নর্থ সাউথের উপাচার্য: সবাইকে একই স্কেলে মাপার দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে

নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির নতুন উপাচার্য—অধ্যাপক আবদুল হান্নান চৌধুরী। শিক্ষা নিয়ে তাঁর ভাবনার কথা শুনলেন মো. সাইফুল্লাহ

নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল হান্নান চৌধুরীছবি: সুমন ইউসুফ

প্রসঙ্গ গণ-অভ্যুত্থান

দীর্ঘদিন ধরেই বঞ্চিত হয়ে আসছিল তরুণেরা। সেটিরই একটি ফল হিসেবে রাষ্ট্রকাঠামোয় তারা পরিবর্তন চেয়েছে। এ আন্দোলন শুধু যে তরুণ বা শিক্ষার্থীদের ছিল, তা কিন্তু নয়। সমাজের সব স্তরে নানা বৈষম্যের কারণে পুঞ্জীভূত ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল। ফলে সব স্তরের মানুষকে সঙ্গে নিয়েই তারা এই পরিবর্তনে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে। সাধারণত যেকোনো বিপ্লবে তরুণদেরই সামনে থাকতে হয়। বাকিরাও তখন ঝাঁপিয়ে পড়ে।

যা থেকে ক্ষোভের জন্ম

শিক্ষার্থীদের প্রতি বৈষম্যের ক্ষেত্রটা দীর্ঘদিন ধরে তৈরি হয়েছে। এক হলো তাদের সুযোগের কমতি বা অভাব। শুধু যে চাকরি পাওয়ার সুযোগ, তা নয় কিন্তু। ন্যায্য অধিকার পাওয়ার সুযোগ। এ সময়ের শিক্ষার্থীদের চাহিদাটা আসলে কী, জাতি হিসেবে আমরা সেটা বুঝতে অনেক ক্ষেত্রেই ব্যর্থ হয়েছি। তারা কিন্তু জানত, যাদের আমরা জেন-জি হিসেবে আখ্যায়িত করি। তারা তাদের চাহিদাটা বুঝত। রাষ্ট্র, সমাজ, দেশকে ঘিরেই তাদের ভাবনা। তাদের ভাবনা আর রাষ্ট্রের ভাবনার মধ্যে যে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল, সেই দূরত্বের কারণেই ক্ষোভের জায়গাটা অনেক বড় হয়ে গেছে। ফলে যে পরিবর্তনটা এল, এটা বাংলাদেশের ইতিহাসে অনেক বড় ঘটনা।

শিক্ষা খাতের ব্যর্থতা

অন্য অনেক সূচকে এগোলেও শিক্ষা খাতে কিন্তু আমরা অনেকটা পিছিয়ে পড়েছি। বৈশ্বিক শিক্ষার সঙ্গে বাংলাদেশের শিক্ষার ব্যবধান বাড়ছিল এবং সেই ব্যবধান এখনো আছে। তরুণেরা ঠিকই বুঝতে পারছিল যে তারা বঞ্চিত হচ্ছে। কিন্তু আমাদের শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত যেসব সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান; হোক শিক্ষা মন্ত্রণালয়, শিক্ষা বোর্ড, কিংবা ইউজিসি (বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন), সামগ্রিকভাবে তারা সবাই ব্যর্থ হয়েছে।

আমাদের জনসংখ্যার প্রায় ৬০ শতাংশেরই বয়স ৩৫–এর নিচে। অর্থাৎ এই রাষ্ট্র কিন্তু তরুণ থাকবে আরও ৩০-৪০ বছর। অথচ রাষ্ট্র কিন্তু এই তরুণদের কথা কখনো আলাদাভাবে ভাবেনি। তাদের একটা সমসাময়িক ও বিশ্বমানের শিক্ষা দিতে হবে, কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে—এসব নিয়ে কি কেউ মাথা ঘামিয়েছে? হ্যাঁ, আমরা তাদের সবার জন্য দেশে কর্মক্ষেত্র তৈরি করতে পারব না, অত চাকরির সুযোগ দেশে নেই। কিন্তু আমরা তো তাদের সেই জ্ঞানটুকু দিতে পারি, যা গ্রহণ করে তারা সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়তে পারবে। রাষ্ট্রীয়ভাবে সেই নিশ্চয়তা আমরা দিতে পারিনি।

