ত্বকের লোম দূর করতে যা করবেন
আমাদের সারা শরীরই লোমে আবৃত। কারও লোম খুব ঘন, কারও আবার এতই পাতলা যে বোঝা যায় না। অনেক নারীর ঠোঁটের ওপর লোম দেখা যায়, যা মুখের সৌন্দর্য নষ্ট করে। মেকআপেও ঢাকা পড়ে না ফেসিয়াল হেয়ার। বিয়ের আগে অনেক কনেই তাই তুলে ফেলতে চান এহেন অবাঞ্ছিত লোম। কিভাবে?
মুখ বা হাত–পায়ের লোম তোলার প্রচলিত পদ্ধতি হলো ওয়াক্সিং। ওয়াক্সিং করালে লোমকূপের ভেতর থেকে উঠে আসে লোম। তাই আবার লোম উঠতে তিন সপ্তাহ থেকে দেড় মাসের কাছাকাছি সময় নেয়। এতে যেমন সময় বাঁচে, তেমনি ত্বকও থাকে মোলায়েম।
ভুল পদ্ধতিতে ওয়াক্সিং করালে কিন্তু অন্তর্বর্ধিত লোম বেড়ে উঠতে পারে, যা থেকে দেখা দিতে পারে ফোড়া বা ব্রণের মতো সমস্যা। ভুল ওয়াক্সে মুখে র্যাশ, অ্যালার্জি, কিছু অংশে হালকা পুড়ে যাওয়ার মতো সমস্যাও হয়। তাই খুবই অভিজ্ঞ হাতে ওয়াক্সিং করানো উচিত বলে মনে করেন রূপবিশেষজ্ঞরা। বিকিনি লাইন ওয়াক্স করা বেশ কষ্টকর। তাই এসব জায়গা পারলারে গিয়ে ওয়াক্স করাই ভালো।
ওয়াক্সিং করার আগে স্ক্রাব করুন। স্ক্রাবিং লোমকূপ থেকে ত্বকের মৃত কোষগুলো সরিয়ে দেয়। এতে ত্বক নমনীয় হয়, ফলে ব্যথা কম অনুভূত হয়। তা ছাড়া এক্সফোলিয়েশন করলে সদ্য গজাতে থাকা ছোট লোমের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এটা ওয়াক্সিংয়ের আগে ত্বককে মসৃণও করে।
বাড়িতে ব্যথামুক্তভাবে লোমহীন ত্বক পেতে নিচের পদ্ধতি অনুসরন করতে পারেন।
কাঁচা হলুদ বেটে নিন। তাতে শুষ্ক ত্বক হলে পূর্ণ ননীযুক্ত দুধ বা দই এবং তৈলাক্ত ও মিশ্র ত্বক হলে গোলাপজল মিশিয়ে ঘন প্যাক তৈরি করুন। সারা শরীরে, বিশেষ করে মুখে প্রতিদিন লাগাতে পারেন এই প্যাক। ১৫ মিনিট থেকে আধা ঘণ্টা অপেক্ষার পর কুসুম গরম পানিতে মুখ ধুয়ে ফেলুন। সর্বশেষ ময়েশ্চরাইজার লাগিয়ে নিন। এতে করে ধীরে ধীরে হালকা হয়ে আসবে লোম। যাঁদের লোম বেশি ঘন, তাঁরা এই প্যাকের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে নিন। লেবুর রস ব্লিচ হিসেবেও কাজ করবে।
পারলারে গিয়ে ওয়াক্সিং করার চেয়ে বাড়িতেই শরীরের অবাঞ্ছিত লোম ছেঁটে ফেলার সহজ ও অন্যতম উপায় হলো রেজার। তবে রেজার ব্যবহারে অনেক সময় ত্বকে ছোট ছোট ফুসকুড়ি বা লালভাব দেখা যায়। একে বলে রেজার র্যাশ। এতে জ্বালাভাবও অনুভুত হয়। এসব সমস্যা দেখা দিলে ত্বকের ওপর ঠান্ডা কাপড় ব্যবহার করতে পারেন। একটি সুতির কাপড়ে এক টুকরা বরফ দিয়ে কোল্ড কমপ্রেস করুন। জ্বালাভাব অনেক কমে যাবে।