সুতি পরা চাই রোশানের
কোনো ছবির শুটিং চলছে এখন? প্রশ্ন করলাম অভিনেতা রোশানকে। ‘না। তবে দুশ্চিন্তা বাড়ছে! আমার অভিনীত বেপরোয়া ছবি এই ঈদে মুক্তি পাবে কি পাবে না, সেটা নিয়ে।’
তারপরও ঈদের প্রস্তুতি নিতেই হয়। কাজ আর ঈদ—দুটো দুই জিনিস। কাজ একান্তই নিজের। আর ঈদ তো পরিবার-বন্ধুদের নিয়ে। তাই ঈদে মন ফুরফুরে থাকা চাই অভিনেতা রোশানের। ফুরফুরে মেজাজে থাকতে হলে ঈদের আমেজটাও লাগবে। পরিকল্পনা করতে হয় নতুন পোশাক কেনাকাটার।
তিন বছর হলো চলচ্চিত্রজগতে পা রেখেছেন রোশান। যাত্রা শুরু মডেলিং দিয়ে। স্বাভাবিকভাবেই ফ্যাশনসচেতনতা তাঁর একটু বেশি। জানালেন ঈদের জন্য তাঁর ফ্যাশন ভাবনা।
ঢাকায় থাকলেও বাড়িতে যান ঈদের সময়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলায় বাড়ি। পরিবার, আত্মীয়, বন্ধুবান্ধব—সবার সঙ্গে দেখা হওয়ার একটা উত্তেজনা কাজ করে রোশানের মধ্যে। কী পরবেন, কী করবেন, সেটার একটা তালিকা তৈরি করছেন মনে মনে।
পাঞ্জাবিতে সকাল
ঘুম ভাঙার পর গোসল সেরে বাবার সঙ্গে নামাজে যাবেন রোশান। নামাজে যাওয়ার আগে মিষ্টিমুখ করে নেন বাপ-বেটা। এ সময় রোশানের পরনে থাকবে পাঞ্জাবি-পায়জামা। সুতির এই পোশাকের রং হবে একেবারে হালকা । এমনটা বরাবরের পছন্দ এই অভিনেতার। এই পোশাকে নামাজ শেষে দেখা করবেন আত্মীয়দের সঙ্গে। কুশলাদি বিনিময় করতে করতে দুপুর গড়াবে।
টি–শার্টে দুপুর পার
বাড়ি ফিরে ঈদের দুপুরে পোশাক বদলাবেন রোশান। পরবেন টি–শার্ট আর ট্রাউজার। এরপর এভাবেই সারা দিন বাসায় কেটে যাবে। বন্ধুরা আসবে। চলবে আড্ডা।
রাতের আলোয়
রাতে বন্ধুদের সঙ্গে বাইরে যান রোশান। এবারও যাবেন। রোশান তখন পরবেন পাঞ্জাবি-পায়জামা, তবে সকালের মতো নয়। তিনি বলেন, ‘ঈদের দিনে পাঞ্জাবিই আমার প্রথম পছন্দ। ঈদের পরদিন হয়তো ছাপা নকশার শার্ট বা ডেনিম, একরঙা টি-শার্ট—এমন কিছু পরব।’ রাতের পাঞ্জাবির রং কী হবে? জানতে চাইলে রোশান বললেন, কালো। কালো পাঞ্জাবির সঙ্গে সাদা পায়জামা। হালকা কাজ করা থাকতে পারে পাঞ্জাবিতে। তবে কাপড় হবে সুতির। গরমের দিন। সে কারণে ঈদের হুলুস্থুলের মধ্যেও সব পোশাক সুতি কাপড়ের হওয়া চাই। এটাই রোশানের পরিকল্পনা।