ছেলেদেরও নিতে হবে ত্বকের যত্ন

নিজেকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে পুরুষেরও চাই ত্বকের সঠিক যত্ন ও সচেতনতা।

চর্চা করলে ত্বক থাকবে ভালোমডেল: মুনেম, কৃতজ্ঞতা: হেয়ারোবিক্স, ছবি: নকশা

সারা দিন বাইরে চলাফেরার পর ঘরে ফিরে প্রথমেই ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে মুখের ত্বক। এ জন্য ক্লিনজার বা ফেসওয়াশ সবচেয়ে ভালো উপায়। ত্বকের সঙ্গে মানানসই ক্লিনজার বা ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। তবে ক্লিনজার বা ফেসওয়াশ ব্যবহার করা উচিত ত্বকের ধরন অনুযায়ী। যেমন তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ফোমিং ফেসওয়াশ ও অন্য সব ধরনের ত্বকের জন্য জেল ক্লিনজার উপযোগী।

চুল কাটুন নিয়মিত
মডেল: মুনেম, কৃতজ্ঞতা: হেয়ারোবিক্স, ছবি: নকশা

তবে বর্তমান সময়ে অনেক পুরুষই ফ্যাশন স্টেটমেন্ট হিসেবে দাড়ি রাখছেন। কিন্তু দাড়ি শুধু রাখলেই হবে না, ত্বকের পাশাপাশি দাড়িরও চাই সঠিক পরিচর্যা। বাইরের ধুলা–ময়লার কারণে দাড়িতে খুব সহজে ময়লা, ব্যাকটেরিয়া আটকায়। এ থেকেই শুরু হয় নানা ধরনের ত্বকের সমস্যা। দাড়ির গোড়ায় জমে থাকা ময়লা ধীরে ধীরে ত্বকের রোমকূপ বন্ধ করে দেয়। এতে ব্রণের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এ জন্য ক্লিনজার বা ফেসওয়াশ ব্যবহারের পাশাপাশি দাড়ির অংশের মুখমণ্ডল এক্সফোলিয়েট করতে হবে। এতে দাড়ির নিচের মৃত কোষ দূর হবে এবং ব্রণ প্রতিরোধ হবে। এক্সফোলিয়েট করার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো গোসলের আগে একটি ভালো মানের ছোট ব্রিসেল বিয়ার্ড ব্রাশ দিয়ে দাড়ি আঁচড়ানো।

ত্বকের যত্নে আরও একটি নিয়মিত পদক্ষেপ হচ্ছে সানস্ক্রিন ব্যবহার। অনেকেই মনে করে সানস্ক্রিন শুধু মেয়েদের জন্য। এ ধারণা একেবারেই ভুল। পুরুষেরও উচিত প্রতিদিন ঘর থেকে বের হওয়ার আগে সানস্ক্রিন ব্যবহার করা। সবারই মনে রাখা উচিত মানুষের ত্বকের সবচেয়ে বড় শত্রু সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি, যা ত্বকের উজ্জ্বলতা নষ্ট করে। সানস্ক্রিন ব্যবহার না করলে ত্বকের হারানো উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনা কঠিন।

প্যাক লাগাতে পারেন মাসে দুই–একবার
মডেল: মুনেম, কৃতজ্ঞতা: হেয়ারোবিক্স, ছবি: নকশা

সৌন্দর্যচর্চার গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে খাওয়াদাওয়া। প্রচুর পানি ও তরলজাতীয় খাবার গ্রহণ করতে হবে। রোজার সময় সারা দিনের পানিশূন্যতা রোধে ইফতারের পর থেকে সাহ্‌রি পর্যন্ত পর্যাপ্ত পানি পান করুন। কারণ দেহ পানিশূন্য হলে ত্বকও পানিশূন্য ও নিস্তেজ হয়ে পড়ে। পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমাণ আমিষ, চর্বি, ভিটামিন বি৫, বি৬ ও বি৯ আছে, এমন খাবার খেতে হবে। মাছ, মাংস, বাদাম, ডিমের কুসুম, দুধ, সবুজ শাক ত্বকের সুস্থতা বজায় রাখে।