শীতে জ্বর-সর্দি মানেই ইনফ্লুয়েঞ্জা নয়
আবহাওয়ায় এখন শীত শীত ভাব। কখনো আবার কিছুটা গরম। শীত আর গরমের মাঝে থেকে সর্দিকাশি ও জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে অনেকে। বেসরকারি গ্রিন লাইফ মেডিকেলের চিকিৎসক প্রসেনজিৎ দেব বলছেন, জ্বর, সর্দিকাশি, গলা ব্যথা মানেই ইনফ্লুয়েঞ্জা নয়। তিনি বলছেন, ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো উপসর্গ নিয়ে এলেও বাস্তবে এর বেশির ভাগই হচ্ছে কমন কোল্ড ডিজিজ। এক কথায় সাধারণ সর্দিজ্বর।
চিকিৎসকের মতে, সর্দিজ্বরের ৭২.৫ ভাগই ‘রাইনো ভাইরাসের’ কারণে হয়। ‘রাইনো ভাইরাসের’ পরিচিতি বাংলাদেশে নতুন।
চিকিৎসক প্রসেনজিৎ দেব আরও বলেন, রাইনো ভাইরাসে সাধারণ সর্দিজ্বরের সঙ্গে মাথাব্যথা, টনসিল ফোলা, গলা ব্যথা, সাইনোসাইটিস, দুর্বলতাসহ আরও কিছু উপসর্গ দেখা দিতে পারে। আবার জ্বর না থাকলেও জ্বর জ্বর অনুভূতি হতে পারে।
চিকিৎসক আরও বলেন, প্রধানত হাঁচি-কাশি থেকে ঠান্ডাজনিত রোগের জন্য দায়ী ভাইরাসগুলো বেশি ছড়ায়। এ ক্ষেত্রে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে হাঁচি-কাশির সময় অবশ্যই মুখে রুমাল ব্যবহার করা উচিত। সেই সঙ্গে সাবান-পানি দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলা জরুরি। এ ছাড়া এয়ার ফ্রেশনার, বডি স্প্রে, মশা মারার স্প্রের মাধ্যমেও এই ভাইরাস ছড়ায়। তিনি আরও বলেন, শিশু-কিশোরদের সাধারণত বেশি সর্দিজ্বর হয়ে থাকে। বয়স্কদের ক্ষেত্রে বছরে ২ / ৩ বার সাধারণ সর্দিজ্বর হতে পারে। সাধারণত ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে আক্রান্ত সবাই ভালো হয়ে যান।
রাইনো ভাইরাসে আক্রান্তদের প্রচুর পানি ও তরল খাবার গ্রহণ, নিয়মিত হাত ধোয়া, বসবাসের স্থান, টয়লেট, রান্নাঘর, বারান্দা ও আশপাশের স্থানসমূহ পরিষ্কার রাখা, পুষ্টিকর খাবার খাওয়া, ধূমপান পরিহার করা, হাঁচি/কাশির সময় টিস্যু পেপার ব্যবহার করা উচিত।
নাজিয়া হোসেন: প্রথম আলোর দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী সাংবাদিক