বাসা বদলানোর আগে যে বিষয়গুলো ভাববেন
প্রয়োজনেই মানুষ বাসা বদলায়। কখনো এক শহর থেকে অন্য শহরে, কখনো আবার শহরের ভেতরেই এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায়। আয়রোজগারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাসা ভাড়া না করলে পড়তে হতে পারে বিপদে। তাই ঊর্ধ্বগতির এই বাজারে থাকার জায়গাটা নিয়ে অনেককেই আপস করতে হয়।
আমার এক আত্মীয়র গল্প দিয়েই শুরু করি। দুই দশকের বেশি সময় স্বামীর সঙ্গে ঢাকা শহরে বসবাস করেছেন। এর মধ্যে তাঁদের একমাত্র সন্তান প্রাথমিকের গণ্ডি পেরিয়ে হাইস্কুলেরও শেষভাগে। সন্তানের অষ্টম শ্রেণির পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরপরই তাঁরা সিদ্ধান্ত নিলেন, ঢাকা ছাড়বেন। আয়ের সঙ্গে খরচের হিসাব মেলাতে গিয়েই সচেতনভাবে তাঁরা ঢাকা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু কোথায় যাবেন, গ্রামে? সেখানে সন্তানের স্কুল নিয়ে একধরনের দোটানা তৈরি হলো। ঢাকা শহরের ভালো স্কুলে পড়াশোনার পর হঠাৎ করে গ্রামের স্কুলে যেতে সন্তানও রাজি হচ্ছিল না। শেষমেশ তাঁরা গ্রামের কাছাকাছি জেলা শহরে বসবাসের সিদ্ধান্ত নিলেন। সন্তানকে ভর্তির পর, স্কুলের কাছাকাছি বাসা নিলেন। দুই মাসের মধ্যে আয়-ব্যয়ের একটা ভারসাম্য তৈরি হলো তাঁদের পরিবারে। দুই বছরের মধ্যে তাঁরা বেশ কিছুটা সঞ্চয়ও করে ফেলেছেন। আমার ওই আত্মীয় জানালেন, ‘ঢাকার তুলনায় প্রায় অর্ধেক দামে এখানে বড় বাসা ভাড়া নিয়েছি, প্রতিদিনের শাকসবজি কম দামে ফ্রেশ খাচ্ছি। সন্তানের স্কুলের খরচ যে পরিমাণ কমেছে, সেটাও অভাবনীয়। বাড়তি দুজন গৃহশিক্ষক দিয়েও আগের চেয়ে অনেক টাকা বেঁচে যাচ্ছে। আগে ভেবেছিলাম, সন্তানের এসএসসির পর ঢাকায় ফিরব। কিন্তু এখন সে-ই চাইছে কলেজের পর যেতে। আগে মাস শেষে কয়েক হাজার টাকা ঘাটতি পড়ত, এখানে আসার পর মাসে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা সঞ্চয় হচ্ছে।’
২০২৩ সালের জুন মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে একটি জরিপের ফলাফল প্রকাশ করে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। এই জরিপে দেখা যায়, নিয়মিত গ্রাম থেকে শহরে আসা মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। আবার শহর থেকে গ্রামে ফেরা মানুষের সংখ্যাও বেড়েছে গত চার বছরে। ২০২১ সালে প্রতি হাজারে ৪৮ জন গ্রাম থেকে শহরে স্থানান্তরিত হয়েছিলেন। ২০২২ সালে এসে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৫ জনে। একইভাবে এক শহর ছেড়ে অন্য শহরে স্থানান্তরের পরিমাণও বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জরিপে জানা যায়।
নানা কারণেই মানুষকে বাসা বদলাতে হয়। তবে কেন বাসা বদলাচ্ছেন, সেই প্রশ্নের উত্তর নিজের কাছে থাকা জরুরি। গ্রাম থেকে শহরে হোক বা শহর থেকে গ্রামে, শহরের মধ্যেও এক এলাকা থেকে আরেক এলাকায় বাসা বদলের আগে যে বিষয়গুলো ভাবতে হবে—
কর্মক্ষেত্রের সঙ্গে বাসার দূরত্ব
