অনলাইনে পোশাক

লা রিভ
লা রিভ

করোনাভাইরাসের এই সময়ের বন্দিদশা শেষ করে কবে আবার বাইরে বেরোবে মানুষ, তা বলা যাচ্ছে না। তবে মানুষ মিলবে মানুষের সঙ্গে ঠিকই। আপাতত সেই সুদিনের অপেক্ষায় ঘরে থাকতে হবে। প্রকৃতির নিয়ম মেনে বসন্ত শেষদিকে, গ্রীষ্ম দুয়ারে। আর গ্রীষ্ম শুরু মানে যে বাংলা সনের আরও একটি নতুন বছর। পয়লা বৈশাখের রং এবার ম্লান। বাইরের সব ধরনের অনুষ্ঠান বাতিল করেছে সরকার। নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে বাঙালি নতুন পোশাকে যে উৎসবে মেলে, সেটা এবার দেখা যাবে না। 

দেশাল
দেশাল

বিশেষ দিনের জন্য প্রায় প্রতিটি ফ্যাশন হাউস তৈরি করেছিল বৈশাখী পোশাক। দেশি ফ্যাশন হাউসগুলোর সংগঠন ফ্যাশন উদ্যোগের সভাপতি শাহীন আহম্মেদ জানালেন, এবার বৈশাখে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার বেচাকেনার আশা করেছিল দেশের ফ্যাশন হাউসগুলো। 

দোকানপাট বন্ধ। তবে অনলাইন কেনাকাটা চালু আছে অনেক ফ্যাশন হাউসের। অনেক প্রতিষ্ঠান এখন অর্ডার নিচ্ছে, তবে পণ্য পৌঁছে দেবে অবস্থা ভালো হওয়ার পর। আর কিছু প্রতিষ্ঠান বিশেষ সুরক্ষার মাধ্যমে কুরিয়ারে পৌঁছে দিচ্ছে অর্ডার করা পণ্য। 

েসইলর
েসইলর

ই-কমার্সের পণ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ই-কুরিয়ার বিডির প্রধান নির্বাহী বিপ্লব ঘোষ জানালেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে এখন টেলিযোগাযোগ, ইন্টারনেট ও ইন্টারনেটনির্ভর সেবাকে সরকার জরুরি সেবা ঘোষণা করেছে। তাই অনলাইনের মাধ্যমে নিত্যপ্রয়োজনীয় উপকরণ ছাড়াও কিছু ফ্যাশন হাউসের পণ্য পৌঁছে দেওয়ার কাজ করছি আমরা। তবে এসব পণ্যে প্রয়োজনীয় সুরক্ষা মেনে সংগ্রহ থেকে গ্রাহকের কাছে পৌঁছানো হচ্ছে।’

এর মধ্যে নতুন পোশাকটি যে প্যাকেটে দেওয়া হচ্ছে তার ওপর আরেকটি বিশেষ প্যাকেট দিয়ে মুড়িয়ে গ্লাভস, মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করে সরবরাহকর্মী নিয়ে যাচ্ছেন গ্রাহকের কাছে। একটি পণ্য পৌঁছে দেওয়ার পরই ন্যূনতম ২০ সেকেন্ড সময় নিয়ে হাত ধুচ্ছেন তিনি।

প্রায় সব বড় ফ্যাশন হাউস অনলাইন কেনাকাটার সুবিধা চালু করেছে গত কয়েক বছরে। তাই এখনো স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে পণ্যের অর্ডার নিচ্ছে ফ্যাশন হাউসগুলো। তবে ঢাকার বাইরে এই মুহূর্তে সরবরাহ করা বন্ধ আছে বেশির ভাগ দোকানের। ফ্যাশন হাউস কে ক্র্যাফটের উদ্যোক্তা খালিদ মাহমুদ খান বলেন, ‘গ্রাহকের ভালোবাসাতেই কে ক্র্যাফট এই পর্যন্ত এসেছে। পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে এবারও নতুন নকশার পোশাক তৈরি করেছে কে ক্র্যাফট। করোনাভাইরাসের কারণে অযথা চলাফেরা ও লোকসমাগম এখন নিষিদ্ধ। বাইরের সব অনুষ্ঠান বাতিল হয়ে গেছে। তবে ঘরে পরার জন্য কেউ কেউ পোশাক কিনতে অনলাইনে অর্ডার করছেন। ঢাকার মধ্যে হলে সেই পোশাক এখন পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে ই-কুরিয়ারের মাধ্যমে। তবে ঢাকার বাইরে থেকে যাঁরা অর্ডার করছেন, তাঁরা পণ্য পেতে দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।’

কে ক্র্যাফট
কে ক্র্যাফট

অনলাইনে যেসব প্রতিষ্ঠানের পণ্য কেনা যাচ্ছে তার মধ্যে আছে-

লা রিভ (www.lerevecraze.com) 

সেইলর (www.instagram.com/sailor.bd ও www.fb.com/pg/clothings.sailor) 

ক্যাটস আই (www.catseye.com.bd) 

ইয়েলো (www.ellowclothing.net) 

দেশাল (www.deshal.net)

কে ক্র্যাফট (http: kaykraft.com)

ভোগ বাই প্রিন্স (www.fb.com/houseofvoguelifestyle) 

অরণ্য (www.aranya.com.bd/shop) 

একস্ট্যাসি (www.ecstasybd.com) 

ইজি ফ্যাশন (www. easyfashion.com.bd)