কোষ্ঠকাঠিন্যে যা ছুঁয়ে দেখতে মানা
কোষ্ঠকাঠিন্যের যন্ত্রণায় অনেকে সারা বছর ভুগে থাকেন। মাঝেমধ্যে নানা কারণে মল কঠিন হতেই পারে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, খাদ্যতালিকায় আঁশজাতীয় খাবারের ঘাটতি ও অপর্যাপ্ত পানি পান করার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। এ ছাড়া মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ বা স্ট্রোক, ডায়াবেটিস, হাইপোথাইরয়েডিজম, অন্ত্রের কোনো গুরুতর সমস্যা, যেমন: টিউমার বা বাধার কারণে এমন হয়। বিষণ্নতা ও মাদকসেবনের কারণেও কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ক্ষেত্রে খাদ্যাভ্যাস একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আঁশযুক্ত খাবার খেতে হবে প্রচুর। শাকসবজি, ফলমূল ও গোটা শস্যে প্রচুর আঁশ রয়েছে। প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করুন।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার বা অন্ত্রের নড়াচড়ার জন্য বেশ কিছু উপায় আছে। তবে কিছু কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য মারাত্মক রূপ নিতে পারে। সম্প্রতি জিনিউজে এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। দেখে নিন কোষ্ঠকাঠিন্য হলে আপনার যা খাওয়া মানা:
ব্যথানাশক ওষুধ: যাঁরা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যার ভুগছেন, তাঁরা অবশ্যই ব্যথানাশক (আইবুপ্রোফেন) এড়িয়ে চলবেন। নিয়মিত ব্যথানাশক সেবনে কোষ্ঠকাঠিন্য হয়।
দুগ্ধজাত খাবার: দুগ্ধজাত খাবার, যেমন: ক্রিম, গরুর দুধ বা দুধ থেকে তৈরি ঘি এড়িয়ে যাওয়া ভালো। এতে উচ্চ ল্যাকটোজ থাকে, যা কোষ্ঠকাঠিন্য তৈরি করে।
প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়া: প্রক্রিয়াজাত ও পরিশোধিত, খাবার: যেমন রুটি ও পাস্তাতে প্রচুর চর্বি থাকে, যা হজমপ্রক্রিয়ার গতি কমায় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য তৈরি করে। এতে ফ্রুকট্যানস থাকে, যা কোষ্ঠকাঠিন্য, পেট ফোলা ও গ্যাস তৈরি করে।
কফি পান: কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যার সময় কফি পান করা উচিত নয়। ক্যাফেইন অন্ত্রের নড়াচড়ায় ব্যাঘাত ঘটায়। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে বেশি করে পান করা উচিত।
যে খাবার কম খাবেন: লাল মাংস কম খেতে হবে। চিপস, ভাজাপোড়া খাবার, কফি, চকলেট ইত্যাদি এড়িয়ে চলা ভালো। যেসব খাবার তৈরিতে প্রচুর চিনি ব্যবহৃত হয়, সেসব খাবারেও কোষ্ঠকাঠিন্য হয়। যেমন: বেকারির খাবার—কেক, পেস্ট্রি ইত্যাদি। অনেক সময় কাঁচকলা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। যাঁরা আয়রন ক্যাপসুল খান, তাঁদের কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়া স্বাভাবিক। খাদ্যাভ্যাস পাল্টেও সমস্যার সমাধান না হলে নিজে নিজে ওষুধ না খেয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।