পোষা প্রাণীতে অ্যালার্জি
হাঁচি, নাকে সর্দি, খুক খুক কাশি বা প্রায়ই হাঁপানির মতো শ্বাসকষ্ট লেগেই আছে। চিকিৎসকের পরামর্শে এড়িয়ে চলছেন ধুলোবালি, গাড়ির ধোঁয়া, ঠান্ডা পানি, চলছেন খুব সাবধানে। তবু সমস্যা যাচ্ছে না। ভেবে দেখুন তো, বাড়িতে কোনো পোষা প্রাণী, পাখি ইত্যাদি আছে কি না।
অ্যালার্জির ধাত আছে, এমন ব্যক্তিদের মধ্যে প্রতি তিনজনে একজনেরই পশুপাখি থেকে সমস্যা হওয়ার কথা। পশুপাখির লালা, প্রস্রাব ও লোম বা পালক হলো শক্তিশালী অ্যালার্জেন। কখনো পোষা প্রাণী নিজেরাই একজিমা বা ত্বকের সমস্যায় ভোগে ও তা ছড়ায়।
বিজ্ঞানীদের মতে, এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি সমস্যা করে বিড়াল, তাদের স্বভাবের কারণে। এরা বিছানায়, কার্পেটে, বালিশের মধ্যে শুয়ে থেকে ত্বকের কোষ, লোম ও ত্বকে লেগে থাকা লালা বা প্রস্রাব ছড়িয়ে দেয়। কুকুরও তাই। এরপরই আছে টিয়া পাখি ও অন্য পোষা পাখি, যারা পালকের মাধ্যমে অ্যালার্জেন ছড়ায়। এগুলো ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র দেহ কোষ, যা বাতাসে মিশে যায় এবং মালিকের শ্বাসনালিতে ঢুকে গিয়ে বিপত্তি ঘটায়।
যাঁদের অ্যালার্জির সমস্যা আছে, তবু প্রাণী পুষতে চান, তাঁদের জন্য রয়েছে বিজ্ঞানীদের কিছু পরামর্শ। প্রাণীটিকে যথাসম্ভব বাড়ির বাইরে যেমন: উঠানে বা সিঁড়ি ঘরে থাকতে দিন, নিজের শরীর চাটতে দেবেন না। নিয়মিত গোসল করান, খাঁচা বা থাকার জায়গা নিয়মিত পরিষ্কার রাখুন। কার্পেট, পাপোশ ইত্যাদি সরিয়ে ফেলুন। শোবার ঘরে বা বিছানায় এদের ঢোকানো যাবে না। সমস্যা খুব বেশি হলে প্রাণী পোষার চিন্তা বাদ দেওয়াই ভালো।
সূত্র: পেশেন্টকো, ইউ কে