চুলের সুস্থতায় তেলের ভূমিকা আছে কি নেই—বিতর্কের বিষয় হয়ে দাঁড়ায় মাঝেমধ্যে। তবে এটাও ঠিক, শতাব্দীর পর শতাব্দী যে উপকরণগুলো রূপচর্চার জন্য টিকে গেছে, তার মধ্যে তেল অন্যতম। চুল যেমনই হোক, সপ্তাহে দুই দিন অন্তত তেল লাগাতে হবে। এতে করে মাথার ত্বক ও চুল দুটোই উপকার পাবে।
শুষ্ক চুলের জন্য তেলের কোনো বিকল্প নেই। চুল নরম ও ময়েশ্চার করতে তেল সবচেয়ে ভালো কাজ করে। শ্যাম্পু করার আগে ৩০ মিনিট রাখলেই হবে। নিয়মিত তেল লাগালে মাথায় খুশকি হওয়ার প্রবণতাও কমে যায় বলে জানান রূপবিশেষজ্ঞ আফরোজা পারভীন। চুলে তেল লাগানোর আগে একটু কুসুম গরম করে নিলে ভালো। এতে করে ত্বকের লোমকূপগুলো খুলে যায় এবং টক্সিন বের হয়ে যেতে পারে।
যারা মেথি পছন্দ করেন তেলের ভেতর দিয়ে রাখতে পারেন। মেথির পুষ্টিগুণ তেলের সঙ্গে মিশে থাকবে। দুই-তিন রকম তেল মিলিয়েও লাগাতে পারেন। ক্যাস্টর তেল, জলপাই তেল মেশাতে পারেন। ক্যাস্টর তেল চুল গজাতে সহায়তা করে। ক্যাস্টর তেল, নারকেল তেল, জলপাই তেল মিশিয়ে আলাদা আরেকটি মিশ্রণ তৈরি করতে পারেন। এ ছাড়া তিলের তেল, সরষের তেল, ক্যাস্টর তেল মিশিয়েও লাগাতে পারেন। তৈলাক্ত চুলের অধিকারীদের জন্য ভালো কাজ করবে তিলের তেল।
রূপচর্চার জন্য অনেক কিছুই আমরা ব্যবহার করি। কিছু বিশ্বাস থেকে, কিছু বাধ্য হয়ে। আফরোজা পারভীন বলেন, ‘রূপচর্চায় যেটাই ব্যবহার করুন না কেন, এই উপকরণটি থেকে উপকার পাবেন—এই বিশ্বাস মনের ভেতর রাখতে হবে। ইতিবাচক মনোভাব থেকে লাগালে ফলাফলটাও ভালো আসবে।’
বাচ্চাদের চুলেও তেল ছুঁয়ে দিন সপ্তাহে দুই দিন। না হলে মাথার ত্বক শক্ত হয়ে যায়। মাথায় হাত দিলেই অনেক বাচ্চা হাত সরিয়ে নেয়। কারণ, ত্বক শুষ্ক ও শক্ত হয়ে যাওয়ার কারণে চুলে হাত বোলানোর সময় ব্যথা পায়।
মাথার ত্বকে ১৫-২০ ধরনের মালিশ করা যায়। একেক ধরনের মালিশে একেক ধরনের উপকার পাওয়া যায়। সঠিকভাবে করতে পারলে চুলও গজাবে। এমন আশ্বাস দিলেন আফরোজা পারভীন। তবে এ ক্ষেত্রে প্রয়োজন হবে পেশাগত অভিজ্ঞতা। বাড়িতেও মালিশ করতে পারেন। আর কিছু না হোক মালিশের ফলে মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়বে। চুলের গোড়াটা শক্ত হবে। চুল নরম, মসৃণ থাকবে।