এক হাজারের বেশি বনসাই নিয়ে হয়ে গেল মেলা
প্রতিবছর আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে বনসাই প্রদর্শনীর আয়োজন করে থাকে বাংলাদেশ বনসাই সোসাইটি। কিন্তু করোনার কারণে দুই বছর সেটি সম্ভব হয়নি। তবে বনসাই–শিল্পীরা বসে থাকেননি, অতিমারির গৃহবন্দী সময়টিতেও বনসাইয়ের যত্ন করে সময় কাটিয়েছেন তাঁরা। তাই দুই বছর বিরতির পর এবারের আয়োজন তাঁদের জন্য ছিল বিশেষ। ধানমন্ডির ডব্লিউভিএ মিলনায়তনে বসেছিল এবারের বনসাই প্রদর্শনী। ২৫ আগস্ট প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চিত্রশিল্পী রফিকুন নবী। বিশেষ অতিথি হয়ে এসেছিলেন স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন।
বাংলাদেশ বনসাই সোসাইটির এটি ২২তম প্রদর্শনী। শিল্পীদের তৈরি শিল্পগুলো দর্শকের সামনে তুলে ধরাই প্রদর্শনীর মূল উদ্দেশ্য, জানান বাংলাদেশ বনসাই সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক মো. আনিসুল হক।
বাংলাদেশ বনসাই সোসাইটির কোষাধ্যক্ষ সৈয়দা আমিনা হক জানান, বর্তমানে শহুরে বেশির ভাগ মানুষ ফ্ল্যাট বাসায় থেকে অভ্যস্ত। ফ্ল্যাট বাড়িতে বড় গাছ রাখার সুযোগ নেই। বনসাই আপনার সেই চাহিদা কিছুটা হলেও পূরণ করবে। বনসাই হলো বড় বৃক্ষেরই ছোট সংস্করণ। তার মানে কিন্তু এই নয় যে একটি গাছ কেটে ছোট করা মানে বনসাই। বনসাই করতে হয় নিয়ম মেনে। এটি যথেষ্ট সময়সাপেক্ষ একটি শিল্প। বনসাইয়ের কিছু স্টাইল বা ধরন থাকে, সে ধরন অনুসরণ করেই বনসাই করতে হয়। বনসাইয়ে বয়স খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যে বনসাইয়ের বয়স যত বেশি, তার দামও তত বেশি।
তিন দিনের এই মেলায় ছিল ১ হাজারের বেশি বনসাই গাছ। ছোট–বড় নানা ধরনের বনসাই ছিল। বট, পাকুড়, ফাইকাস, চেরি, জেডসহ দেশি–বিদেশি নানা ধরনের বনসাই দেখা যায়। এবারের প্রদর্শনীতে বনসাইয়ের দাম শুরু হয়েছে ১ হাজার ২০০ টাকা থেকে। ব্লু বেল নামের বিদেশি গাছের বনসাইটি ছিল এবারের প্রদর্শনীর সবচেয়ে দামি গাছ। ১ লাখ ৬০ হাজার টাকার এই বনসাই বসন্তের সময় ছেয়ে যাবে নীল ফুলে। একটি ছোট দ্বীপের মধ্যে সাজানো হয়েছে ফাইকাসের কয়েকটি গাছ, দাম ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। এ ছাড়া চেরি ৭৫ হাজার, হিজল ২৫ হাজার ও ফুকেন ট্রির দাম ছিল ১০ হাজার টাকা।