এবার বাড়িতেই বানান লিপবাম

পাঁচ দিন পরই কাগজে–কলমে শীত শুরু। এখনই শোনা যাচ্ছে ঠোঁট ফাটার অভিযোগ। ব্যাগে লিপবাম এখন অন্যতম প্রয়োজনীয় অনুষঙ্গ। চাইলে দোকান থেকে তো বিভিন্ন ব্র্যান্ডের লিপবাম কেনাই যায়। আবার চাইলে বাড়িতেও বানাতে পারেন। এতে পাবেন প্রাকৃতিক পণ্যের উপকারিতা। নিয়ম জানালেন রাজধানীর হারমনি স্পা অ্যান্ড বিউটি স্যালনের কর্ণধার রাহিমা সুলতানা। 

লিপবাম তৈরির উপকরণ
ছবি: সাবিনা ইয়াসমিন

উপকরণ

১ চা-চামচ পেট্রোলিয়াম জেলি, ১ টেবিল চামচ বিটের রস এবং সিকি চা-চামচ লেবুর রস।

বিটরুটের রসের ওপর নির্ভর করবে লিপবামের রং কতটা হালকা বা গাঢ় হবে
ছবি: সাবিনা ইয়াসমিন

প্রথমে একটি পাত্রে বিটরুট এবং লেবুর রস নিন। লিপবামের রং কতটা হালকা বা গাঢ় করবেন, সেটার ওপর নির্ভর করবে বিটরুটের রসের পরিমাণ। পুরো মিশ্রণটি নাড়িয়ে মেশান।

বিটরুটের রসের কারণে ঠোঁটে গোলাপি আভা আসবে।
ছবি: সাবিনা ইয়াসমিন

এবার এতে দিন পেট্রোলিয়াম জেলি। ডাবল বয়েলার পদ্ধতিতে জেলি পুরোপুরি তরল না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।

মিশ্রণটিকে একটি শুকনা পাত্রে নিয়ে ঠান্ডা করুন। মিশ্রণ ঠান্ডা হয়ে ঘন হয়ে এলে ঠোঁটে ব্যবহারের উপযোগী হবে। বিটরুটের রস আছে, তাই এটি ব্যবহারের ফলে ঠোঁটে গোলাপি আভা আসবে।

চাইলে মিশ্রণটিতে ব্যবহার করতে পারেন ১ চা-চামচ খাওয়ার নারকেল তেল বা শিয়া বাটার। এ ছাড়া খাঁটি গাওয়া ঘিও অনেকে ঠোঁটের ময়েশ্চারাইজার হিসেবে ব্যবহার করেন।

মিশ্রণ ঠান্ডা হয়ে ঘন হয়ে এলে ঠোঁটে ব্যবহারের উপযোগী হবে
ছবি: সাবিনা ইয়াসমিন

কত দিন সংরক্ষণ করা যাবে

 অনেকের প্রশ্ন থাকে, ঘরোয়া লিপবাম তৈরির পর কত দিন রাখা যাবে। তার উত্তরও দিয়েছেন রাহিমা সুলতানা। তিনি বলেন, যেহেতু এটি ঘরোয়াভাবে তৈরি, সংরক্ষণের জন্য কোনো রাসায়নিক উপাদান ব্যবহৃত হয় না।

প্রাকৃতিক লিপবাম সাধারণত ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যেই ব্যবহার করে ফেলা ভালো। ২০ দিন পর পুরোনোটা ফেলে নতুন করে তৈরি করে ব্যবহার করা উচিত বলে জানান এই রূপবিশেষজ্ঞ।

খেয়াল রাখতে হবে, লিপবাম যেন সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা হয়, যেন কোনো দূষণ না ঘটে। ঠান্ডা ও শুকনা স্থানে রাখুন। লিপবাম বানানোর সময় পরিষ্কার আঙুল বা স্প্যাচুলা ব্যবহার করা উচিত।