রোবটের গায়ে রিকশার নকশা, পেল পুরস্কার
নেপালের অলাভজনক সংস্থা—রোবোটিকস অ্যাসোসিয়েশন অব নেপাল। বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও রোবোটিকসে যাঁদের আগ্রহ, সেই শিক্ষার্থীদের নিয়ে কাজ করে এই প্রতিষ্ঠান। সংস্থাটি ১১ ও ১২ ফেব্রুয়ারি আয়োজন করেছিল ইয়ান্ট্রা ৯.০ আন্তর্জাতিক রোবোটিকস প্রতিযোগিতা। যেখানে বাংলাদেশের টিম অ্যাটলাস ছাড়াও সার্কভুক্ত বিভিন্ন দেশের ৩ শতাধিক দল অংশ নেয়। সবাইকে পেছনে ফেলে ‘বেস্ট ডিজাইন অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজি অ্যাওয়ার্ড’ জিতে নিয়েছে টিম অ্যাটলাস।
বিজয়ী দলের সদস্যরা হলেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির সানি যুবায়ের (দলনেতা ) ও ফয়সাল মোহাম্মদ, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির শিহাব আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাহিম শাহরিয়ার, ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজির (আইইউবিএটি) হাসিবুর রহমান, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির রাকিবুল হাসান, ঢাকা ইমপিরিয়াল কলেজের ইযহার হোসেন, নির্ঝর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের আল মাহমুদ, দাউদ পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের আতিক শাহারিয়ার, বিএএফ শাহীন কলেজ, কুর্মিটোলার তানজীর আরাফাত, হেরিটেজ স্কুলের মুস্তাকিম রহমান এবং বিএএফ শাহীন কলেজ, তেজগাঁওয়ের মেহরান ইসলাম।
টিম অ্যাটলাস প্রতিযোগিতার দুটি ক্যাটাগরিতে অংশ নিয়েছিল প্রেসিডেন্টস কাপ ইয়ান্ট্রা টিন্স ও সকার বট। এর মধ্যে প্রেসিডেন্টস কাপ ইয়ান্ট্রা টিন্সে পুরস্কার পায় দলটি। এ বিষয়ে দলের অন্যতম সদস্য শিহাব আহমেদ বলেন, ‘নয়টি রোবট নিয়ে আমরা ইয়ান্ট্রা ৯.০-এ অংশগ্রহণ করি। রোবটগুলো সেখানে ঢাকার ঐতিহ্যবাহী রিকশার নকশা তুলে ধরে। তিন মাস কঠোর পরিশ্রমের পর এসেছে আমাদের এই অর্জন।’
রোবট ব্যবহার করে কীভাবে আবর্জনাকে রিসাইকেল করা যায়, প্রতিযোগিতায় সেটিও করে দেখিয়েছেন বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা। এ কাঁজে তারা ব্যবহার করেছেন সুরমা ১.০, রূপসা ১.০ ও মধুমতি ১.০ নামের তিনটি রোবট। এই রোবটগুলো প্রথমে আবর্জনা সংগ্রহ করে রিসাইকেল করে, রিসাইকেল শেষে লোহা ও প্লাস্টিককে আলাদা করে, এরপর সেগুলোকে নির্দিষ্ট স্থানে রাখে। আগামী মাসে হবে অস্ট্রেলিয়ান রোভার চ্যালেঞ্জ। পরের লক্ষ্য হিসেবে সেদিকেই চোখ অ্যাটলাসের সদস্যদের।