মিরাজের ঈদের দিন কাটে পাঞ্জাবিতেই
বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার মেহেদী হাসান মিরাজকে যখন জানানো হলো, লেখাটা হবে তাঁর ঈদভাবনা নিয়ে, দ্রুতই কিছু ছবি পাঠিয়ে দিলেন মেসেঞ্জারে। হাস্যোজ্জ্বল মুখে পাঞ্জাবি পরে পোজ দেওয়া ছবি পাঠিয়ে তাঁর প্রশ্ন, ‘ছবিগুলো কেমন হয়েছে?’
ছবি ভালো হয়েছে। তা পাঞ্জাবির প্রতি বিশেষ দুর্বলতা আছে বুঝি? মিরাজ হাসেন। নির্দিষ্ট কোনো পোশাকের প্রতি বিশেষ দুর্বলতা নেই তাঁর। কদিন আগে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁকে ইউনিসেফের ‘শিশু অধিকার দূত’ ঘোষণা করা হয়েছে। সে অনুষ্ঠানের শুরুতেই দৃষ্টি কাড়ল তাঁর চেক শার্ট। স্ত্রী কিনে দিয়েছেন নাকি? উৎসুক এক সাংবাদিক রসিকতার সুরে জানতে চাইলে মিরাজের উত্তর, ‘শার্টটা কেমন হয়েছে সেটা আগে বলেন!’
মিরাজের কথা হচ্ছে, যে ধরনের পোশাকে আরাম পান, সেটিই কেনেন। তবে ধর্মীয় উৎসবে পাঞ্জাবিই তাঁর পছন্দ। ঈদও ব্যতিক্রম নয়। ঈদের দিন পুরোটা সময় পাঞ্জাবিতেই কাটান। বিশেষ কোনো রঙের প্রতি তাঁর কোনো দুর্বলতা নেই। মিরাজের কথা হচ্ছে, ‘ভালো লাগলেই হলো।’
দেশে থাকলে নিজের উদ্যোগে খুব একটা কেনাকেটা করা হয় না। একটু-আধটু কেনাকাটা যা করার করেন দেশের বাইরে গেলেই। তাঁর পোশাক-আশাকের ব্যাপারটা সাধারণত পরিবারই দেখে থাকে।
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলে আসার পর জীবনে অনেক পরিবর্তনই এসেছে। আগের ঈদগুলোর সঙ্গে এখনকার ঈদেরও তাই পার্থক্য আছে। বাসায় অনেক মানুষ আসে, বন্ধুবান্ধব তো আছেই। তবে মিরাজের দৃষ্টিতে পার্থক্যটা এসেছে সালামিতে। আগে সালামি পেতেন, এখন তাঁকে অনেক দিতে হয়। তিনি অবশ্য সালামি দেওয়াতেই বেশি আনন্দ খুঁজে পান।
এবার ঈদে একটু মন খারাপ থাকবে মিরাজের। ঈদটা যে পরিবার ছেড়ে দেশের বাইরে করতে হচ্ছে। যাওয়ার আগে আফসোস নিয়েই বলছিলেন, ‘বিয়ের পর প্রথম ঈদ অথচ দেশে থাকা হলো না। পরিবারের জন্য একটু তো খারাপ লাগবে।’ আবার নিজেকে সৌভাগ্যবানও মনে করছেন। বিয়ের পরপরই যে সুযোগ পাচ্ছেন বিশ্বকাপের মতো মর্যাদার টুর্নামেন্ট খেলার।
বিশ্বকাপের যে সূচি, বাংলাদেশ দল ঈদ করবে লন্ডন কিংবা কার্ডিফে। বাংলাদেশ দলও মিরাজের আরেকটা পরিবার। বিদেশবিভুঁইয়ে হলেও এ পরিবারের সঙ্গেও ঈদটা তাঁর মন্দ কাটার কথা নয়।