্যকর খাবারটা তাঁর চাই-ই চাই।
কৃতি সাধারণত সকালের নাশতা করেন না, অর্থাৎ তিনি ইন্টারমিটেন্ট ফাসটিং করতে অভ্যস্ত। তাই তিনি সরাসরি দুপুরের খাবার খেয়ে থাকেন। এ সময় তিনি প্রচুর ফলমূল খেয়ে থাকেন। ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে কৃতি গ্রিন জুস ও অ্যালকালাইন জাতীয় খাবার প্রচুর পরিমাণে খেয়ে থাকেন। বিভিন্ন রকমের সবজি, বিশেষ করে সবুজ শাকসবজি খেতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন কৃতি। তা ছাড়া তিনি শস্যজাতীয় খাবার ও পনির খেতে খুব ভালোবাসেন। বিকেলে খুব হালকা নাশতা খেতে পছন্দ করেন তিনি।
কৃতির প্রিয় খাবারের মধ্যে রয়েছে সি-ফুড। তাই দুপুর কিংবা রাতের খাবারে সামুদ্রিক মাছ তাঁর চাই-ই। দক্ষিণ ভারতীয় খাবার তাঁর খুবই পছন্দ। তিনি রুটির সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের সবজি ও ডাল খেতে পছন্দ করেন। কখনো কখনো খাবারের তালিকায় থাকে স্যুপ। তবে তিনি ভাত যতটা সম্ভব কম খাওয়ার চেষ্টা করে থাকেন। তিনি হার্ট-ফ্রেন্ডলি খাবার খেতে পছন্দ করেন। আর যেহেতু অল্প মসলায় তৈরি খাবারে স্বাদ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরে অতিরিক্ত মেদও জমতে পারে না, তাই সেভাবেই তিনি চার্ট মেনে চলেন।
এত নিয়ম মানার পরও বিরিয়ানি তাঁর খুবই পছন্দের খাবার। তাই সপ্তাহে দুবার তিনি বিরিয়ানি খেয়ে থাকেন। পুডিং ও পেস্ট্রিও তাঁর পছন্দের খাবারের তালিকায় আছে। শুটিং চলাকালে তিনি খুব নিয়ম মেনে চলেন। সাধারণত রাত নয়টার মধ্যে রাতের খাবার খেয়ে নেন। এরপর এক ঘণ্টা হাতে সময় নিয়ে কিছুক্ষণ হালকা ব্যায়াম ও অল্প বিশ্রাম নিয়ে বেশ তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়েন।
শরীর সুস্থ রাখার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে ওয়ার্কআউট করে ভারসাম্য বজায় রাখা খুব জরুরি, কৃতি সব সময় সেটা করে থাকেন। আর নিয়মমাফিক খাবারের পাশাপাশি নিয়মিত শরীরচর্চা, ঘুম ও বিশ্রামেরও প্রয়োজন রয়েছে। তাই তিনি প্রতিদিন ওয়ার্কআউটের পাশাপাশি পর্যাপ্ত ঘুমাতেও ভোলেন না।
তিনি সকালের ওয়ার্কআউটের পাশাপাশি রাতেও হালকা ব্যায়াম করে থাকেন। এ সময় তিনি হাঁটতে বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।