প্রতিটা তরুণকে আমরা চাকরিমুখী করার একটা সমাজ গড়তে চেয়েছি। কিন্তু আমরা যদি তাদের দক্ষতা গড়ার দিকে মনোযোগ দিতাম, তাহলে কিন্তু তারা নিজেরা চাকরি খোঁজার চেয়ে অন্যের জন্য চাকরি সৃষ্টির দিকে মনোযোগী হতে পারত। আমরা বলছি, একটা চাকরিহীন ভবিষ্যৎ আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। এটা কিন্তু শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, সারা পৃথিবীর জন্য। সারা পৃথিবীতেই চাকরির স্বল্পতা দেখা দেবে। যে চাকরিগুলো আসবে, সেগুলোর জন্যও আমাদের প্রযুক্তিনির্ভর হতে হবে। সে কারণেই যে গতানুগতিক শিক্ষা আমরা দিচ্ছি, তাতে আমাদের যথেষ্ট ব্যর্থতা আছে। রাষ্ট্রীয়ভাবে আছে, প্রাতিষ্ঠানিকভাবেও আছে।

নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল হান্নান চৌধুরী
ছবি: সুমন ইউসুফ

ব্যর্থতার কারণ

আমাদের রাষ্ট্রকাঠামো শিক্ষাকে অনেকটা প্রশাসনিক বিধিনিষেধের মধ্যে রেখেছে। অথচ শিক্ষা বা উচ্চশিক্ষা তো আসলে মুক্ত হওয়া উচিত। বাংলাদেশকে এগোতে হলে উচ্চশিক্ষাকে স্বাধীনতা দিতে হবে। সেই স্বাধীনতা যদি না দিই, বাংলাদেশ কখনো এগোতে পারবে না। আমার ব্যক্তিগত মত হলো, যে জাতি মনে করে প্রত্যেক বাচ্চাকে একই পাইপলাইনের মধ্য দিয়ে একইভাবে বড় করবে, সেই জাতি দিন দিন পিছিয়ে পড়বে। সব শিশু কিন্তু একই পরিবেশে জন্ম নেয় না, একই পরিবেশে বড় হয় না, একই ধরনের সুযোগও পায় না। সবাইকে তো আপনি একই পাইপলাইনের ভেতর দিয়ে নিতে পারবেন না। কিন্তু জীবনে চলার পথে তারা যদি এগিয়ে যায় নিজেদের মতো করে, তাহলে একটা জায়গায় গিয়ে তারা একত্র হতে পারে।

মাদ্রাসা শিক্ষা, বাংলা মাধ্যম, ইংরেজি মাধ্যম—সবাইকে আমরা একটা পাইপলাইনের মধ্যে আনতে চাই। সেই পাইপলাইন তৈরি করার জন্য আমরা একটা নির্দিষ্ট পাঠ্যক্রম তৈরি করতে চেষ্টা করি। এখানেই কিন্তু আমাদের ব্যর্থতা। এক প্রশ্ন দিয়ে তো আপনি সবার মেধা যাচাই করতে পারবেন না। একজন শিক্ষার্থী গ্রাম থেকে আসতে পারে, শহর থেকে আসতে পারে। সে ধনীর সন্তান হতে পারে, গরিবের সন্তান হতে পারে। কিন্তু সে উঠে আসতে পারে নানাভাবে। সমাজটা তো এমনই হওয়া উচিত, যেন কেউ বঞ্চিত না হয়। কিন্তু আমরা সবাইকে এক স্কেলে মাপতে চাই। এই দৃষ্টিভঙ্গিটা বদলাতে হবে। পৃথিবীর যত বড় বড় নামী বিশ্ববিদ্যালয় আছে, তারা কিন্তু সবাই একটু বিশেষ ছেলেমেয়েদের জন্য আলাদা সুযোগ রাখে। শুধু মানসিক বিকাশের জন্য নয়, এই ছেলেমেয়েদের সামনে যদি অন্য কোনো প্রতিবন্ধকতাও থাকে, সেটাও তারা দূর করার চেষ্টা করে।

পৃথিবীর আর কোনো সভ্য দেশে আপনি দেখেছেন, ফলাফল প্রকাশের দিন শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবকেরা মিলে মাঠে নেমে আনন্দ করছে, ঢোল পেটাচ্ছে, সাংবাদিকেরা ছবি তুলছে? এই এক অদ্ভুত সংস্কৃতি আমরা তৈরি করেছি। খুবই নেতিবাচক একটা সংস্কৃতি। কারণ, সেই একই দিনে খারাপ রেজাল্টের কারণে যে শিক্ষার্থী নিভৃতে কাঁদে, তার দিকে কারও দৃষ্টি যায় না।

