ষাটের দশকের তারকাদের সাজে হাজির নর্থ সাউথের একদল অ্যালামনাই

সাদা–কালো যুগের সেই স্বর্ণালি সময়ের সিনেমার থিমের আদলে সাজানো হয়েছিল পুরো অনুষ্ঠান।
ছবি: সংগৃহীত

স্থান—অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নের ফ্রিৎজরয় টাউনহল। সময় বিকেল সাড়ে পাঁচটা, ২৬ অক্টোবর। অথচ কী আশ্চর্য দেখুন, ভেন্যুতে ঢুকেই মনে হলো, ষাটের দশকের জমকালো তারকাদের মেলায় ঢুকে পড়েছি। আদতে এটি ছিল মেলবোর্নে বসবাসরত নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির অ্যালামনাইদের এক মিলনমেলা।

‘মেলবোর্ন এনএসইউয়ার্স’ আয়োজিত অনুষ্ঠানটির নাম ‘সিনেগালা—নোয়াহ অ্যান্ড ব্লাঙ্ক’। সাদা–কালো যুগের সেই স্বর্ণালি সময়ের সিনেমার থিমের আদলে সাজানো হয়েছিল পুরো অনুষ্ঠান। অতিথিরা সবাই সেজে এসেছিলেন এই থিম মাথায় রেখে।
অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসী ঐতিহ্যের প্রতি সম্মান জানিয়ে ও অন্তর্ভুক্তির বার্তা দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। সম্প্রতি বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নিহত ব্যক্তিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয় তারপর। গাওয়া হয় ‘আমার সোনার বাংলা’।

মেলবোর্নে বসবাসরত নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির অ্যালামনাইদের এক মিলনমেলা।
ছবি: সংগৃহীত

পুরো অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন আরিফ সোবহান। অনুষ্ঠানটিকে তিন ভাগে সাজানো হয়েছিল। প্রথম ভাগে ছিল হারানো দিনের বাংলা গান। কিশোর কুমারের ‘সেই রাতে চাঁদ ছিল পূর্ণিমা’ থেকে শুরু করে সাবিনা ইয়াসমীনের ‘এই মন তোমাকে দিলাম’—সব কটি গানেই গলা মিলিয়েছেন সবাই। গানের ফাঁকে চমক নিয়ে হাজির হয়েছিলেন ‘মিরাক্কেল তারকা’ মোশাররফ ইয়াফি। তাঁর স্ট্যান্ডআপ কমেডির সঙ্গে দারুণ একটা সময় কেটেছে অতিথিদের। এক সময় সব গানের মানুষ যখন এক হয়ে গাইলেন হ্যাপী আখান্দ্‌র ‘আবার এল যে সন্ধ্যা’, নস্টালজিয়া ঘিরে ধরেছিল সবাইকে।

অনুষ্ঠানে অন্যতম চমক ছিল ‘জীবনে কী পাব না’ গানের সঙ্গে একদল প্রাক্তন এনএসইউয়ারের ‘ফ্ল্যাশ মব’। তাসনিম আক্তারের নির্দেশনায় ফ্ল্যাশ মবে অংশ নেয় ১৫ জনের একটি দল।

অ্যালামনাইদের নাচে–গানে দারুণ একটা সময় কেটেছে সবার
ছবি: সংগৃহীত

নৈশভোজের পর শুরু হয় অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় অংশ। অ্যালামনাইদের মনোমুগ্ধকর সব নাচ-গান তো ছিলই। শেষ চমক হিসেবে হাজির হন নর্থ সাউথের আরেক অ্যালামনাই জন কবির। ইনডালো ব্যান্ডের ভোকাল নয়, নর্থ সাউথের প্রাক্তন ছাত্র হয়েই তিনি গেয়ে শোনান জনপ্রিয় গানগুলো।

তারকা নয়, জন এসেছিলেন নর্থ সাউথের প্রাক্তন ছাত্র হিসেবেই
ছবি: সংগৃহীত

অনুষ্ঠানের শেষে মেলবোর্ন এনএসইউয়ার্সের প্রেসিডেন্ট মির্জা আসিফ হায়দার সবাইকে ধন্যবাদ জানান। পুরো আয়োজনের বাস্তবায়নে অ্যাসোসিয়েশনের সব সদস্যই টানা কয়েক দিন অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। সব শেষে আবারও এক হওয়ার প্রত্যয় নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন সবাই।

আরও পড়ুন