মেট্রোরেলে এমন আচরণ করছেন না তো
মেট্রোরেল অন্যান্য গণপরিবহনের চেয়ে আলাদা। আর আমাদের জন্যও বেশ নতুন অভিজ্ঞতা। এটাকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য বেশ কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। এই সব বিধিনিষেধ মেট্রো স্টেশন ও বগি—দুই জায়গার জন্যই প্রযোজ্য। এসব নিয়ম না মানলে জরিমানা পর্যন্ত হতে পারে।
স্টেশনের ভেতরে
স্টেশনের প্রবেশপথে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়াতে হবে, এমআরটি পাস (দীর্ঘমেয়াদি টিকিট) থাকলেও লাইন অমান্য করা যাবে না।
দোতলায় ঢোকা ও বের হওয়ার গেট টপকানোর চেষ্টা করা যাবে না।
মেট্রোরেল স্টেশনের লিফটে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের অগ্রাধিকার দিতে হবে।
চলন্ত সিঁড়িতে বাঁ দিক ঘেঁষে দাঁড়াতে হবে।
দৃষ্টিহীনদের যাতায়াতের জন্য হলুদ রঙের পথ ছেড়ে দাঁড়াতে হবে।
স্টেশন এলাকায় ধূমপান করা যাবে না। পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে।
প্ল্যাটফর্ম স্ক্রিন ডোরের (প্ল্যাটফর্মে দাঁড়ানো যাত্রীদের দুর্ঘটনা থেকে বাঁচাতে বিশেষ দরজা) ওপর দিয়ে মাথা বাড়িয়ে মেট্রোরেল দেখার চেষ্টা করা যাবে না।
কোনো প্রকার অস্ত্র বা ধারালো কিছু বহন করা যাবে না।
এক স্টেশনের টিকিট কেটে অন্য স্টেশনে নামতে পারবেন না। তা করলে বা ভাড়া এড়ানোর জন্য অন্য কোনো কৌশল অবলম্বন করলে নির্ধারিত ভাড়ার ১০ গুণ পর্যন্ত অর্থদণ্ড হবে।
নিরাপত্তার স্বার্থে প্ল্যাটফর্মে হলুদ দাগের বাইরে দাঁড়াতে হবে।
ট্রেনে চড়ার সময়
ওঠানামার সময় হুড়োহুড়ি বা ধাক্কাধাক্কি করা যাবে না। আগে নামতে দিন, পরে উঠুন।
মেট্রোরেলের দরজায় কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না।
বয়স্ক ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন যাত্রীদের জন্য নির্ধারিত স্থান ছেড়ে দিতে হবে।
কোচের দরজায় হেলান দিয়ে দাঁড়ানো যাবে না।
একাধিক সিট দখল করে বসা যাবে না।
ড্রাইভিং ক্যাবের দরজা খোলা যাবে না।
দুই কোচের মাঝখানের চলাচলের পথে দাঁড়ানো যাবে না।
নির্ধারিত স্থান ব্যতীত থুতু বা পানের পিক ফেলা যাবে না।
কোনো ধরনের পোষা প্রাণী বহন করা যাবে না।
মেট্রোরেল এলাকায় পোস্টার, ব্যানার, দেয়াল লিখন ইত্যাদি নিষিদ্ধ।
ট্রেনের ভেতরটা দেখার জন্য প্ল্যাটফর্ম স্ক্রিন ডোরে ঝোঁকা নিষেধ।