বাক্সে বাক্সে বন্দী বাক্স

আপনি যদি বুফে খেতে যান, পছন্দের খাবারগুলো দিয়ে আপনার প্লেটটা সাজান। শিক্ষার ক্ষেত্রে এ ধরনের সুযোগ আমরা শিক্ষার্থীদের দিই না। উন্মুক্তভাবে পড়ার বিষয় বেছে নেওয়ার সুযোগ আমাদের দেশে থাকে না। একজন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারকে কি আমরা একটা নাটকের কোর্স করতে দিই? ব্যবসায় প্রশাসনের একজন শিক্ষার্থী কি সমুদ্রবিজ্ঞান নিয়েও পড়তে পারে? না, এই স্বাধীনতা আমরা দিই না। একজন শিক্ষার্থী যখন তার মূল বিষয়টার পাশাপাশি আগ্রহের আরও নানা বিষয়ে পড়ার সুযোগ পায়, আমরা সেটাকে বলি ইন্টারডিসিপ্লিনারি রিসার্চ বা ইন্টারডিসিপ্লিনারি কোর্স, ইন্টারডিসিপ্লিনারি ধারণা। এ সুযোগ না পেলে মানসিক বিকাশ হবে কী করে? আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় আমরা একজন শিক্ষার্থীর মেধা বা চিন্তার জগৎকে বাক্সবন্দী করে ফেলতে চাই। এই বাক্সের বাইরে সে আর চিন্তা করতে পারবে না। এই যে দেয়াল আমরা তৈরি করে ফেলি, তাতে জ্ঞানের আদান-প্রদানের পথ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে একজন ইংরেজি মাধ্যমে পড়া মানুষ একজন মাদ্রাসা শিক্ষায় শিক্ষিত মানুষকে অবমূল্যায়ন করেন। বিজ্ঞান শিক্ষায় শিক্ষিত মানুষ কলা শিক্ষায় শিক্ষিত একজনকে অবমূল্যায়ন করে। সে মনে করে, তার চেয়ে আমি বেশি জানি। অথচ পৃথিবীর সব মানুষ পৃথিবীর জন্য সমান অবদান রাখতে পারেন।

বাক্সবন্দী চিন্তা নিয়ে একটা সমাজ এগোতে পারে না। সমাজ সবাইকে নিয়ে গড়ে ওঠে। সবাইকে নিয়েই এগোতে হয়।

নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল হান্নান চৌধুরী
ছবি: সুমন ইউসুফ

রেজাল্টই শেষ কথা নয়

আমি ৩৬ বছরের বেশি সময় ধরে শিক্ষকতা করছি। দেশে–বিদেশে, ছোট-বড় শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ঘুরেছি, কাজ করেছি। এত জায়গা ঘুরে একটা বিষয় বুঝেছি—আসলে মানুষ গড়তে এত বড় কিছু লাগে না। আমরা যেগুলো নিয়ে সব সময় কথা বলি—আমাদের খুব কাঠামোবদ্ধ পাঠ্যক্রম লাগবে, তা নয় কিন্তু। যেকোনো বিষয়ে ৫টা-৬টা ভালো বই থাকলে শিক্ষার্থীরা নিজেদের ইচ্ছেমতো বেছে নিতে পারে। কিন্তু আমরা তা চাই না। আমরা একটা বিষয়ের জন্য একটা বই নির্দিষ্ট করে দিতে চাই। সে জন্যই আপনারা ওই একটা বইয়ের বানান ভুল ধরেন, তথ্যের ভুল ধরেন। কেন? কারণ সবার মনোযোগ ওই একটা বইয়ের দিকে। কিন্তু বাজারে যদি ১০টা বই থাকত?

পৃথিবীর অনেক দেশে দশম বা দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত কোনো বোর্ডের পরীক্ষা নেই। স্কুলেই পরীক্ষা হয়। আমরা কি সেদিকে যেতে পেরেছি? পারিনি। অনেক বছর লাগবে সেদিকে যেতে। কারণ, আমরা সে রকম নৈতিক জায়গায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে নিতে পারিনি। কেন পারিনি? কারণ, প্রত্যেক মানুষকে আমরা রেজাল্টনির্ভর করে ফেলেছি। বিশ্বের অনেক দেশে ১২তম ক্লাস পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা তাদের রেজাল্ট জানতেও পারে না। অথচ সে কিন্তু নিয়মিত ক্লাস করছে, পরীক্ষা দিচ্ছে। ভালো বা খারাপ কী করছে, সে জানে। এই যে সবাই মিলে জানা—কে ফার্স্ট, কে সেকেন্ড, এমনটা ওসব দেশে হয় না। শিক্ষক শিক্ষার্থীকে ব্যক্তিগতভাবে জানিয়ে দেন, কোথায় তার উন্নতি দরকার, কোথায় ঘাটতি আছে। পৃথিবীর আর কোনো সভ্য দেশে আপনি দেখেছেন, ফলাফল প্রকাশের দিন শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবকেরা মিলে মাঠে নেমে আনন্দ করছে, ঢোল পেটাচ্ছে, সাংবাদিকেরা ছবি তুলছে? এই এক অদ্ভুত সংস্কৃতি আমরা তৈরি করেছি। খুবই নেতিবাচক একটা সংস্কৃতি। কারণ, সেই একই দিনে খারাপ রেজাল্টের কারণে যে শিক্ষার্থী নিভৃতে কাঁদে, তার দিকে কারও দৃষ্টি যায় না। জীবনের শুরুতেই খুবই সাধারণ একটা পরীক্ষায় খারাপ করার জন্য আপনি তার মনোবল ভেঙে দিলেন। অথচ জীবনে চলার পথে একটা সময় এই রেজাল্টের কোনো মূল্য থাকবে না।

