কারুশিল্পীদের পাশে এফডিসিবি
কারুশিল্পীরা স্বাভাবিকভাবেই খুব অনন্য একটি সম্প্রদায়। অত্যন্ত সূক্ষ্ম দক্ষতার অধিকারী এই মেধাবী মানুষেরা অন্য কোনো পেশাকে জীবিকা হিসেবে বেছে নেন না। দেশীয় ঐতিহ্য ধরে রাখাই তাঁদের জন্য সম্মানের। কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারির এ সময়ে হুমকির মুখে হাজার বছরের এই ঐতিহ্য। সঙ্গে কারুশিল্পীরাও। এমন সময়ে কারুশিল্পীদের পাশে দাঁড়িয়েছে ফ্যাশন ডিজাইন কাউন্সিল অব বাংলাদেশ (এফডিসিবি)।
দেশীয় ফ্যাশন ডিজাইনারদের সংগঠন সাত বছর ধরে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে কারুশিল্প, লোকশিল্প, দেশীয় নকশার প্রসারে কাজ করে যাচ্ছ। এফডিসিবির সভাপতি মাহিন খান বলেন, ‘কারুশিল্পীরা আমাদের অস্তিত্ব ও শিকড়কে ধরে রেখেছেন। কিন্তু সংকটময় পরিস্থিতিতে এই দক্ষ জনগোষ্ঠীকে বাঁচাতে, আমাদের সংস্কৃতিকে সুরক্ষিত করতে ও স্থানীয় অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে কাজ করা প্রয়োজন। এমন চিন্তা থেকেই এফডিসিবি কারুশিল্পীদের পাশে দাঁড়িয়েছে।’
করোনাকালে শীতলপাটি, হাতপাখা, গয়না, দারু, বয়ন, সূচিকর্ম, তাঁত ও মৃৎশিল্প ছাড়াও আরও বেশ কিছু দেশীয় শিল্পের কারিগরেরা পাবেন এফডিসিবির সহায়তা। অনুদানের মাধ্যমে ৪০০ কারুশিল্পী ও তাঁদের পরিবারকে সহায়তা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে এফডিসিবি। প্রতিটি পরিবারকে প্রথম মাসের জন্য ৫ হাজার, দ্বিতীয় মাসের জন্য ১০ হাজার ও তৃতীয় মাসের জন্য ১৫ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হচ্ছে। এই কর্মসূচি চলবে তিন মাস ধরে। এ ছাড়া আরও বেশিসংখ্যক পরিবারের কাছে সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের পর সে অঞ্চলে ঐতিহ্যবাহী শিল্পের কারুশিল্পীদের এ সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
মূলত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেশ ও বিদেশ থেকে অনুদান সংগ্রহ করছে এফডিসিবি। ঢাকার ধামরাই, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ, মাগুরা, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, টাঙ্গাইল, রূপগঞ্জ, যশোর, জামালপুর, শরীয়তপুর, রংপুর, সিরাজগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সাতক্ষীরা, বরিশাল, পটুয়াখালী, রাঙামাটি, মৌলভীবাজার এলাকায় কারুশিল্পীদের সহযোগিতা করছে এফডিসিবি।
বিস্তারিত: (https://www.facebook.com/events/564760910898471)।