দেশের শাড়ি দেশের অনুষঙ্গ
>করোনা মহামারির এই দুঃসময়ে শারীরিক সুস্থতার জন্য বাড়িতে থাকা জরুরি। এ সময়ে মনকেও রাখতে হবে সুস্থ ও সজীব। বাড়িতে থাকার সময়টায় মনের খোরাক জোগাতে সাজানো হয়েছে নকশা।
সময়টা ঘরে থাকার; নিজেকে এবং পরিবারের সদস্যদের নিরাপদে রাখার। কিন্তু একদিন নিশ্চয়ই কেটে যাবে দুঃসময়। যখন বাইরে যাবেন, তখন দেশি শাড়ি আর দেশীয় অনুষঙ্গ প্রাধান্য পাক আপনার সাজে। ঘরে বসে এখন শুধু তথ্য জানা আর ছবি দেখা।
গামছা নকশার সুতি শাড়ি সব সময়ই জনপ্রিয়। ইদানীং ব্লাউজ বা টপ তৈরিতেও এই কাপড় ব্যবহার করা হচ্ছে। এই শাড়িগুলোর সঙ্গে দেশি উপকরণ দিয়ে তৈরি গয়না আবশ্যক। মাটির তৈরি গয়না হতে পারে আদর্শ। তবে গয়নার নকশায় যেন থাকে ভিন্নতা। কয়েক ধরনের নকশার গয়না বেছে নিতে পারেন। স্তর করে পরতে পারেন। কানে ঝোলানো দুলে পাখির নকশাও মন কেড়ে নেয়।
সুতার তৈরি হালকা পুতুলের দুল নেচে বেড়াবে বাতাসে। কিন্তু সাজে ঠিকই নিয়ে আসবে ভারিক্কি ভাব। শাড়িটিতেও টেপা পুতুলের ছবি। গলায় ছোট্ট হাঁড়ির মালাগুলো কিন্তু বেশ মজার। মাটির রং কিংবা তুলির মাধ্যমে হাতে আঁকা রঙিন হাঁড়ি নিয়ে এসেছে দেশীয় আবেদন। হাতের বালায় রিকশাচিত্র আঁকা।
শাড়ি: মানাস
মালা: যাত্রা
বালা: যাত্রা েমলা
দুল: অরণ্য
দেশি এই গয়নাগুলো মূলত হাতে বানানো হয়। পুঁতিগুলো প্রাকৃতিক রঙে রাঙানো (ভেজিটেবল ডাই) আগে থেকেই। এরপর একটির সঙ্গে আরেকটি গেঁথে দেওয়া হয়েছে মনের মাধুরী মিশিয়ে। সঙ্গে আছে ছোট্ট ঝুনঝুনি। এ ধরনের গয়না সাজে আনে রুচিশীল অভিজাত ভাব।
মালা ও দুল: মানাস
বালা: অরণ্য
শুধু কাঠ দিয়ে তৈরি গয়নাও যে আধুনিক হতে পারে, এটা তারই নমুনা। এ ধরনের গয়না একরঙা কিংবা নকশা করা শাড়ির সঙ্গে ভালো থাকবে।
একরঙা সুতি শাড়ির ওপর বিভিন্ন রঙের কাপড়ের বানানো গয়না নিয়ে এসেছে ভিন্নতা। এ গয়নাগুলোর বৈশিষ্ট্য হলো যে কাপড় দিয়ে বানানো হয়েছে, সেগুলো প্রাকৃতিক রঙে রাঙানো। হাতের বালাগুলোতে কড়ি আর পুঁতি বসানো। এই গয়নাগুলো যেকোনো ধরনের দেশি শাড়ির সঙ্গে মানিয়ে যাবে। মজার বিষয় হলো, বেচে যাওয়া টুকরা কাপড় দিয়েই এমন গয়না বানিয়ে ফেলা যায়। চোকার, লম্বাটে যেকোনো ধরনের গয়নাই বানানো যাবে কাপড় দিয়ে।
গয়না ও শাড়ি: অরণ্য