এটা খুবই বড় একটি ভাবনা। কারণ, ঢাকা ও চট্টগ্রামের মতো বড় শহরগুলোতে যানজটে নাকাল হয়ে পড়েন যাত্রীরা। তাই আপনার কাজের জায়গা থেকে বাসার দূরত্ব কেমন, সেটি বুঝে বাসা ভাড়া নেওয়া উচিত। ২০১৮ সালে ‘ঢাকা মহানগরীর যানজট: আর্থিক ও স্বাস্থ্যগত সমস্যা’ শিরোনামের এক গোলটেবিল বৈঠক থেকে জানা যায়, যানজটের কারণে রাজধানীতে একটি যানবাহন ঘণ্টায় যেতে পারে গড়ে মাত্র পাঁচ কিলোমিটার। এবার ভাবুন, আপনার বাসা যদি বেশি দূরে হয় তাহলে কতটা সময় পথে ব্যয় করতে হবে। এর প্রভাব আপনার অফিস ও পরিবারে যেমন পড়বে, নিজের স্বাস্থ্যেও কম পড়বে না। জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক মুহম্মদ সিরাজ-উল-ইসলাম বলেন, ‘যানজটে বসে থাকলে মানসিক চাপ তৈরি হয়। নানা রকম দুশ্চিন্তা ভর করে। এই মানসিক চাপ সব ধরনের রোগের উৎস। চাপের ফলে নাগরিকদের মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়, যুদ্ধংদেহী মনোভাব চলে আসে।’
এ ছাড়া প্রতিদিনের পথে যদি কয়েক ঘণ্টা করে সময় নষ্ট হয়, তাহলে মানুষের সাধারণ আচরণেও এর মারাত্মক প্রভাব পড়ে। তাই বাসা অফিসের যতটা সম্ভব কাছাকাছি নেওয়ার চেষ্টা করুন। এতে সব ধরনের সুবিধা মিলবে।
বাড়াবাড়ি বাসাভাড়া
দীর্ঘদিন একটি এলাকায় থাকার পর সেই জায়গার প্রতি একধরনের মায়া তৈরি হয়। তাই নানা সমস্যার পরও সহজে অনেকে বাসা বদলাতে চান না। এই সুযোগে বাড়িওয়ালা বছর বছর ভাড়া বাড়াতে থাকেন। অথচ নিজে উদ্যোগী হয়ে একটু খুঁজলেই দেখবেন আপনার বাসার চেয়ে আধুনিক সুবিধার বাসা হয়তো তার চেয়ে কম ভাড়ায় পেতে পারেন। অর্থনীতিবিদদের পরামর্শ হলো—আপনার আয়ের সর্বোচ্চ এক-চতুর্থাংশ হবে আপনার বাড়িভাড়া। তাই বাসা ভাড়া নেওয়ার সময় বিষয়টি মাথায় রাখবেন। আপনার বেতন যদি হয় ৮০ হাজার টাকা, তাহলে যে বাসার পেছনে আপনার সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা ব্যয় হবে, এমন একটি বাসাই আপনার জন্য আদর্শ। এর কম হলে আরও ভালো।
নিজের স্ট্যাটাস বজায় রাখতে গিয়ে বাড়তি ভাড়া দিয়ে যদি বাসা নেন, দিন শেষে আপনার সঞ্চয় বলতে কিছু থাকবে না। তাই বাসাভাড়া বেড়ে গেলে প্রয়োজনে নতুন বাসা খুঁজে নিজের সামর্থ্যমতো ভাড়া ঠিক করে নিন। সাধারণত যখন কেউ একটি নতুন বাসায় ওঠেন, স্বাভাবিকভাবেই আগের বাসার সঙ্গে এটার একটি তুলনা মাথায় ঘুরতে থাকে। এই ভাবনা থাকাটাও ভালো। তবে একই সঙ্গে এটাও ভাবতে হবে, নতুন বাসায় খরচ কতটা বাড়ছে। যদি মনে হয় আপনার বর্তমান আয়ের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারবেন, তাহলে নতুন বাসায় হ্যাঁ বলুন।
শিশুর স্কুল থেকে বাসার দূরত্ব
বিয়ের পর নতুন দম্পতি হিসেবে সংসারের শুরুতে হয়তো সন্তান নিয়ে ভাবনার সময় থাকে না। