পূজার আনন্দে আমরা ভীষণভাবে আনন্দিত থাকি। এই আনন্দ হোক সর্বজনীন। এ আনন্দের সাজও হোক সবার কাছে গ্রহণযোগ্য।
নবমীর জন্য সাজ একটু ভারী হলেই ভালো। এই সময় বৃষ্টি ও গরম উভয়ের প্রভাব থাকছে; এ জন্য এই বিষয়কে মাথায় রেখে এবারের নবমীর সাজ হতে পারে ফিটফাট করে চুল বাঁধা; তাহলে বৃষ্টিতে চুলের স্টাইল নষ্ট হবে না। এখানে দুই পাশ থেকে ফ্রেঞ্চ বেণি করে পেছনে স্টাইলিশ খোঁপা করে দেওয়া হয়েছে।
ছোট করে সিঁদুর পরানো হয়েছে। এতে সুবিধা হচ্ছে, বৃষ্টি যেন চুলের সাজ কোনোভাবে নষ্ট করতে না পারে।
এবার আসা যাক আউটফিটের কথায়—শাড়ি একটু আঁটসাঁট করে পরতে হবে আবহাওয়ার বিবেচনায়। আর শাড়ি এমনভাবে পরতে হবে, যাতে লুকের মধ্যে বাঙালিয়ানা ফুটে ওঠে।
এবার আসি মেকআপের কথায়। কীভাবে মুখটা সাজাব, সেটা প্রথমে মাথায় রাখতে হবে। সজীবতা আনতে চাইলে সবার আগে আমাদের মাথায় রাখতে হবে মুখের ত্বকের দাগ ঢাকার বিষয়টি। এ জন্য কনসিলার লাগাতে হবে খুবই হালকা করে। তাহলেই দাগ ঢেকে যাবে। এবার কমপ্যাক্ট পাউডার দিয়ে সেটাকে সেট করে নিয়ে কন্টুরিং করে নিতে হবে নাক, গাল, ভারী চিনে।
চোখের সাজ সব সময় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখন আমরা সবাই ট্রেন্ডি চোখের সাজ পছন্দ করি; এ জন্য যাঁর যাঁর পছন্দ অনুযায়ী করা যেতে পারে।
কিন্তু আমরা এই সাজে চোখের পেছনের দিকে একটু গাঢ় টোন ব্যবহার করে সামনের দিকে হালকা টোন ব্যবহার করতে পারি। এখানে আমরা সেটাই করেছি।
এবার আইলাইনার ও মাশকারা লাগাতে হবে। তবে তার আগে অবশ্যই ফলস আইল্যাশ পরতে হবে।
এরপর চোখের মেকআপ শেষ করব চোখের ভেতরে কাজল পরিয়ে। তাহলেই চোখ সুন্দর হয়ে উঠবে।
কেউ চাইলে একটু গ্লিটার ব্যবহার করতে পারেন। তবে বেশি নয়, বরং খুবই অল্প করে।
চোখের মেকআপ শেষে ব্লাশন লাগানোর পালা। সুন্দর করে হালকা রঙের শাড়ির সঙ্গে ম্যাচ করে ব্লাশন লাগাতে হবে। ব্লাশন যত হালকা মনে হবে, আপনাকে ততই সুন্দর দেখাবে।
এবার লিপস্টিক। লিপস্টিক হবে আপনার শাড়ির রঙের সঙ্গে মিলিয়ে। নাহলে আপনার ব্যক্তিগত পছন্দনির্ভরও হতে পারে। আপনি কেমন রং ব্যবহার করতে চান, সেটা ভেবে নিন। এখানে শাড়ির রঙের সঙ্গে মিলিয়ে লিপস্টিক লাগানো হয়েছে।
এবার ফাইনাল টাচ। ফিক্সিং স্প্রে দিয়ে মেকআপ ফিক্স করে আমরা লিওনকে নবমীর জন্য তৈরি করেছি। আশা করছি, নবমীর এই সাজ আপনাদের ভালো লাগবে। আপনারও চেষ্টা করতে পারেন এভাবেই নবমী উপভোগ করতে।
লেখক: রূপবিশেষজ্ঞ