আরও পড়ুন

আপনি দেখবেন, কোচিং সেন্টারের সামনে বা পরীক্ষার হলের সামনে শিক্ষার্থীর চেয়ে অভিভাবকের সংখ্যা বেশি। কারণ, আমাদের চিন্তাভাবনার সব ফোকাস ওই একটা জায়গায়—রেজাল্ট। অথচ পৃথিবীর যেসব দেশ রেজাল্ট নিয়ে মাতামাতি করে না, তারাই সবচেয়ে বেশি গবেষণা করে, সবচেয়ে বেশি বিজ্ঞানী তৈরি করে, সবচেয়ে বেশি যুগান্তকারী আবিষ্কার করে।

নর্থ সাউথকে যেখানে দেখতে চাই

নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি একটি অনন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। আমরা সব সময় উদ্ভাবন, সৃজনশীলতাকে উৎসাহ দিই। উপাচার্য হিসেবে আমার চেষ্টা থাকবে—আরও বেশি আন্তর্জাতিকীকরণ। আমার চেষ্টা থাকবে, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিকে আরও বৈশ্বিক জায়গায় নিয়ে যাওয়া। সেই লক্ষ্য পূরণ করতে হলে আমাদের আরও বেশি আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী দরকার। এখন নর্থ সাউথে প্রায় ১৯টি দেশের শিক্ষার্থী আছে। ১৬-১৭টি দেশের শিক্ষক আছেন। সংখ্যাটা বাড়াতে হবে। আরও বৈচিত্র্যপূর্ণ শিক্ষক-শিক্ষার্থীর কমিউনিটি গড়তে চাই আমরা। যত ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতি, ভিন্ন চিন্তাভাবনার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের এক করতে পারব, জ্ঞানের বিকাশটা তত উন্মুক্ত হবে। যেমনটা বলছিলাম, বক্স থেকে বেরোতে হবে।

ভাবনার জগতে যে পরিবর্তন দরকার

আমাদের সব ক্ষেত্রে বাক্স। যেমন বিসিএস। একটা পরীক্ষায় ভালো করলে আপনি জীবনের সব ক্ষেত্রে সফল—এটা একটা ভীষণ ভুল ধারণা। একটা নির্দিষ্ট দিনে আপনি একটা নির্দিষ্ট পরীক্ষায় ভালো করেছেন—এর মানে তো এই নয় যে আপনিই সেরা। আমি পদ্ধতিটা বদলে ফেলার কথা বলছি না, বলছি মনস্তত্ত্বের কথা। আমি মেডিকেলে সুযোগ পেলেই সেরা ডাক্তার হব, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পেলেই সেরা প্রকৌশলী হব—তা নয় কিন্তু। তোমার আগ্রহ তোমাকে যেদিকে টানে, তুমি সেদিকে এগিয়ে যাও। এই আগ্রহই তোমাকে সফলতার দিকে নিয়ে যাবে। এই মানসিকতা তৈরি করতে হবে। প্রত্যেক শিক্ষার্থীই অনেকভাবে জীবনে এগোতে পারে। কিন্তু আমরা তাকে ব্র্যাকেটে আটকে ফেলি। ও তো অমুক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছে, ও তো অমুক বিষয়ে পড়েছে, অমুক জেলা থেকে এসেছে…ও বেশি দূর যেতে পারবে না। তা নয়। মানুষের উঠে আসাটা অনেকভাবে হয়, কিন্তু মানুষ যেতে পারে বহুদূর। এই বিশ্বাসটা যদি ছাত্ররা না পায়, সে এগোতে পারবে না।