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এ ভাবনাটা কিন্তু সবচেয়ে জরুরি হয়ে পড়ে। বিশেষ করে সন্তানকে স্কুলে দেওয়ার কথা যখন ভাবতে হয়। তাই যে এলাকায় বাসা নিচ্ছেন তার কাছাকাছি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো কেমন, সেটিও ভেবে রাখুন। বাসা বদল করার সময় ভাবুন, সন্তানের স্কুল থেকে বাসা কতটা দূরে। অনেক মা–বাবা আছেন সন্তানকে ‘ভালো স্কুলে’ পড়ানোর চক্করে নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকার বেইলি রোডে রোজ যাতায়াত করেন। এটা শিশুর ওপর ভয়ংকর মানসিক চাপ তৈরি করে। শিশুর ৯ ধরনের বিশেষ মানবিক গুণ ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যেতে থাকে কয়েক ঘণ্টার স্কুলের দূরত্বের কারণে। তাই যে এলাকায় বসবাস করছেন সেখানকার কোনো স্কুলে সন্তানকে ভর্তি করাতে পারেন। না হলে শিশুর স্কুলের কাছেই বাসা ভাড়া নিতে পারেন। এখানে একটা সহজ হিসাব কষে দেখতে পারেন, আপনি যেখানে থাকেন সেখান থেকে সন্তানের স্কুল যাতায়াতে রোজ যদি ৩০০ টাকাও লাগে তাহলে মাস শেষে সেটা ৬ হাজার ৬০০ টাকা হয় (২২ দিন হিসাবে)। আপনি বরং বাসার বর্তমান ভাড়ার সঙ্গে স্কুলে যাতায়াতের ভাড়ার টাকা থেকে তিন–চার হাজার টাকা যোগ করে স্কুলের কাছে বাসা নিন। এতে একাধিক সুবিধা মিলবে। তাই বাসা বদলের আগে এ দিকটা ভেবে দেখুন।
মা-বাবার কাছাকাছি বাসা
শহুরে জীবনে একক পরিবারের আধিক্য। দুজনের সংসারে হয়তো সেটা অনেক সুবিধারও। কিন্তু দুই থেকে সংখ্যাটা তিন হলেই বোঝা যায়, মা-বাবা বা পরিবারের অন্যদের কাছাকাছি থাকা কতটা জরুরি। যে পরিবারে স্বামী-স্ত্রী দুজনই চাকরি করেন, সন্তান হওয়ার পর তাঁরা নতুন এক বাস্তবতার মুখোমুখি হন। তাই বাসা বদলাতে হলে এ ভাবনাটাও মাথায় রাখুন। মা-বাবার বাসার কাছে বাসা নিলে সন্তান বড় করতে নানা রকম সুবিধা মিলবে। বিপদে–আপদে তাঁরা দ্রুত আপনার পাশে দাঁড়াতে পারবেন। সবচেয়ে বড় যে বিষয়, প্রথম কয়েক বছর সন্তান বড় করতে নতুন মা-বাবাকে যে পরিমাণ পরিশ্রম করতে হয়, তার অনেকটা কমে যাবে। শুধু মা-বাবাই নন, পরিবারের অন্য কোনো সদস্যও যদি আপনার বাসার কাছাকাছি থাকেন, যেকোনো দরকারে তাঁদের সাহায্য পাওয়া সহজ হবে। নিত্যদিনের জীবনযাপনেও আরাম পাবেন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে হয়তো কিছুটা স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ মনে হতে পারে; কিন্তু নিজেদের বুদ্ধিমত্তা দিয়ে সেটি উতরে যাওয়া যায়।
এলাকার পরিবেশ
যে এলাকায় বাসা নিচ্ছেন সেখানকার আবাসনব্যবস্থা সম্পর্কে আগে থেকে একটু ধারণা নেওয়ার চেষ্টা করুন। আপনি হয়তো শীতকালে বাসা ভাড়া নিলেন, কিন্তু বর্ষায় দেখলেন ভিন্ন চিত্র। হয়তো একটু পানিতেই হাঁটুপানি জমে যায় বাসার সামনের সড়কে। অথবা যদি ওই এলাকার নিরাপত্তাব্যবস্থা দুর্বল হয়, তাহলে বাসায় থেকে স্বস্তি মিলবে না। অনেক এলাকায় সন্ধ্যার পর গলির মোড়ে একলা যাতায়াতেও ভয় লাগে, ঘটে অঘটন। সেসব এলাকা এড়িয়ে চলাই ভালো। সবচেয়ে ভালো হয় আবাসিক এলাকা হলে। বাসা ভাড়া নেওয়ার আগে গেট বন্ধ হওয়ার সময়টাও জানা জরুরি। অনেক বাসায় দারোয়ান থাকে না। সে ক্ষেত্রে বাসার চাবি দেবেন কি না, জেনে নিন। আপনি যে বাড়িতে ভাড়া নিচ্ছেন সেখানে আর কারা থাকেন, সেটিও জেনে নিতে পারেন। বাড়ি ভাড়া নেওয়ার সময় একটা চুক্তিপত্র থাকলে ভাড়াটিয়া হিসেবে আপনি অনেক বিষয়ে সেফ থাকবেন। বাসার কাছে খোলামেলা পরিবেশ, হাঁটার জায়গা ইত্যাদি আছে কি না, দেখে নিন।
