সম্প্রতি ৩৮-এ পা রাখলেন বলিউড অভিনেত্রী কারিনা কাপুর খান। তবে তাঁর শরীরজুড়ে আজও কুড়ির তারুণ্য। কারিনার সৌন্দর্য, ফিটনেস যেকোনো রূপসীর ঈর্ষার কারণ। এক সময় ‘জিরো’ ফিগার করে ঝড় তুলেছিলেন বলিউডের বেবো। আর জিরো ফিগারের মাধ্যমে ফিটনেসের এক নতুন দরজা খুলে দিয়েছিলেন তিনি। প্রথম সন্তান তৈমুর হওয়ার পর রাতারাতি ওজন ঝরিয়ে আগের শেপে ফিরে এসেছিলেন কারিনা। আবার মা হতে চলেছেন তিনি। তবে নিজের স্বাস্থ্য নিয়ে দারুণ সচেতন বলিউডের নবাবপত্নী।
প্রথমবার গর্ভাবস্থায় নিজেকে দারুণভাবে সচল রেখেছিলেন কারিনা। এবারও তিনি নিজেকে কাজের মধ্যে ব্যস্ত রেখেছেন। তাই কারিনা ফিটনেসের ক্ষেত্রে সব সময় সবার থেকে এগিয়ে। এবার নিশ্চয় জানতে ইচ্ছে করছে এই বলিউড নায়িকার টানটান, উজ্জ্বল ত্বক থেকে ফিটনেস রহস্য। তবে এসব কিছুর জন্য এক বিশেষ ডায়েট মেনে চলেন তিনি। আর পাশাপাশি নানান শরীরচর্চা করেন কারিনা।
ছয় দিন ঘাম ঝরান
সপ্তাহের ছয় দিন নানাভাবে প্রচুর ঘাম ঝরান কারিনা। সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা, পাইলেটস, যোগ, জিম, ওয়েট ট্রেনিং–সহ আরও অনেক কিছু করেন তিনি। কারিনা বিশ্বাস করেন, শরীরের পাশাপাশি মনকে সুস্থ রাখা জরুরি। তাই তিনি নিয়ম করে মেডিটেশন করেন। আর রবিবার তিনি একদম অন্যভাবে সময় কাটান। সেদিন যেকোনো ধরনের শরীর চর্চা থেকে নিজেকে দূরে রাখেন এই বলিউড অভিনেত্রী।
সঙ্গী ‘মাখানা’
কারিনা শুটিংয়ের জন্য বাইরে গেলে তাঁর সব সময়ের সঙ্গী মাখানা। এই বলিউড তারকা নিজের সঙ্গে এক কৌটা মাখানা সব সময় রাখেন। মাখানাতে ফাইবার বেশি, আর ক্যালরি কম মাত্রায় থাকে। আর এই খাবার পেট অনেকক্ষণ ভর্তি রাখে। তাই সহজে খিদে পায় না। মাখানায় ম্যাগনেশিয়াম ভরপুর। আর এটা হার্টের জন্যও ভালো। এ ছাড়া এতে ‘অ্যান্টি–এজিং এনজাইম’ আছে। তাই মাখানা খেলে তারুণ্য ধরে রাখা যায়। কারিনা মাখানা রোস্ট বা বেক করে সামান্য নুন ছড়িয়ে খেতে ভালবাসেন।
ঘড়ি ধরে খান
কারিনা আদ্যোপান্ত ভোজনরসিক। তবে স্বাস্থ্যের কথা ভেবে জিবের সঙ্গে সমঝোতা করেন তিনি। আর ঘড়ির কাঁটা ধরে কারিনা ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ ও ডিনার করেন। এই বলিউড নায়িকার দিন শুরু হয় এক মুঠো ভেজানো আমন্ড ও কলা দিয়ে। এরপর জিমে যান তিনি। ১২টা বাজলেই লাঞ্চ সেরে ফেলেন এই বলিউড তারকা। নিরামিষাশী হওয়ার জন্য কারিনার লাঞ্চে দই-ভাত, ডাল-রুটি-তরকারি আর সালাদ থাকে। বেলা তিনটে নাগাদ নানান মৌসুমি ফল খান তিনি। আর ডিনারে কখনো পোলাও-রায়তা, কখনো পুদিনা-পালকের রুটি, সঙ্গে দই। আবার কখনো ডাল-রুটি-সবজি খান কারিনা। আর ডালে এক চামচ ঘি অবশ্যই থাকে তাঁর।
চা-কফি থেকে দূরে
চা বা কফি থেকে নিজেকে দূরে রাখেন কারিনা। বিকেলে চা-কফির পরিবর্তে মৌসুমি ফল দিয়ে মিল্কসেক খেতে বেশি পছন্দ করেন নবাবপত্নী। আর এর সঙ্গে তিনি ভাজা চিড়া খেতে ভালবাসেন। মনের মতো মৌসুমি ফল না পেলে কারিনা তার পরিবর্তে লস্যি, ছাস (ঘোল), ডাবের জল, লেবুর সরবত খান। এসবের মাধ্যমে পুরো দিন তিনি নিজেকে সতেজ রাখেন।
এক চিমটে হলুদ
রাতে শুতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস দুধ কারিনার চাই। আর তাতে তিনি মেশান এক চিমটে হলুদ আর জায়ফলগুঁড়া। এসব রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়। আর সংক্রমণের সঙ্গে লড়াই করার শক্তি দেয়।