মনের বাক্সে এসেছে অদ্ভুত এক বিজ্ঞাপন
অব্যক্ত কিছু কথা
জানো আম্মু, অনেক কথাই তোমাকে বলব বলব করেও কোনো দিন বলা হয়নি। জীবনের প্রতিটা প্রহরে যে মানুষটা নিত্যদিনের সঙ্গী, তার কথা কি না বললে হয় বলো! তোমাকে নিয়ে আমার বিশাল এক কথার ডায়েরি আছে, সযত্নে যা লুকিয়ে রেখেছি। কোনো একদিন বলব। আমি ভাবি, আমাদের সম্পর্কটা নদী আর স্রোতের মতো। স্রোত ছাড়া যেমন নদী পূর্ণতা পায় না, তেমনি তুমি ছাড়া আমি পুরোই অসম্পূর্ণ। সব সময় চেষ্টা করি তোমার সব চাওয়া যেন পূরণ করতে পারি। ভালো থেকো। আর হ্যাঁ, নিজের যত্ন নিতে ভুলো না।
মায়মুনা আনজুম, গাজীপুর
হোস্টেলবাসী
প্রিয় হোস্টেলবাসী, হাজারো ব্যস্ততার ভিড়ে একদিন এখানে কাটানো খুনসুটিভরা দিনগুলোর কথা মনে পড়বে। একসঙ্গে বসে ভাত খাওয়া, রাতবিরাতে হঠাৎ মুড়ি পার্টি, লাগামছাড়া আড্ডা, স্যার এলে ছোটাছুটি করে পড়তে বসা—আরও কত কী। রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজ, সংস্কৃতি নিয়ে গল্প করতে করতে রাত ভোর করে দেওয়া আর কদিন মাত্র। এরপরেই ইচ্ছেগুলো নিয়মের বেড়াজালে বন্দী হয়ে যাবে, ভাবলে চোখ জলে ভরে যায়। হয়তো সবাই ব্যস্ত হয়ে যাব যার যার কাজে। হোস্টেলে কাটানো এই সময়টুকু স্মৃতির পাতায় অমলিন হয়ে থাকবে সারা জীবন।
ইমরান মৃধা, আবদুল কাদির মোল্লা সিটি কলেজ, নরসিংদী
তোমার মতো কেউ হয়নি
‘কত দিন তোমায় দেখি না। কাল একবার তোমায় দেখতে চাই। এবার তোমায় অনেক বেশি করে দেখে রাখব, যাতে শিগগিরই আর দেখতে না চাওয়া লাগে।’ এই বাক্যগুলো এখনো কী যে ভীষণ অর্থ বহন করে আমার কাছে। সেসব মনে করে এখনো মাঝেমধ্যে চোখের কোণে পানি জমে। ভীষণ একা লাগে তখন। এখনো তোমার অভাব অনুভব করি।
যখন আগামীকালের তোমাকে দেখার সেই বিশেষ মুহূর্ত চলে আসত, মনে হতো পৃথিবীর সব ভালো লাগাটুকু আমি উপভোগ করছি। পার্থিব জীবনের সব ঐশ্বর্যের বিনিময়ে এই মুহূর্তটুকু একান্ত আমারই। মনে হতো তোমার হেঁটে আসা উপলক্ষে সারা শহর যদি গোলাপ আর রজনীগন্ধার পাপড়িতে বিছিয়ে দিতে পারতাম। তোমার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে যদি কিছুক্ষণের জন্য এই ব্যস্ত শহরকে স্ট্যাচু করে দিতে পারতাম।
এখনো দৃষ্টিবিভ্রমে তোমায় হাতড়ে বেড়াই। এরপর আবারও স্বাভাবিক হয়ে ভেজা চোখ মুছে সামনে এগিয়ে যেতে থাকি। এখনো টের পাই, অন্তহীন ভালোবাসি তোমাকে।
মুহাম্মদ আবু হুরায়রা, সাবেক শিক্ষার্থী, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়
বিজ্ঞাপন
এখানে সুলভ মূল্যে দুঃখ পাওয়া যায়। নানা রকমের দুঃখ। ব্যক্তিগত হৃদয়ে উৎপাদন করা একেবারে খাঁটি দুঃখের সন্ধান এখানে পাবেন। খুব যত্নসহকারে তৈরি এসব দুঃখ হবে দীর্ঘস্থায়ী ও টেকসই, তাই চিন্তার কোনো কারণ নেই। সংগ্রহে রাখার মতো প্রাচীন এবং ঐতিহাসিক দুঃখও আছে। পরিমাণে কম, তবে দামে অনেক বেশি। দোকানে এসে ‘অ্যান্টিক মিজেরি’ বললেই বের করে দেওয়া হবে আপনাকে। দামাদামির সুযোগ নেই। তবে এর চেয়ে কম দামে মোটামুটি ভালো মানের দুঃখ কেউ দিতে পারবে না, গ্যারান্টি। আছে দুঃখের বিশাল কালেকশন। ইচ্ছেমতো বেছে নিতে পারবেন। আপনি যদি প্রথম শ্রেণির সুখী মানুষ হয়ে থাকেন, তাহলে কিনতে পারবেন ৫০ শতাংশ ছাড়ে।
ঋয়াণ, বন ও পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগ, শাবিপ্রবি, সিলেট
লেখা পাঠানোর ঠিকানা
মনের বাক্সে পাঠানো যাবে ই–মেইলে, ডাকে এবং প্র অধুনার ফেসবুক পেজের ইনবক্সে।
ই–মেইল ঠিকানা: [email protected] (সাবজেক্ট হিসেবে লিখুন ‘মনের বাক্স’)
ডাক ঠিকানা: প্র অধুনা, প্রথম আলো, প্রগতি ইনস্যুরেন্স ভবন, ২০–২১ কারওয়ান বাজার, ঢাকা ১২১৫। (খামের ওপর লিখুন ‘মনের বাক্স’)
ফেসবুক পেজ: fb.com/Adhuna.PA