যানবাহন–সুবিধা
আপনি নতুন বাসাটি যেখানে দেখছেন সেখানকার যাতায়াতব্যবস্থা কেমন, সেটি শুরুতেই ভাবতে হবে। বিশেষ করে যাঁদের ব্যক্তিগত গাড়ি নেই তাঁদের বাসা থেকে বাস স্টপেজ কত দূর, সেটি ভাবনায় রাখুন। বাসা থেকে কাজের জায়গা, সন্তানের স্কুল-কলেজ, গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে যেতে চাইলে কিসে যেতে হবে, সেটি ভেবে দেখুন। অনেক সময় থাকার জায়গা হিসেবে আমরা হয়তো এমন এলাকা নির্বাচন করলাম, সেটি আবাসিক এলাকা হিসেবে ভালো। কিন্তু সেখান থেকে যেকোনো জায়গায় যাতায়াতের জন্য খরচ কিছুটা বেড়ে যাচ্ছে। তাহলেও আপনার ব্যয় বেড়ে যেতে পারে। যেমন ধরুন, ঢাকার হাতিরঝিলের পারে মহানগর আবাসিক এলাকা। থাকার জায়গা হিসেবে খুবই ভালো। পরিকল্পিত ভবন ও রাস্তাঘাট আছে। কিন্তু যাঁদের ব্যক্তিগত গাড়ি নেই, তাঁদের জন্য এ এলাকায় থাকা কিছুটা ব্যয়বহুল।
হাটবাজার ও দোকানপাট
আপনি যেখানে বাসা ভাড়া নিচ্ছেন সেখানে নিত্যপণ্যের বাজারঘাট আছে কি না, দেখে নিন। মাছ বা শাকসবজি কেনাকাটার জন্য আবাসিক এলাকার কাছাকাছি (১০ থেকে ১৫ মিনিটের হাঁটা দূরত্বে) হাটবাজার আছে কি না, দেখে নিন। যেসব এলাকায় সুপারশপ বা ভ্যানের বাজারের ওপর নির্ভরশীল করতে হয়, সেখানে থাকলে খরচ বেড়ে যেতে পারে। একই সঙ্গে তরতাজা তরকারি কম মেলে। বাসার কাছাকাছি সব ধরনের কেনাকাটার দোকানপাট থাকলে সময় বাঁচে, জীবনযাপনও সহজ হয়।
বাসার সুযোগ-সুবিধা
বাসা নির্বাচনের আগে আলো–বাতাসের পর্যাপ্ততা যাচাই করা জরুরি। তাই বাসা দেখতে যাবেন দিনের বেলা। অনেক সময় কর্মব্যস্ততায় দিনে কাজ শেষ করে, রাতের বেলা বাসা খোঁজার অভ্যাস অনেকের। এতে বাসায় ওঠার পর দেখা যায়, দিনের আলোর দেখা মেলে না। হয়তো অনেক খুঁতও দিনের আলোতে ধরা পড়ে, যা রাতে দেখা যায় না। দিন–রাত চলাচলে বাসায় কোনো বিধিনিষেধ আছে কি না, আগেই জেনে নিন। অনেক বাসায় নিরাপত্তারক্ষী থাকে না। এসব বাসা ভাড়া নেওয়ার আগে নিরাপত্তার দিকটা ভেবে নিন। নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানির সুবিধা আছে কি না, জেনে নিন। বাসার অন্তত একদিক খোলামেলা রেখে বাসা খুঁজতে চেষ্টা করুন। হাই কমোড-লো কমোডের সমন্বয় দরকার পড়ে অনেক পরিবারের। বাসার সিঁড়ি, লিফট, ফায়ার এক্সিট, অগ্নিনির্বাপণ–সুবিধা, জেনারেটর ইত্যাদির কোন কোন বিষয় আছে সেগুলো দেখেশুনে তারপর বাসা নির্বাচন করুন।
নানা কারণে বাসা বদলাতে হতে পারে। কখনো আর্থিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে, কখনো বসবাসের অন্য সুবিধার জন্য। তবে শুধু তাৎক্ষণিক প্রয়োজন মেটে এমন বাসায় না উঠে দীর্ঘদিন থাকা যায়, এমন বাসা নির্বাচন করা জরুরি। শহরের মধ্যে এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় গেলে একধরনের ভাবনা, তবে এক শহর ছেড়ে নতুন শহরে গেলে অবশ্যই নিজেদের ভালো থাকাটা নিশ্চিত করার পাশাপাশি সচ্ছলতা ও সঞ্চয়ের ভাবনাটা মাথায় রাখুন। এতে ভবিষ্যৎ ভালো কাটবে।