নর্থ সাউথের নতুন ক্যাম্পাসটি হবে আন্তর্জাতিক মানের: উপাচার্য
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) চলছে ‘জিপিএইচ ইস্পাত-প্রথম আলো বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি উৎসব ২০২৩’। এ উপলক্ষে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিয়ে তাঁদের ভাবনা জানিয়েছেন। এখানে পড়ুন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির উপাচার্য আতিকুল ইসলামের বক্তব্য।
ব্যতিক্রমী শিক্ষাদানে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি (এনএসইউ) প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কেবল একাডেমিকই নয়, বরং শিক্ষার্থীর সামগ্রিক অভিজ্ঞতার ক্ষেত্র নিয়েই আমরা কাজ করি। আরামদায়ক এবং অনুকূল শিক্ষার পরিবেশের কথা মাথায় রেখে আমাদের ক্যাম্পাসের নকশা করা হয়েছে। বিশ্বমানের পাঠ্যক্রমের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের জন্য এখানে আছে বড় খেলার মাঠ, আধুনিক গ্রন্থাগার, জিমনেসিয়াম, ক্রীড়াকেন্দ্র, বিশ্রামাগার এবং জিনোম গবেষণাকেন্দ্র। এ ছাড়া আছে শিক্ষার্থী, অনুষদ এবং কর্মীদের জন্য নিজস্ব ইন-হাউস মেডিকেল সেন্টার, প্যাথলজি ল্যাব ও আধুনিক ফার্মেসি।
শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ
ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল এবং একাডেমিক সাফল্যের ওপর ভিত্তি করে এনএসইউতে শিক্ষার্থীদের শতভাগ টিউশন ফি মওকুফের ব্যবস্থা রয়েছে। এ ছাড়া মানবিক ও আর্থিক চাহিদার ওপর ভিত্তি করে বৃত্তির পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধার সন্তানেরা বিনা মূল্যে পড়াশোনা করতে পারে। শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা বিকাশেও এনএসইউ সার্বিক সহযোগিতা করে। আমাদের ২০টিরও বেশি বিভিন্ন ধরনের ক্লাব রয়েছে। ক্যারিয়ার কিংবা সৃজনশীলতা—দুটিরই চর্চা করার সুযোগ আছে।
পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে যেন শিক্ষার্থীরা কাজ করতে পারে, সেভাবেই আমরা তাদের তৈরি করি। আমরা চাই, তাদের চিন্তা হবে বৈশ্বিক। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়ায় আমাদের বহু শিক্ষার্থী কাজ করছে। এসব দেশে আমাদের অ্যালামনাই সদস্যরা আছেন। সেখানে নতুন কেউ গেলে অ্যালামনাইরা সহায়তা করেন।
গবেষণা ও র্যাঙ্কিং
আমরা চাই মাঠপর্যায় থেকে জ্ঞান নিয়ে ভালো গবেষণা হবে, মানুষের যা কাজে লাগবে। সে জন্য শিক্ষকদের নানাভাবে সহায়তা দেওয়া হয়। রোবোটিকসসহ মেশিন লার্নিং এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়েও আমাদের গবেষণা চলমান রয়েছে। সরকার থেকে শুরু করে অনেক শিল্পপ্রতিষ্ঠান, এমনকি আন্তর্জাতিক বড় প্রতিষ্ঠানও গবেষণার জন্য আমাদের সহযোগিতা দেয়। নাসা থেকে শুরু করে মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয় বা জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো প্রতিষ্ঠান আমাদের গবেষকদের গবেষণার ওপর আস্থা রাখে।
২০২৩ সালে টাইমস হায়ার এডুকেশন ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিংয়ে এনএসইউ বাংলাদেশের ১ নম্বর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে। টাইমস হায়ার এডুকেশন ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিং ২০২৩ (বিষয় অনুসারে) এনএসইউকে প্রকৌশলের জন্য বাংলাদেশের ১ নম্বর বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে স্থান দিয়েছে। টাইমসের ২০২৩ সালের সেরা ২০০ এশিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বেসরকারি খাতের একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় এনএসইউ। কিউএস গ্র্যাজুয়েট এমপ্লয়িবিলিটি র্যাঙ্কিং ২০২২-এ বিশ্বের শীর্ষ ৫০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বাংলাদেশের একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় এনএসইউ।
আমাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তিনটি মূল বিষয়ের ওপর নিবদ্ধ—আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষক নিয়োগ, শীর্ষ মেধাবী শিক্ষার্থীদের আকর্ষণ এবং একটি ভালো শেখার পরিবেশ। ২০০৯ সাল থেকে এনএসইউ ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় নিজস্ব, আধুনিক ও সুসজ্জিত ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। দ্রুত দেশ-বিদেশের মেধাবী শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ায় এই স্বল্প পরিসরে তাদের আর সংকুলান করা সম্ভব হচ্ছে না। এ সমস্যার সমাধানে এবং অল্প সময়ের মধ্যে এশিয়ার সেরা ১০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে নিজেদের স্থান করে নিতে আমরা একটি নতুন ক্যাম্পাস নির্মাণের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়টি সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করছি। নতুন ক্যাম্পাসটি হবে আন্তর্জাতিক মানের একটি ক্যাম্পাস; যা আমাদের শিক্ষার্থী, অনুষদ এবং কর্মীদের সব ধরনের আন্তর্জাতিক মানের সুবিধা দেবে।