খাদ্যাভাসে ক্যানসারের ঝুঁকি
ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে ধূমপান বর্জন, শরীরের সঠিক ওজন ধরে রাখা, নিয়মিত কায়িক পরিশ্রম এবং পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যকর খাবারের বিকল্প নেই। সেই সঙ্গে প্রয়োজন মুখের পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা। কারণ, শরীরের সদর দরজা হলো মুখ। কেবল পান-তামাক খেলেই ক্যানসার হয়, তা নয়। মুখগহ্বরের অস্বাস্থ্যকর যেকোনো পরিস্থিতিই ক্যানসারের কারণ হতে পারে।
মুখের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের প্রধান কারণ অপরিষ্কার মুখ। মুখের জীবাণু খুব সহজেই খাবারের সঙ্গে এবং মুখের রক্তনালি দিয়ে দেহের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে যেতে পারে। মুখে বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ এবং দীর্ঘদিনের ক্ষতও ক্যানসারে রূপ নেয়। কাজেই স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের পাশাপাশি মুখের স্বাস্থ্যের ব্যাপারেও সচেতন হওয়া প্রয়োজন:
- পান, জর্দা, সাদাপাতাকে না বলুন।
- ধূমপান ও অ্যালকোহল পরিহার করুন।
- খাদ্যতালিকায় চিনিযুক্ত খাবারের পরিমাণ কমাতে হবে।
- সুষম খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলুন।
- ক্ষতিকর রাসায়নিকযুক্ত খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন।
- দিনে দুবার সঠিক পদ্ধতিতে দুই মিনিট করে ব্রাশ করুন।
- দাঁতের গোড়ায় আটকে থাকা খাবার ফ্লস করে বের করুন।
- ফ্লুরাইড টুথপেস্ট ও মাউথ ওয়াশ ব্যবহার করা যেতে পারে।
- ধারালো, নড়বড়ে ও ভাঙা দাঁত থাকলে দ্রুত দন্ত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। বাঁধানো দাঁত থাকলে নিয়মিত পরীক্ষা করুন।
- মুখের ভেতর কোথাও ক্ষত বা ঘা হয়েছে কি না, পরীক্ষা করুন। আয়নায় দেখে নিজেই এটি যাচাই করা যায়।
- কোনো সমস্যা না থাকলেও বছরে দুবার দন্ত চিকিৎসকের মাধ্যমে মুখের ভেতর পরীক্ষা করা উচিত।
লেখক: মেডিকেল অনকোলজিস্ট, শান্তি ক্যানসার ফাউন্ডেশন
সাবেক বিভাগীয় প্রধান, জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল