বাজারে এখন দেশি ফলের সমাহার। এর মধ্যে অল্প সময়ের জন্য বাজারে আসে লিচু। রসাল টসটসে লিচু আমাদের আকৃষ্ট করে স্বাদের কারণে। পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি ফল লিচু। তবে বেশি খেয়ে ফেললে আবার অনেক সময় অসুবিধায় পড়তে পারেন। তাই লিচু খাওয়ার আগে এর উপকারিতার পাশাপাশি জেনে রাখুন বেশি খাওয়ার অপকারিতাও।
পুষ্টি উপাদান
প্রতি ১০০ গ্রাম লিচুতে আছে জলীয় অংশ ৮৪ দশমিক ১, খাদ্যশক্তি ৬১ কিলো ক্যালোরি, শর্করা ১৩.৬ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ১০ গ্রাম ও ভিটামিন সি ৩১ মিলিগ্রাম।
উপকারিতা
লিচু শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়।
লিচুতে ভিটামিন সি আছে, যা ত্বক, দাঁত ও হাড়ের জন্য উপকারী।
ফ্ল্যাভানয়েডস নামের একটি উপাদান থাকে লিচুতে, যা স্তন ক্যানসার প্রতিরোধ করে।
পাকা লিচু ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়, বলিরেখা কমাতে সাহায্য করে। কারণ, এতে আছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট।
লিচুতে থাকা পটাসিয়াম আমাদের রক্ত ও নালির চাপ কমিয়ে রক্তের স্বাভাবিক গতি বাড়ায়। ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
অপকারিতা
লিচুতে হাইপোগ্লাইসিন নামের একধরনের রাসায়নিক পদার্থ থাকে, যা শরীরে শর্করা তৈরি হতে বাধা দেয়। যে কারণে শিশুরা খালি পেটে অনেকগুলো লিচু খেয়ে ফেললে শরীরের শর্করা কমে শিশুর বমি ও খিঁচুনি হয়। অনেক সময় তা মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তা ছাড়া যাঁরা ডায়াবেটিসের রোগী, তাঁরা ওষুধ সেবনের মাধ্যমে শরীরের শর্করা (গ্লুকোজ) নিয়ন্ত্রণে রাখেন, তাই তাঁরা যদি মাত্রাতিরিক্ত লিচু খেয়ে ফেলেন, তাহলে তাঁদের শরীরে শর্করা (গ্লুকোজ) কমে গিয়ে হাইপোগ্লাইসেমিয়া হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
লিচু একটি গরম ফল হওয়াতে অতিরিক্ত লিচু খেলে শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা নষ্ট হয়। ফলে গলাব্যথা হয়, অনেক সময় নাক দিয়ে রক্ত পড়তে পারে।