থুতু ফেললে শাস্তি পাবেন, কারও বাসায় প্রবেশের অনুমতি না নিলেও আছে শাস্তির বিধান
আপনি কি জানেন, জনসাধারণ ব্যবহার করে, এমন স্থানে থুতু ছিটালে এবং এতে পথচারী বিরক্ত হলে আপনার জরিমানার হতে পারে। বাংলাদেশের তেমন কয়েকটি অপ্রচলিত আইন নিয়ে এই আয়োজন
থুতু বা পানের পিক ফেলার শাস্তি
পথ চলতে চলতে হঠাৎ যেখানে-সেখানে থুতু বা পানের পিক ফেললে শাস্তি হতে পারে আপনার। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অধ্যাদেশে কোনো লোক যদি রাস্তা বা জনসাধারণ ব্যবহার করে, এমন স্থানে থুতু ছিটায় এবং এতে পথচারী বিরক্ত হন, তাহলে ২০০ টাকা জরিমানার বিধান আছে। এ ছাড়া সরকার বা কর্তৃপক্ষের নিষেধ সত্ত্বেও কেউ কোনো দেয়ালে বা নির্দিষ্ট স্থানে থুতু ফেললে শাস্তি ১০০ টাকা জরিমানা। রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ অধ্যাদেশেও বলা আছে, সরকারি বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের নোটিশ অমান্য করলে ১০০ টাকা জরিমানা হবে। সিলেট ও বরিশালে জরিমানা ৩০০ টাকা। এ ছাড়া বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুযায়ী অফিসে বা প্রতিষ্ঠানে ‘আবর্জনা বাক্স ও পিকদানি’ শিরোনাম উল্লেখ করে সুবিধাজনক স্থানে পর্যাপ্তসংখ্যক আবর্জনা ফেলার বাক্স ও পিকদানি থাকতে হবে। নিয়মিত সেগুলো পরিষ্কার রাখার বাধ্যবাধকতাও আছে। আইন অনুযায়ী, কোনো প্রতিষ্ঠানের আঙিনার মধ্যে কেউ বাক্স ও পিকদানি ছাড়া ময়লা বা থুতু ফেলতে পারবেন না, ফেললে সেটা হবে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
অপরিচিত বাসায় ঢোকা যাবে না
ইচ্ছা করল আর কারও বাসায় ঢুকে গেলাম, এমনটা করলেও শাস্তি আছে। কিছু প্রতিবেশী আছেন, যাঁরা সময়-অসময়ে অনুমতি না নিয়েই বাড়িতে ঢুকে পড়েন। আর বাসার মধ্যে ঢোকার সাহস না হলে বাইরে আশপাশে পায়চারি করেন। তাঁদের জানা থাকা ভালো, ইচ্ছা করলেই অনুমতি ছাড়া অন্যের বাসায় প্রবেশ করা যাবে না, এমনকি প্রতিবেশীর বাসায়ও নয়। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অধ্যাদেশ অনুযায়ী, যদি কোনো লোক সন্তোষজনক কারণ ছাড়া কোনো বাসায় কিংবা বাসার লাগোয়া জমি বা মাঠে অনধিকার প্রবেশ করেন, তাহলে গুনতে হবে ১০০ টাকা জরিমানা।
লেখক: আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট