আমি চুয়েটের শিক্ষার্থী, তাই আবেগ ও দায়বদ্ধতাও বেশি : চুয়েটের উপাচার্য

চুয়েটের উপাচার্য মাহমুদ আবদুল মতিন ভূঁইয়াছবি: সংগৃহীত

প্রায় আড়াই মাস উপাচার্যহীন ছিল চুয়েট। দীর্ঘ সময় উপাচার্য না থাকায় একাডেমিক কাউন্সিল, সিন্ডিকেট সভা, নিয়োগ, পদোন্নতি, প্রকল্পের কাজসহ বিভিন্ন প্রশাসনিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে যায়। গত ৩০ অক্টোবর দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই সেগুলো সচলে চেষ্টা করে যাচ্ছি।

শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গণ-অভ্যুত্থানে ছাত্রদের ওপর হামলাকারী ও ক্যাম্পাসে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনাকারী ছাত্রলীগের সদস্যের শাস্তির আওতায় আনার জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে যাচাই-বাছাই শেষে তাঁদের শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। মাদক ও র‍্যাগিং নামক ব্যাধি নির্মূলে আমরা কঠোর অবস্থানে আছি। হলে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হল প্রশাসন ও সাধারণ শিক্ষার্থীরাও আমাদের সহায়তা করছেন।

আমি চুয়েটের শিক্ষার্থী। তাই চুয়েটের প্রতি আমার আবেগ ও দায়বদ্ধতাও বেশি। আগামী চার বছরে চুয়েটকে শিক্ষার্থীবান্ধব ও গবেষণামুখী একটি বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করতে চাই।
চুয়েটের উপাচার্য
আরও পড়ুন

শিক্ষার্থীদের আবাসন ও পরিবহনসংকট, পর্যাপ্ত শ্রেণিকক্ষ তৈরি এবং গবেষণাগার সংকট সমাধানে কাজ চলমান আছে। এ ছাড়া পরীক্ষার খাতায় কোডিং সিস্টেম, শরীরচর্চা কেন্দ্র ও নতুন চিকিৎসাকেন্দ্র চালু, খাবারের মূল্য হ্রাস ও মান বৃদ্ধিসহ যে দাবিগুলো দ্রুত সময়ে পূরণ করা সম্ভব, আমরা করেছি। বাকিগুলো প্রক্রিয়াধীন। এর মধ্যে মেডিকেল সেন্টারে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও কনসালট্যান্ট নিয়োগ, বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্টারনেট সেবার মান বৃদ্ধি, উন্নত ওয়েবসাইট তৈরি ও অনলাইনে ফি প্রদানের কার্যক্রম উল্লেখযোগ্য।

আমি চুয়েটের শিক্ষার্থী। তাই চুয়েটের প্রতি আমার আবেগ ও দায়বদ্ধতাও বেশি। আগামী চার বছরে চুয়েটকে শিক্ষার্থীবান্ধব ও গবেষণামুখী একটি বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করতে চাই। শিক্ষার্থীদের আরও বেশি গবেষণামুখী করে তুলতে এ খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি করে দ্বিগুণ করা হবে। বেশ কিছু কর্মশালা ও সেমিনারের আয়োজন করা হচ্ছে। আশা করছি, সবার সহযোগিতায় চুয়েট বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হবে।