কাপড় চেনার উপায়

সিল্ক, খাদি, কাতান, বেনারসির মতো ঐতিহ্যবাহী কাপড়গুলো নিয়ে গর্ব করতেই পারি। তবে এসব কাপড় তৈরির প্রক্রিয়া ব্যয়বহুল দেখে বাজারে অনেক বিক্রেতাই কৃত্রিম তন্তুর কাপড় ক্রেতাদের কাছে তসর, কাতান, সিল্ক বলে গছিয়ে দেন। তাই এ ধরনের কাপড় চেনার কৌশল জেনে নেওয়া ভালো। একই কথা সুতি কাপড় কেনার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। কারণ, অনেক সময় সুতি কাপড়ের সঙ্গে অন্য সুতা মিশিয়ে বিক্রি করে থাকেন অনেকে।

সিল্ক

কাপড়ের সুতা যদি পুড়ে ছাই হয়, তবে তা হবে আসল সিল্কের কাপড়
ছবি: নকশা

কাপড়টি আসলেই সিল্কের সুতায় তৈরি কি না, তাৎক্ষণিকভাবে সেটা বোঝার জন্য সহজ একটি পদ্ধতির কথা জানালেন দোয়েল সিল্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জি এম আলমগীর। সিল্ক কেনার সময় কাপড় থেকে একটু সুতা বের করে পুড়িয়ে নিন। পোড়ানোর পর কাপড় থেকে যদি রেশম পোকার পোড়া পোড়া গন্ধ বের হয় এবং সুতা পুড়ে ছাই হয়ে যায়, তখনই বুঝবেন কাপড়টি আসলেই রেশম সুতায় তৈরি। অন্যদিকে পলিয়েস্টার সুতা পোড়ালে কোনো গন্ধ তো বের হবেই না, বরং তা আঠার মতো আটকে যাবে হাতে।

তসর/ গরদ/ কাতান

তসর, গরদ, কাতান কাপড় চেনার কৌশলটাও সিল্কের কাপড়ের মতোই হবে
ছবি: নকশা

আসল তসর কাপড় তৈরি হয় মূলত ভারত ও চীনে। কারণ, তসর তৈরিতে যে সুতা ব্যবহার করা হয়, আমাদের দেশের আবহাওয়া সেই সুতা উৎপাদনের উপযোগী নয়। এ জন্য অ্যান্ডি সিল্কে রেশম সুতা ব্যবহার করে তসরের একটা আমেজ আনা হয়। এই কাপড়ে তৈরি শাড়িগুলোই আমাদের এখানে তসর বলে পরিচিত। গরদের ক্ষেত্রেও সেই একই কথা। কিন্তু স্থানীয়ভাবে এখন অনেক জায়গায় পলিয়েস্টার সুতা দিয়ে কম খরচে ও কম সময়ে তৈরি হচ্ছে এসব শাড়ি। আর ক্রেতারাও না বুঝে তসর, গরদ আর সিল্ক ভেবে কিনছেন এসব। সিল্কের মতোই তসর বা গরদ কেনার সময় কাপড় থেকে একটু সুতা বের করে পুড়িয়ে নিন। সেই একই কথা। কাপড় পোড়ানোর পর যদি রেশম পোকার পোড়া পোড়া গন্ধ বের হয় এবং সুতা পুড়ে ছাই হয়ে যায়, তখনই বুঝবেন শাড়িটি আসলেই গরদ, তসর বা কাতান।

সুতি

খাঁটি সুতি কাপড়ের উজ্জ্বলতা কম হবে
ছবি: নকশা

আসল সুতি কাপড়ের বুনন হবে পাতলা, এমনটাই বলছিলেন টাঙ্গাইল শাড়ি কুটিরের স্বত্বাধিকারী মুনিরা এমদাদ। খাঁটি সুতি কাপড়ের উজ্জ্বলতা থাকবে কম। সুতি কাপড় চেনার আরেকটি সহজ পদ্ধতি রয়েছে। তা হলো মোচড়ানো হলে সহজেই সুতি কাপড় কুঁচকে যায়। আবার ধোয়ার পর টান টান করে মেলে দিলে সোজা হয়ে যায় সুতির কাপড়।